চিলমারীতে তীব্র শীতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:০৭

এতো ক্যামন ঠান্ডা বা ? শরীল খালি কাটি ন্যায়। গ্যালো এক-দুই যুগোত এতো ঠান্ডা দ্যাহোং নাই বাহে। কাম কাজ করায় যায় না, না করলেতো প্যাটোত ভাত যায় না, কি করি এলা? এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলছিলেন হিমালয়ের পাদ্বদেশ খ্যাত কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলাধীন থানাহাট ইউনিয়নের মাচাবান্দা এলাকার কৃষক এনতাজ আলী(৬২)। 

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে চলমান রয়েছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে ঠান্ডার দাপটে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়ছে এ এলাকার খেটে খাওয়া মানুষসহ সর্বস্তরের মানুষের। শনিবার এখানকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৫ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কাল শুক্রবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৬ দশমিক ৮ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

সরেজমিনে শনিবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে কনকনে ঠান্ডার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে কিছুটা রোদ উঠলেও তেমন তাপ ছিলনা রোদের। ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে কৃষি শ্রমিকরা মাঠে কাজ করছেন। 

এ সময় উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের মাচাবান্দা এলাকায় গেলে দেখা হয় কৃষক এনতাজ আলীর সাথে। তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে এক নিঃশ্বাসে বলতে থাকেন,এতো ক্যামন ঠান্ডা বা ? শরীল খালি কাটি ন্যায়। গ্যালো এক-দুই যুগোত এতো ঠান্ডা দ্যাহোং নাই বাহে। কাম কাজ করায় যায় না, না করলেতো প্যাটোত ভাত যায় না,কি করি এলা?  

তীব্র ঠান্ডার কারণে খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষ কাজের সন্ধানে বাড়ির বাইরে যেতে না পারায় কমেছে তাদের আয়-রোজগার। প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র না থাকায় খড়কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে ঠান্ডা থেকে রক্ষার চেষ্টা করছেন তারা। ঠান্ডার কারণে চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষকে গবাদিপশু নিয়েও হিমশিম খেতে হচ্ছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.মোশাররফ হোসেন জানান, ৪ হাজার ৫০টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে,যা ইতোমধ্যে ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে দু’এক দিনের মধ্যে আরো কম্বল আসবে। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিনহাজুল ইসলাম জানান, সরকারিভাবে পাওয়া শীতবস্ত্র ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। আরো শীতবস্ত্রের চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
 
এবিএন/গোলাম মাহবুব/জসিম/গালিব 

এই বিভাগের আরো সংবাদ