আজকের শিরোনাম :

বাঁচলে কর্ণফুলী বাঁচবে দেশ

  রেজা মুজাম্মেল

১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৩:৪৫ | অনলাইন সংস্করণ

দেশের অর্থনীতির হৃদপিন্ড চট্টগ্রাম বন্দর। চট্টগ্রাম বন্দরের প্রাণ কর্ণফুলী নদী। কর্ণফুলী নদী বাঁচলে বন্দর বাঁচবে। বন্দর বাঁচলেই বাঁচবে দেশ, সচল থাকবে দেশের অর্থনীতি। সমৃদ্ধ হবে জাতীয় অর্থ ভাণ্ডার। গতি পাবে দেশের উন্নয়ন। অর্থনীতির চাকা ঘুরলে সাধিত হবে দেশের সামগ্রিক অগ্রগতি। চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য হ্যান্ডলিং বৃদ্ধি পেলে ত্বরান্বিত হয় দেশের উৎকর্ষতা। বলা যায়, এই কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে জাতীয় অর্থনীতির সম্পর্ক সরাসরি। এই কথাটি অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী দখল–ভরাট ও দূষণের কবলে পড়েছে। যদি প্রাকৃতিকভাবে জোয়ার–ভাটায় পানি প্রবাহিত হওয়াটা অব্যাহত না থাকত, তাহলে প্রাণের এবং অতি গুরুত্বপূর্ণ এই নদীটি যে আরো অনেক আগেই ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর ভাগ্যবরণ করত; এ কথা নদী ও প্রকৃতি বিশেজ্ঞরা প্রতিনিয়তই বলে আসছেন। কেবল জোয়ার ভাটাই নদীটিকে রক্ষা করেছে। এত গুরুত্বপূর্ণ নদী হওয়ার পরও লোলুপ–লোভাতুর দৃষ্টির কবল থেকে মুক্ত থাকতে পারেনি নদীটি। দুই হাজার ১৮৯টি অবৈধ স্থাপনা প্রতিনিয়তই গিলে খাচ্ছিল নদীটি। তবে আশার কথা হলো চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যতম প্রধান এ নদীটির উভয় পাড়ে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এটি অবশ্যই একটি সুখের খবর। গত ৪ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলা প্রথম ধপার অভিযানে সরকারি হিসাবে ২৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয় এবং উদ্ধার করা হয় প্রায় ১০ একর ভূমি। দুই. কর্ণফুলী নদীর অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনস্বীকার্য। চট্টগ্রাম এশিয়ার সপ্তম এবং বিশ্বের দশম দ্রুততম ক্রমবর্ধমান শহর। ক্রমবর্ধমান এই শহরের আমদানি–রপ্তানি পণ্যের ৯৩ শতাংশ আনা–নেওয়া কাজ হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েই। সমুদ্রপথে কনটেইনারে পণ্য আমদানি–রপ্তানির ৯৮ শতাংশ হয় দেশের বৃহত্তম এ বন্দর দিয়ে। ৬৫ শতাংশ রাজস্ব আহরিত হয় চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টম হাউসের মাধ্যমে। এই বন্দর অবস্থিত কর্ণফুলী নদীর তীরেই। ফলে ভৌগোলিক অবস্থান এবং প্রাকৃতিক সম্পদ কোনো দিক দিয়েই এই কর্ণফুলীকে অবহেলার সুযোগ নেই। বরং এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব অত্যধিক। কর্ণফুলী নদী বাংলাদেশ–ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলের একটি প্রধান নদী। এই নদীর মোট দৈর্ঘ্য ৩২০ কিলোমিটার। বাংলাদেশ অংশের দৈর্ঘ্য ১৬১ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৪৫৩ মিটার। কর্ণফুলী নদী ভারতের মিজোরামের মমিত জেলার শৈতা গ্রাম (লুসাই পাহাড়) হতে শুরু হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার কাছে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে।

তিন. ২০১০ সালের ১৮ জুলাই পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশ এর পক্ষে জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ কর্ণফুলী নদী দখল, মাটি ভরাট ও নদীতে সব ধরনের স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনকে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে নদীর প্রকৃত সীমানা নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। আদালতের নির্দেশের পর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর কর্ণফুলীর দুই তীরে সীমানা নির্ধারণের কাজ শুরু করে। নগরের নেভাল অ্যাকাডেমি সংলগ্ন নদীর মোহনা থেকে মোহরা এলাকা পর্যন্ত অংশে ২০১৫ সালে জরিপের কাজ শেষ করা হয়। জরিপে নদীর দুই তীরে ২ হাজার ১৮১টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে জেলা প্রশাসন। প্রতিবেদনটি ২০১৫ সালের ৯ নভেম্বর উচ্চ আদালতে দাখিল করা হয়। এরপর ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ কর্ণফুলী নদীর দুই তীরে গড়ে ওঠা স্থাপনা সরাতে ৯০ দিনের সময় বেঁধে দেয়। ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এক কোটি ২০ লাখ টাকা অর্থ বরাদ্দ চেয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। অর্থ সংকুলান না হওয়ায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়নি। অবশেষে ভূমি মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে অর্থ সংস্থানের পর অভিযান শুরু হয়।

চার. বিলম্বে হলেও কর্ণফুলী নদীর পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়। এটি অবশ্যই আশাব্যঞ্জক, সুখের খবর। কিন্তু শুরুটা যেমন দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে হয়েছে, শেষটাও যেন অবশ্যই যথাযথভাবে হয়, এমনটি প্রত্যাশা সকলের। কোনোভাবেই অসম্পূর্ণ কোনো অভিযান কারো কাছেই কাম্য নয়। যে কোনো মূল্যে শতভাগ সম্পূর্ণ করে অভিযান সমাপ্তি করতে হবে। অবশ্য প্রথম ধাপের অভিযান শেষে কর্ণফুলী নদীর পাড় পরিদর্শনকালে ভূমিমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘কারো সঙ্গে কোনো প্রকারের সমঝোতার প্রশ্নই আসে না। কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবেই। কারণ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কোনো ব্যক্তির স্বার্থে নয়, বরং দেশের বৃহত্তর স্বার্থেই। তাই অভিযান চলবেই। কেউ হুমকি–ধমকি দিয়ে পার পাবে না। হুমকি দিলে উচ্ছেদ আরো দ্বিগুণ হবে।’ মন্ত্রীর এই দৃঢ় প্রত্যয় সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। পরিবেশ প্রেমীসহ সকলের প্রত্যাশাও একটাই– অবৈধ স্থাপনাগুলো সম্পূর্ণরূপে উচ্ছেদ করা হবে। তাহলেই বাঁচবে কর্ণফুলী নদী। উচ্ছেদ কার্যক্রমে নদীটি বাঁচানোর যে আশার আলো দেখা দিয়েছে, সে আলো যেন সত্যি সত্যিই উদ্ভাসিত হয়। উদ্ভাসিত আলোয় যেন সর্বত্র আলোকিত হয়। পাঁচ. কর্ণফুলী নদীর উত্তর পাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে ভর করেছে আরেক চ্যালেঞ্জ। প্রথম ধাপে নগরের বন্দর–বারিক বিল্ডিং মোড় এলাকা থেকে শুরু করে সদর ঘাট পর্যন্ত অভিযান চলাকালে চাক্তাই–রাজাখালি এলাকায় চলছে দখলের প্রতিযোগিতা।

প্রশাসনের কঠোর অবস্থানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নির্মাণ হচ্ছে স্থাপনা। বর্ধিত করা হচ্ছে মার্কেট। বেদখলের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করতে তৈরি করা হচ্ছে ধর্মীয় স্থাপনা। সোনালি যান্ত্রিক মৎস্য শিল্প চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ইজারা নিয়ে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ১৮৮টি দোকান নির্মাণ করে। তাছাড়া জাতীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি এটিকে কেন্দ্র করে নির্মাণ করছে হিমাগার ও বরফ কল। কিন্তু বন্দর কর্তৃপক্ষ মৎস্য অবতরণকেন্দ্রের ব্যবসায়ীদের গত ৯ জানুয়ারির মধ্যে স্থাপনা সরানোর নির্দেশ দিয়ে একটি চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু তারা স্থাপনা না সরিয়ে উল্টো বরফ কল এবং হিমাগার নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে। তাছাড়া অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ঠেকাতে কৌশলে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি সোনালি যান্ত্রিক মৎস্য শিল্প সেখানে সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের স্থাপনা বৈধ বলে দাবিও করেছে। সোনালি যান্ত্রিক মৎস্য শিল্পের দাবি, ‘বন্দর থেকে ৩ দশমিক ৯৭৭৫ একর জায়গা বছরে ৩২ লাখ টাকায় ১৫ বছরের জন্য ইজারা নিয়েছে বাংলাদেশ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লি.। মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি থেকে উপ–ইজারা নিয়ে সোনালি যান্ত্রিক মৎস্যশিল্প সমবায় সমিতি মৎস্য অবতরণকেন্দ্র নির্মাণ করে। আমরা অবৈধভাবে জায়গা দখল করে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণ করি নাই।’ কর্ণফুলী নদীর পাড়ের জায়গা দখল করে এভাবে অবৈধ স্থাপনা তৈরির কোনো কারণ নেই। দীর্ঘদিন ধরে বন্দরের জায়গা দখল করে স্থাপনা করে। কিন্তু বন্দর জায়গা ছেড়ে দিতে বললেও তারা নানা কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। এটি মোটেও কাম্য নয়। অতীতে স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে, কিন্তু এখন যেহেতু সরকার উচ্ছেদের বিষয়ে হার্ড লাইনে অবস্থান নিয়েছে, তাহলে স্থাপনা তৈরিকারীদের নানা তালবাহনা খুঁজার কোনো যৌক্তিকতা নেই। তাদের উচিত নিজ দায়িত্বে স্থাপনা সরিয়ে নেওয়া। কারণ নদীটি বাঁচলে উপকৃত হবে চট্টগ্রামসহ সারাদেশ।

ছয়. সরকার দেশের অবৈধভাবে বেদখল হয়ে যাওয়া এবং দূষণে বিপর্যস্ত হওয়া নদীগুলো উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে। কর্ণফুলী নদীর উচ্ছেদ অভিযানের একই সময়ে চলছে বুড়িগঙ্গা নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ। অর্থাৎ অবৈধভাবে নদী দখল–দূষণকারীদের জন্য এটি একটি জরুরি বার্তা যে, যেভাবেই হোক নদী দখল মুক্ত করা হবে। সরকার আন্তরিকভাবে ইচ্ছা করলে সফল হয় না এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই। ফলে কর্ণফুলী ও বুড়িগঙ্গা নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং দূষণ রোধে সরকারের যে উদ্যোগ তাকে অবশ্যই প্রশংসনীয় বলতে হবে। উদ্যোগটি শতভাগ সফল হবে সেটাও কামনা সকলের।

সাত. নদী নিয়ে যখন দেশজুড়ে হুলস্থুল চলছে, তখনই মহামান্য আদালত একটি যুগান্তকারী রায় ঘোষণা করেন। গত ৪ ফেব্রুয়ারি আদালত তুরাগ নদীকে ‘জীবন্ত সত্তা’ ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে রায়ে নদী দখলদারদের নির্বাচন করার ও ঋণ পাওয়ার অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তাছাড়া দেশের সব নদ–নদী, খাল–বিল ও জলাশয়কে রক্ষার জন্য জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে ‘আইনগত অভিভাবক’ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। তুরাগ নদী রক্ষায় একটি রিট মামলার বিচার শেষে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ঐতিহাসিক এ রায় দেন।

হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তুরাগ নদী নিয়ে এ রায় দেওয়া হয়। আদালত বলেছেন, ‘দেশের সব নদ–নদী খাল–বিল ও জলাশয় রক্ষার জন্য ‘পারসন ইন লোকো পেরেনটিস’ বা আইনগত অভিভাবক হবে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। এর ফলে দেশের সব নদ–নদী, খাল–বিল জলাশয়ের সুরক্ষা, সংরক্ষণ, অবৈধ দখল উচ্ছেদ, শ্রীবৃদ্ধিসহ সব দায়িত্ব বর্তাবে নদী রক্ষা কমিশনের ওপর। নদী রক্ষা কমিশন কার্যকর একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা নিশ্চিত করতে সরকারকে ‘নদ–নদী, খাল–বিল ও জলাশয় দখলের অপরাধে ‘কঠিন সাজা ও জরিমানা’ নির্ধারণ, তদন্ত ও বিচারের আইনি কাঠামো তৈরি করার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে, নদী ও জলাশয় দখল বন্ধ করতে কিছু প্রতিরোধমূলক নির্দেশনাও আদালত দিয়েছেন। এগুলো হল– ১. নদ–নদী, খাল–বিল, জলাশয়ের অবৈধ দখলদারদের চিহ্নিত করে তাদের নামের তালিকা জনসমক্ষে প্রকাশ করা। ২. নদী বা জলাশয় দখলকারী বা অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীরা ব্যাংক ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবেন না। ঋণ দেয়ার সময় আবেদনকারীর বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। ৩. জাতীয় বা স্থানীয়– কোনো ধরনের নির্বাচনে প্রার্থীর বিরুদ্ধে নদী দখল বা অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ থাকলে তাকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। ৪. দেশের সব সরকারি–বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতি দুই মাসে কমপক্ষে একদিন এক ঘণ্টা ‘নদী রক্ষা, সুরক্ষা, দূষণ প্রতিরোধ’ বিষয়ে সচেতনতামূলক ক্লাস নিতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে। ৫. দেশের সব শিল্প–কারখানার শ্রমিক–কর্মচারীদের অংশগ্রহণে প্রতি দুই মাসে একদিন এক ঘণ্টা সচেতনতামূলক সভা বা বৈঠক করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে। আট. দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন, উপজেলা, পৌরসভা, জেলা ও বিভাগে প্রতি তিন মাসে একবার নদী বিষয়ে দিনব্যাপী সভা–সমাবেশ করতে হবে। সরকারকে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে। আদালতের এ সব নির্দেশনা অত্যন্ত সময়োপযোগী। প্রতিটি নির্দেশনাই বাস্তব এবং বাস্তবতা ভিত্তিক। দখল–দূষণে বর্তমানে দেশের নদ–নদীগুলোর যে বেহাল ও করুণ চিত্র, তার প্রেক্ষাপটে আদালতের নির্দেশনাগুলো যথার্থ। প্রতিটি নির্দেশনাই পালন করা জরুরি। অন্তত এসব নির্দেশনা পালন করা হলে অনেক নদীই বাঁচবে।

নয়. নদী মাতৃক দেশ বাংলাদেশ। নদী বাঁচলেই দেশ বাঁচবে। দেশের নদীগুলো বাঁচাতে সরকার উদ্যোগী হয়েছে। এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকুক, এমনটিই প্রত্যাশা। জেগে থাকুক নদী। বেঁচে থাকুক নদীমাতৃক দেশের অভিধা। চির জাগরুক থাকুক নদীর প্রবাহ। জাগ্রত থাকুক চিরায়ত বাংলার প্রাণের এই প্রতিচ্ছবি। (দৈনিক আজাদী থেকে নেয়া)

লেখক : গণমাধ্যমকর্মী

এই বিভাগের আরো সংবাদ