আজকের শিরোনাম :

সুনামগঞ্জে সরকারি খাদ্য গুদামে বোরো ধান সংগ্রহ শুরু

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ১২:১৮

সরকারি খাদ্য গুদামে মঙ্গলবার থেকে বোরো ধান কিনা শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে কেনা শুরু হবে চালও। সকাল সাড়ে দশটায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। একই সময়ে জেলার অন্যান্য ক্রয় কেন্দ্রেও ধান কেনা শুরু হবার কথা। 

জেলায় এবার ধান কেনা হবে ২৯ হাজার ৮১১ টন এবং সিদ্ধ চাল ৯ হাজার ৬৮৪ এবং আতব কেনা হবে ৯ হাজার ৯৫৪ টন। জেলা খাদ্য অফিসের দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন, জেলার ১১ উপজেলার ১১ কেন্দ্রে এবং জগন্নাথপুরের রানীগঞ্জ ও নতুন হওয়া উপজেলা মধ্যনগর কেন্দ্রে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা হবে। একজন কৃষক সর্বোচ্চ তিন টন ধান সরবরাহ করতে পারবে। চাল কেনা হবে মিলারদের কাছ থেকে। 

এর মধ্যে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় ধান এক হাজার ৯৭৫ টন, সিদ্ধ চাল সাত হাজার ৮২৮ টন, আতব চাল এক হাজার ২৩২ টন, শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ধান দুই হাজার ৮৯৪ টন, সিদ্ধ চাল এক হাজার ২৪৮ এবং আতব চাল এক হাজার ৯৪৮ টন, দোয়ারাবাজারে ধান এক হাজার ৫৩৬ টন, সিদ্ধ চাল ৯২ এবং আতব চাল ৮১৪ টন, ছাতকে ধান এক হাজার ৮০৮ এবং আতব চাল ৬৩৩ টন, জগন্নাথপুরে ধান দুই হাজার ৬০৮, সিদ্ধ চাল ২৯২ এবং আতব চাল এক হাজার ৯১৬ টন, দিরাইয়ে ধান চার হাজার ৭১৮, সিদ্ধ চাল ২২৪ এবং আতব চাল ৯৮২ টন, শাল্লায় ধান তিন হাজার ৪৯৮ এবং আতব চাল ২২৪ টন, ধর্মপাশায় ধান তিন হাজার ৮৯৫, আতব চাল ২১৭ টন, ধর্মপাশায় ধান তিন হাজার ৮৯৫ এবং আতব চাল ২১৭ টন, জামালগঞ্জে ধান তিন হাজার ১২৬ এবং আতব চাল ৬০০ টন, তাহিরপুরে ধান দুই হাজার ৪৯৮ এবং চাল ৯৫৯ টন, বিশ^ম্ভরপুরে ধান এক হাজার ২৫৫ এবং আতব চাল ৪২৯ টন কেনা হবে। 

ধর্মপাশা, শাল্লা, বিশ^ম্ভরপুর ও জগন্নাথপুর উপজেলা ছাড়া অন্য উপজেলাগুলোয় কৃষকরা ধান দেবার জন্য অনলাইনে আবেদন করবেন। পরে অনলাইনেই লটারি শেষে বিজয়ী কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করবে খাদ্য বিভাগ।  আগামী দুই দিনের মধ্যে ধর্মপাশা, শাল্লা, বিশ^ম্ভরপুর ও জগন্নাথপুরে কৃষি অফিসের দেওয়া তালিকার কৃষকদের মধ্যে লটারি হবে। লটারীতে বিজয়ী কৃষকরা ধান সরবরাহ করবেন।জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম ভুঞা বললেন, ১৪ শতাংশ আদ্রতা নিশ্চিত করে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা হয়। কিন্তু সুনামগঞ্জের সবগুলো ক্রয় কেন্দ্রে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদ্রতার জন্য কৃষকদের ধান যেন ফেরত না যায়। ফেরত গেলে পরিবহন খরচ বাড়ে। এক্ষেত্রে গোদাম চত্ত্বরে ধান শুকিয়ে হলেও কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার চেষ্টা করা হবে। 

সুনামগঞ্জের ১১ ক্রয় কেন্দ্রে কত টন ধান কেনা হবে সোমবার বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত জানাতে পারেন নি জেলা খাদ্য কর্মকর্তা। বললেন, গত সোমবার রাতের মধ্যে বরাদ্দ জানানো হবে বলে কেন্দ্রীয় খাদ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে। 

এদিকে, সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম জানিয়েছেন, জেলায় সোমবার পর্যন্ত ১২ লাখ ৬৯ হাজার ৪৫৬ টন ধান উৎপাদনের খবর আছে তাদের কাছে। উঁচু এলাকার ধান মিলে এবছর ১৩ লাখ ৭০ হাজার ২০০ টন ধান উৎপাদিত হতে পারে বলে জানান তিনি।

এবিএন/অরুন চক্রবর্তী/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ