আজকের শিরোনাম :

‘বাংলাদেশের পর্যটন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী যুক্তরাজ্য সরকার’

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৪, ১৬:৪৩

বাংলাদেশের পর্যটন খাতে যুক্তরাজ্য সরকার বিনিয়োগে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।

তিনি বলেন, আমাদের পর্যটন খাতে ব্রিটিশরা বিনিয়োগের কথা বলেছেন। এভিয়েশন খাতে কীভাবে বিনিয়োগ করবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে প্রধানত কথা হয়েছে আমাদের সিকিউরিটিদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে। এই প্রশিক্ষণের সঙ্গে বিনিয়োগও হতে পারে আধুনিক যন্ত্রপাতির। সেগুলো আমরা আগামীতে দেখব।

আজ মঙ্গলবার (৭ মে) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যানি ম্যারি ট্রেভেলেইনের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বেসামরিক বিমান খাতে কী করা যায়, সেটাই ছিল আমাদের আলোচনার মূলকেন্দ্র। তারা আমাদের নতুন বিমানবন্দর দেখেছেন। তারা বুঝতে পেরেছেন যে এখানে অনেক কাজ হবে। ইউরোপে তারা এয়ারবাস বানায়, আমাদের বোয়িং আছে। আমরা এয়ারবাস কেনার কথাও ভাবছি।

মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, বাংলাদেশ বিমানের পক্ষ থেকে একটি মূল্যায়ন কমিটি করা হয়েছে। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে মূল্যায়ন টিম এ বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত দেবে। কারণ বাজেটের আগে এই মূল্যায়ন দেওয়ার চেষ্টা করা হবে বলে আমি মনে করি।

তিনি বলেন, এয়ারবাস এরই মধ্যে অর্থনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছে। সেগুলো ভালোভাবে পরীক্ষা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। এবারই তারা একটি সমঝোতা স্মারকে সই করার কথা বলেছিল। কিন্তু আমরা বলেছি, এবার আমরা এটা করব না।

মন্ত্রী আরও বলেন, আগে মূল্যায়ন শেষ হোক, তারপর সমঝোতা হবে। এছাড়া সিকিউরিটি, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়েও কথা হয়েছে। এসব খাতে তাদের বিনিয়োগ আছে। তারা জানেন, ঢাকা ছাড়াও সিলেট ও কক্সবাজারে আমাদের দুটো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আছে। তারা জানতে পেরেছেন, সৈয়দপুরে একটা বিমান হাব তৈরির চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, এসব কারণে তারা বেসামরিক বিমান খাত নিয়ে অনেক আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আগামী দিনে বাংলাদেশের এভিয়েশনের অনেক কর্মকাণ্ড আছে।

বিমান ক্রয়ের ক্ষেত্রে কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কি না, জানতে চাইলে মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, এয়ারবাস বলতে কেবল ফ্রান্সই না। যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্স এই তিন দেশ মিলে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এখন পর্যন্ত যতটুকু জানি, বেশ ভালো প্রস্তাব আমরা পেয়েছি। এরই মধ্যে বোয়িংও আমাদের ভালো প্রস্তাব দিয়েছে। সেগুলো এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। বাংলাদেশের জন্য যেগুলো ভালো হবে; সেগুলো আমরা বিবেচনা করব।

ভালো প্রস্তাব বলতে তারা কী দিতে চেয়েছে, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ব্যাংক থেকে যে ঋণ দেওয়া হবে তার সুদ, সেই সঙ্গে টেকনিক্যাল বিষয়গুলোতে বেশ ভালো প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এ মুহূর্তে বাংলাদেশ ১০টির মতো এয়ারবাস কিনতে চায় বলেও জানান বিমানমন্ত্রী। তবে এ বিমান কিনতে কতটাকা লাগতে পারে, তা নির্ভর করবে কীভাবে প্রস্তাব আসে, তার ওপর বলে জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, বোয়িংয়ের ৭৮৭ ড্রিমলাইনের বিষয়ে পত্রিকায় বিভিন্ন কথা এসেছে। আমরা এই মুহূর্তে বিষয়টিকে এত বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি না। তবে বোয়িংয়ের সাথে কথা বলে কারিগরি বিষয়গুলো জানতে বলেছি। এই মুহূর্তে আমরা কোনো সমস্যা পাইনি। দুনিয়াতে প্রায় ৫০০ এর মতো ড্রিমলাইনার চলে।

এবিএন/এসএ/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ