রিজার্ভের চাপ কমাতে কাউন্টার-ট্রেড পদ্ধতি

  নিরঞ্জন রায়

২৩ মার্চ ২০২৪, ১২:১৫ | অনলাইন সংস্করণ

নিরঞ্জন রায়
বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে এক নতুন ধারা, কাউন্টার-ট্রেড পদ্ধতি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত ১০ মার্চ এসংক্রান্ত এফই (ফরেন এক্সচেঞ্জ) সার্কুলার নম্বর ৮ জারি করেছে। ওই সার্কুলারের বর্ণনা অনুযায়ী কাউন্টার-ট্রেড পদ্ধতি অনুসরণ করে ক্রস-বর্ডার লেনদেন অর্থাৎ পণ্য আমদানি-রপ্তানি করলে সেই লেনদেনের মূল্য আর ডলার বা অন্য কোনো অনুমোদিত আন্তর্জাতিক মুদ্রায় পরিশোধ করতে হবে না। ওই সার্কুলারে যেভাবে বলা হয়েছে, তাতে এই পদ্ধতিতে আমদানি পণ্যের মূল্য তখন রপ্তানি পণ্যের মূল্যের বিনিময়ে পরিশোধ করা সম্ভব হবে।

ফলে ডলার সংকট অব্যাহত থাকলেও আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে এবং সেই সঙ্গে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার চাপ কমাতে সাহায্য করবে। ডলার সংকট কাটিয়ে উঠতে এবং দেশের রিজার্ভের চাপ কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক এর আগে কারেন্সি সোয়াপ চালু করেছিল। সেই কারেন্সি সোয়াপ থেকে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কতটা লাভবান হয়েছে বা দেশের রিজার্ভের ওপর চাপ কতটা হ্রাস পেয়েছে, তা সঠিকভাবে জানার আগেই বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে এই নতুন ধারার সূচনা করেছে। এতে একটি বিষয় অন্তত পরিষ্কার যে দেশের বিরাজমান ডলার সংকট কাটিয়ে উঠতে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি করতে বাংলাদেশ ব্যাংক চেষ্টার কোনো কমতি রাখছে না।
ফলাফল যা-ই হোক না কেন, দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়েই চলেছে।

কাউন্টার-ট্রেড পদ্ধতির এই সার্কুলারে বলা হয়েছে যে এখন থেকে দেশের ব্যবসায়ীরা তাঁদের আমদানি পণ্যের মূল্য রপ্তানি পণ্যের মূল্যের সঙ্গে বিনিময় করে পরিশোধ করতে পারবেন। সার্কুলার অনুযায়ী এই পদ্ধতিতে ক্রস-বর্ডার ট্রেড করতে হলে যে পদক্ষেপগুলো নিতে হবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে—

১. প্রথমে একটি ব্যাংকে এস্ক্রো (Escrow) হিসাব স্থাপন করতে হবে, যেখানে বাংলাদেশ থেকে যেসব পণ্য রপ্তানি হবে তার মূল্য লিপিবদ্ধ থাকবে। 
২. এই এস্ক্রো হিসাবে জমা হওয়া মূল্য বাংলাদেশি আমদানিকারকের আমদানি পণ্যের মূল্য বিনিময় করে পরিশোধ করা যাবে।
৩. এই এস্ক্রো হিসাবে প্রতিটি ডেবিট ও ক্রেডিটের সমর্থনে সুনির্দিষ্ট আমদানি-রপ্তানি ডকুমেন্ট থাকতে হবে। 
৪. এস্ক্রো হিসাবে আমদানি ও রপ্তানি মূল্য বাংলাদেশি টাকায় নেট বা প্রকৃত ভিত্তিতে অর্থাৎ সব ধরনের কমিশন, ফি বাদ দিয়ে জমা করা হবে। 
৫. আমদানি-রপ্তানি মূল্য বিনিময়ের পর যদি কিছু অবশিষ্ট বা উদ্বৃত্ত থাকে, তবে তা গ্রাহককে টাকায় প্রদান করা যাবে এবং এই এস্ক্রো হিসাবের উদ্বৃত্তের ওপর কোনো প্রকার সুদ প্রদান করা হবে না। 
৬. বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা বিদেশে তাঁদের প্রতিপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে নির্দিষ্ট সময় পর পর এস্ক্রো হিসাবের ব্যালান্স সমন্বয় করবেন। 
৭. বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরাও লেনদেনের অপর পক্ষের দেশে অনুরূপ এস্ক্রো হিসাব খুলতে এবং পরিচালনা করতে পারবেন সেখানকার আমদানি-রপ্তানি মূল্য বিনিময় করার স্বার্থে।
৮. এটি একটি বিশেষ পদ্ধতির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সুবিধা হলেও ব্যাংকগুলোকে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত সব বিধি-বিধান, কেওয়াইসি (নো ইউর কাস্টমার) এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনসহ সব নিয়ম বাধ্যতামূলকভাবে মেনে চলতে হবে।

আপাতদৃষ্টিতে এই বাণিজ্য কিছুটা দ্রব্যবিনিময় প্রথার মতো মনে হলেও সম্প্রতি এই পদ্ধতির বাণিজ্য বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করেছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে ক্রস-বর্ডার লেনদেনের ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক এলসির (লেটার অব ক্রেডিট) প্রচলন যথেষ্ট কমে যাওয়ার কারণে কাউন্টার-ট্রেড পদ্ধতি বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেতে শুরু করেছে। তবে এই ধরনের লেনদেন নতুনভাবে শুরু হওয়ায় অনেকের এই পদ্ধতির লেনদেন সম্পর্কে খুব একটা ভালো ধারণা নেই। শুধু সংজ্ঞা বা সার্কুলারের বর্ণনা দিয়ে কাউন্টার-ট্রেড পদ্ধতি সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা কষ্টকর। একটি কাল্পনিক উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি পরিষ্কার করার চেষ্টা করা যেতে পারে। ধরা যাক বাংলাদেশের কোনো একটি কম্পানি, তার নাম এক্সওয়াইজেড, ভারত থেকে বছরে ৭০ কোটি টাকার তুলা আমদানির মাধ্যমে সুতা উৎপাদন করে এবং বছরে ৪০ কোটি টাকার সুতা ভারতে রপ্তানি করে। কাউন্টার-ট্রেড পদ্ধতিতে বাংলাদেশের এই এক্সওয়াইজেড কম্পানি তাদের রপ্তানির ৪০ কোটি টাকা দেশে না এনে পুরোটাই তুলা আমদানি মূল্যের বিপরীতে বিনিময় করে পরিশোধ করবে। অবশিষ্ট ৩০ কোটি টাকার তুলা আমদানি মূল্য অন্য কোনো গ্রহণযোগ্য মুদ্রায় পরিশোধ করা হবে। কাউন্টার-ট্রেড পদ্ধতিতে আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক সব সময় একই কম্পানি হবে, তেমন কোনো কথা নেই। সম্মতি থাকলে একাধিক ব্যবসায়ীর মাধ্যমেও এটি হতে পারে। ধরা যাক, আলোচ্য উদাহরণের বাংলাদেশের এক্সওয়াইজেড কম্পানিটি শুধু ভারত থেকে তুলাই আমদানি করে, কিন্তু ভারতে কোনো রকম রপ্তানি করে না। সে ক্ষেত্রে যদি এফজিএইচ কম্পানি প্রতিবছর ভারতে ৬০ কোটি টাকার তৈরি পোশাক রপ্তানি করে এবং বাংলাদেশের এক্সওয়াইজেড কম্পানির সঙ্গে কাউন্টার-ট্রেড পদ্ধতির লেনদেনে অংশ নিতে আগ্রহী হয়, তখন এফজিএইচ কম্পানির তৈরি পোশাক রপ্তানির পুরো ৬০ কোটি টাকা এক্সওয়াইজেড কম্পানির তুলা আমদানির মূল্যের সঙ্গে বিনিময় করে পরিশোধ করা হবে। এর বিপরীতে এক্সওয়াইজেড কম্পানি বাংলাদেশে তাদের এস্ক্রো হিসাবের উদ্বৃত্ত থেকে ৬০ কোটি টাকা এফজিএইচ কম্পানিকে পরিশোধ করে দেবে।  

কাউন্টার-ট্রেড পদ্ধতি অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক লেনদেন করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু সুবিধা আছে। প্রথমত, এভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সম্পন্ন করলে ডলার সংকটের ওপর তেমন কোনো প্রভাব পড়ে না। ডলার বা অন্যান্য গ্রহণযোগ্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা সংগ্রহ না করেও আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাওয়া যায়। দ্বিতীয়ত, যেহেতু ডলার বা অন্য কোনো গ্রহণযোগ্য আন্তর্জাতিক মুদ্রায় মূল্য পরিশোধ করতে হয় না, তাই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর তেমন কোনো চাপ পড়ে না। তৃতীয়ত, কাউন্টার-ট্রেড পদ্ধতি অনুসরণ করলেও এলসির মতোই ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন করতে হয়, যেখানে ব্যাংকের মূল্য পরিশোধের কোনো অঙ্গীকার থাকে না, অথচ ব্যাংক ফি বা কমিশন ঠিকই পায়। ফলে ব্যাংকের কাছে এ ধরনের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বেশ লোভনীয় ব্যবসা। চতুর্থত, এই ধরনের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আগ্রহী ব্যাংক ডিসকাউন্টিং বা রিফিন্যান্স সুবিধা দিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা বা সুদ আয় করতে পারে। পঞ্চমত, যেহেতু লেনদেন নিষ্পত্তি বা সেটলমেন্টের টার্ম এবং মুদ্রা আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক নিজেরাই ঠিক করে থাকে, তাই লেনদেন নিষ্পত্তি বেশ সহজ এবং ঝামেলামুক্ত, বিশেষ করে কারেন্সি সোয়াপের মতো মোটেই জটিল নয়।

এসব সুবিধার বিপারীতে কিছু সমস্যা এবং প্রতিবন্ধকতাও আছে। যেমন—একই কম্পানি একাধারে আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক না হলে এই পদ্ধতি মোটেও কাজ করতে চায় না। আবার একই কম্পানি এক দেশ থেকে একদিকে আমদানি এবং অন্যদিকে রপ্তানি করবে সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ। লেনদেন নিষ্পত্তি বা সেটলমেন্ট মুদ্রা নিয়ে প্রায়ই সমস্যা বা জটিলতার সৃষ্টি হয়। যেমন—বাংলাদেশি আমদানিকারক টাকায় আমদানি মূল্য নির্ধারণ করতে চাইবে, পক্ষান্তরে ভারতের রপ্তানিকারক চাইবে ভারতীয় মুদ্রায় লেনদেন নির্ধারণ করা হোক। নির্দিষ্ট সময় পর পর এস্ক্রো হিসাব সমন্বয় বা ব্যালান্স করার ক্ষেত্রেও দেখা দেয় জটিলতা। প্রয়োজনীয় ঘাটতি পরিশোধের জন্য পর্যাপ্ত ডলার বা অন্য কোনো গ্রহণযোগ্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা আগে থেকে সংগ্রহ করে না রাখলে এবং এর পরিমাণ যদি অস্বাভাবিক হয়ে যায়, তখন আকস্মিক রিজার্ভের ওপর চাপ পড়তে পারে। 

কাউন্টার-ট্রেড পদ্ধতির সুবিধা-অসুবিধা যা-ই থাকুক না কেন, মুক্ত বাণিজ্য বা ওপেন মার্কেটে এই পদ্ধতি খুব ভালো কাজ করে। কেননা পণ্য আমদানি-রপ্তানি বা ক্রস-বর্ডার লেনদেনের ক্ষেত্রে কোনো রকম নিয়ন্ত্রণ বা বিধি-নিষেধ না থাকায় ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে পণ্য সরবরাহ করতে পারেন। এ কারণে নর্থ আমেরিকায় অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর মধ্যে এই কাউন্টার-ট্রেড পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয়। আবার পাশাপাশি দেশ হওয়া সত্ত্বেও লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশ; যেমন—ব্রাজিল, চিলি, পেরু, উরুগুয়ে ও কলম্বিয়ায় এই কাউন্টার-ট্রেড পদ্ধতি তেমন জনপ্রিয় নয়। কারণ সেখানে বৈদেশিক বাণিজ্য মোটেই ফ্রি বা ওপেন না। আবার পশ্চিম ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কাউন্টার-ট্রেড পদ্ধতি যথেষ্ট জনপ্রিয় এবং খুবই সাধারণ ব্যাপার। অবশ্য ব্রিটেন ইইউ (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) থেকে বের হয়ে যাওয়ার কারণে সেখানকার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এভাবে কাউন্টার-ট্রেড পদ্ধতিতে ক্রস-বর্ডার লেনদেন করতে সমস্যা হচ্ছে। তবে বিকল্প হিসেবে ব্রিটেনের প্রায় সব কম্পানি আয়ারল্যান্ডে তাদের সাবসিডিয়ারি বা সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে সেখান থেকে এই ধরনের লেনদেন পরিচালনা করছে। বাংলাদেশের পক্ষে ফ্রি ট্রেড বা ওপেন বৈদেশিক লেনদেন নীতি অনুসরণ করা সম্ভব নয়। এমনকি বাংলাদেশের বৃহৎ ব্যবসায়ী পার্টনার ভারত এবং চীনও ফ্রি বা ওপেন ক্রস-বর্ডার লেনদেন নীতি অনুসরণ করে না। তাই বাংলাদেশ ব্যাংকের এই উদ্যোগ, কাউন্টার-ট্রেড পদ্ধতি কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশয় থাকাই স্বাভাবিক।

এ কথা ঠিক যে ফ্রি বা ওপেন বৈদেশিক লেনদেন নীতি অনুসরণ না করেও আমদানিকারক বা রপ্তানিকারক অপর পক্ষের (কাউন্টারপার্টির) দেশে সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে খুব সহজেই কাউন্টার-ট্রেড পদ্ধতির মাধ্যমে ক্রস-বর্ডার লেনদেন পরিচালনা করতে পারে। ধরা যাক, এক্সওয়াইজেড কম্পানি ভারতে তাদের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্থাপন করল। প্রয়োজনে ব্যবসার সুবিধার্থে সেখানকার বিনিয়োগকারীকে আংশিক মালিকানা দেওয়া যেতে পারে। এখন এক্সওয়াইজেড কম্পানির ভারতের সাবসিডিয়ারি বাংলাদেশ থেকে প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী আমদানি করে সেখানকার বিভিন্ন মার্কেটে সরবরাহ করবে। সেই রপ্তানি মূল্য সেখানকার ব্যাংকের এস্ক্রো হিসাবে জমা রাখবে এবং তাদের বাংলাদেশের প্যারেন্ট এক্সওয়াইজেড কম্পানির আমদানি মূল্যের বিপরীতে বিনিময় করা হবে। একইভাবে ভারতের কোনো কম্পানিকে বাংলাদেশে তাদের সাবসিডিয়ারি বা সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে একই রকম আমদানি-রপ্তানির সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। উল্লেখ্য, একমাত্র বৃহৎ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানই এই ধরনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে কাউন্টার-ট্রেড পদ্ধতিতে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য পরিচালনার সক্ষমতা রাখে। প্রয়োজনে উভয় দেশে স্থাপিত সাবসিডিয়ারি বা সহযোগী প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত দেশের পুঁজিবাজারের সঙ্গেও তালিকাভুক্ত হতে পারে। এসব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে এই নতুন ধরনের কাউন্টার-ট্রেড পদ্ধতির মাধ্যমে ক্রস-বর্ডার লেনদেন করার পদক্ষেপ নিলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। নতুবা এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি কাগুজে পদক্ষেপ হয়েই থাকবে, কাজের কাজ তেমন কিছুই হবে না। আমাদের প্রত্যাশা, বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি ভেবে দেখবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

 

নিরঞ্জন রায় : সার্টিফায়েড অ্যান্টি মানি লন্ডারিং স্পেশালিস্ট ও ব্যাংকার, টরন্টো, কানাডা।

এই বিভাগের আরো সংবাদ