আজকের শিরোনাম :

দুমকিতে মুগডাল সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩৮

পটুয়াখালীর দুমকিতে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে মুগডাল আবাদ করেছে কৃষকরা। স্বল্প সময়ে কম খরচে ও পরিশ্রমে অধিক লাভজনক জনক হওয়ায় দিন দিন ঝুঁকছে কৃষকরা। ইতিমধ্যে মুগডাল পাকা শুরু করেছে। প্রতিটি মাঠে পাকা মুগ সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে দুমকিতে মুগ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে ৩ হাজার ৮ শত ৫০ হেক্টর। কৃষি প্রনোদনার আওতায় কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ছড়িয়ে ছিটিয়ে মুগডালের ব্যাপক চাষ হয়েছে। তবে  মুরাদিয়া ও শ্রীরামপুর ইউনিয়নে অপেক্ষাকৃত বেশি চাষ হয়েছে।
কৃষকরা জানান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে বিনামূল্যে উচ্চ ফলনশীল জাতের বারি-৬ জাতের মুগ বীজ পেয়ে চাষাবাদ করেছে। অনেক কৃষক নিজস্ব সংরক্ষিত দেশী জাতের মুগ চাষ করেছে। তবে বারি-৬ জাতের মুগের বাম্পার ফলন হয়েছে। 

মুরাদিয়া ইউনিয়নের কৃষক মাইনুল ইসলাম বলেন, ৬০ শতাংশ জমিতে সারি পদ্ধতিতে বারি- ৬ জাতের মুগ আবাদ করে ইতিমধ্যে ২০শতাংশ জমি থেকে দেড় শতাধিক কেজি ডাল তুলেছেন। এছাড়াও ওই এলাকায় কালাম মৃধা, সোহরাফ মৃধা, মন্নান ও কেরামত আলী লাইন চুইং পদ্ধতিতে মুগ চাষে সফল হয়েছে।শ্রীরামপুর ইউনিয়নের কৃষক মোঃ মোশারফ হাওলাদার বলেন, এবছর তিন একর জমিতে মুগের চাষ করেছি। ইতিমধ্যে পাকা মুগডাল সংগ্রহ শুরু করেছি। আশা করি খরচ বাদ দিয়ে বেশ লাভবান হব।

অপর এক কৃষক শহিদুল ইসলাম জানান, এ বছর অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে তার ফলন ভালো হয়নি। বিশেষ করে পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য কিট নাশক ব্যবহারে সুফল পাচ্ছিনা। এছাড়াও আগাছায় মুগের ক্ষতি হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইমরান হোসেন বলেন, পটুয়াখালী জেলায় দুমকিতে মুগডালের ব্যাপক চাষ চাষাবাদ হয়। কৃষকদের বিনামূল্যে উচ্চ ফলনশীল জাতের বারি-৬ জাতের মুগডালের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন মাঠে প্রদর্শনী প্লট করা হয়েছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ ও তদারকি করে আসছে এবং মুগের ভালো ফলন হয়েছে।

এবিএন/মোঃ আবদুল কুদ্দুস/জসিম/গালিব 

এই বিভাগের আরো সংবাদ