আজকের শিরোনাম :

‘রাজনীতি আমার ভালোবাসা, আমার অস্তিত্বের নিদর্শন’

  মোহাম্মদ ফয়সাল আহসানউল্লাহ

১২ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৫:২৬ | আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৮:৪৬ | অনলাইন সংস্করণ

তিনি একজন রাজনীতিবিদ, ক্রীড়া সংগঠক ও ব্যবসায়ী। নব্বই দশকে অসম্ভব জনপ্রিয় মডেল। তিনি মোহাম্মদ ফয়সাল আহসানউল্লাহ। তার সময়ে সেরা মডেলদের অন্যতম একজন তিনি। কিউট ট্যালকম পাউডার কিংবা কোকাকোলার বিজ্ঞাপনের সেই লম্বা চুলের ফয়সাল আজও তার ভক্তদের মধ্যে আবেদন ছড়ান। 

মডেলিং ছাড়াও রয়েছে তার নানা পরিচয়। রাজনীতির ময়দান বা দর্শকদের কাছে তিনি ফয়সাল আহসান হিসেবেই পরিচিত। দেশের ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির (১৯৯৩ সাল) ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটি এবং বন ও পরিবেশ উপ-কমিটির সদস্য হিসেবে। 

বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত অরাজনৈতিক সংগঠন ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ হকি ফেডারেশেনের নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছেন কার্যনির্বাহী সদস্য পদে। সাবেক এই হকি খেলোয়াড় ২০১৫ সালে সাবেক হকি খেলোয়াড়দের নিয়ে গঠিত 'ভ্যাটারান হকি বাংলাদেশ' নামে একটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন। সবমিলিয়ে রাজনীতি, ক্রীড়াঙ্গন, সামাজিক কর্মকান্ড ও নিজের ব্যবসা নিয়ে বেশ ব্যস্ত একটা সময় পার করছেন তিনি। তবে রাজনীতি তার মনে একটা আলাদা জড়ত। সম্প্রতি আমরা তার মুখোমুখি হয়েছিলাম তার সাম্প্রতিক ও ভবিৎষত চিন্তা-ভাবনা, কর্মকান্ডের পরিকল্পনা জানার জন্য। পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হলো সেই আড্ডা-আলাপ। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মইনুল হক রোজ...

ছাত্র রাজনীতিতে আপনার শুরুটা কীভাবে?

মোহাম্মদ ফয়সাল আহসানউল্লাহ : আমি প্রথমে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন সাধারণ কর্মী হিসেবেই স্থানীয় পর্যায়ে রাজনীতি শুরু করেছিলাম। পরবর্তী সময়ে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক প্রশাসন বিভাগ ইউনিট ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটিতেও ছিলাম। এর পরপরই আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হই। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সেই কমিটির সভাপতি ছিলেন সে সময়ের রাজপথ কাঁপানো তুখোড় ছাত্রনেতা বর্তমান পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক শামীম ভাই ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ইসহাক আলী খান পান্না ভাই। 

ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে কেন? 

মোহাম্মদ ফয়সাল আহসানউল্লাহ : আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ আমার আদর্শ, আমার বিশ্বাস, আমার ভালোবাসার প্রতি আমার প্রতিশ্রুতি ও প্রতিজ্ঞার মূল্য। আর আমার সেই আদর্শ, বিশ্বাস আর ভালোবাসার নাম ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’

ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই মহান নেতার প্রতি আমার ভাললাগার শুরুটা একেবারে ছোটবেলা থেকেই। আমার বাবা মরহুম মোহাম্মদ ইসা সাখায়াতউল্লাহ তার ছাত্রজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। ১৯৬৯-এর ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৭০-এর আন্দোলনে তিনি ছিলেন সক্রিয়। ১৯৭১ সালে তিনি ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে পুরান ঢাকার শেখ বোরহানউদ্দীন কলেজের ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর পর ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধেও তিনি যোগদান করেছিলেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন সদ্য স্বাধীন হওয়া যুদ্ধ বিধস্ত দেশ পুনর্গঠনের কাজে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে নিজ বাসভবনে সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তিনবার আব্বাকে জেলে যেতে হয়েছিল তার রাজনৈতিক বিশ্বাসে অটল থাকার জন্য। যাক মূলত আব্বার কাছেই ছোটবেলা থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নানা গল্প, কথা শুনে বড় হয়েছি আমি। ছোটবেলায় আব্বার মুখে গল্প শুনে নিজের কল্পনায় তাকে অনেকবার এঁকেছি নানাভাবে। বলতে পারেন তখন থেকেই আসলে এক ধরনের গোপন ভালোবাসা, ভালোলাগা নিয়ে বড় হয়েছি তাঁর আদর্শকে সাথী করে। তবে এর পুরোপুরি বহিঃপ্রকাশ ঘটে যখন আমি ১৯৯০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক প্রশাসন বিভাগে ভর্তি হই যখন। সে সময় এরিক ফেডেরিকের লেখা একটি বইয়ে ‘কারিশমাটিক লিডারশিপ’ নাম একটা অধ্যায় ছিল। সেই অধ্যায়ে সারা বিশ্বের যে অল্প কজন মহান নেতাদের বিষয়ে আলোচনা ছিল তার মধ্যে একটি অংশ ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে। সেই লেখাটি পড়ে আমি নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করি এবং একইসাথে আমার রাজনৈতিক আদর্শ কি হবে বা হওয়া উচিত সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাই। এ ফাঁকে একটা কথা প্রাসঙ্গিক কারণে বলে রাখি, তা হলো ১৯৭৫-এর সেই বর্বরোচিত হত্যাকা-ের সময় আমি ছোট। কিন্তু একটা বিষয় আমার মনে তখন গভীরভাবে রেখাপাত করেছিল তা হলো আমার আব্বাকে প্রায় সময় একটা বিষয়ে বেশ কষ্ট নিয়ে কথা বলতে শুনতাম। আর তাহলো বঙ্গবন্ধুর বেঁচে যাওয়া দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা পুরো পরিবার হারানোর যে অসহনীয় যন্ত্রণা-কষ্টতে প্রতিনিয়ত থাকতেন সে বিষয়ে। আমি আব্বার মুখে এই কথাগুলো যখন শুনতাম তখন আমার ছোট্ট মনেও প্রশ্ন জাগতো এতো কষ্ট নিয়ে মানুষ বাঁচে কিভাবে? সেই অসম্ভব কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকা মানুষটাই যখন শোককে শক্তিতে পরিণত করে ১৯৮১ সালে সব হুমকি, ষড়যন্ত্র মাথায় নিয়ে দেশে ফিরে তাঁর পিতার মতো জাতির মুক্তির প্রতীক হয়ে উঠছিলেন- তা দেখতে দেখতে আমার শ্রদ্ধা, ভালোবাসার একটা বিশাল অংশ তিনি দখল করে নিয়েছিলেন। সুতরাং আপনি যে প্রশ্নটি আমাকে করেছিলেন তার উত্তরটা আসলে কি বা কেন তা বুঝতেই পারছেন। 

এক সময় আপনি রাজনীতি থেকে কিছুটা দূরে ছিলেন! কেন ? 
মোহাম্মদ ফয়সাল আহসানউল্লাহ :
আসলে এ বিষয়ে একটা ভুল ধারণা আছে অনেকেরই। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আদর্শ বা রাজনীতি কোনটা থেকেই আসলে আমি দূরে ছিলাম না কখনোই। দলের সকল কার্যক্রমেই আমি নিয়মিতভাবে অংশ নিয়েছি নিয়মিতভাবে সবসময়। যেমন উদাহরণ হিসেবে বলি ১৯৯১-৯৬ তৎকালীন দুর্নীতিগ্রস্ত, ফ্যাসিস্ট বিএনপি সরকার বিরোধী আন্দোলনে আমি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছি। ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াতের দুশাসনের সময় নেতাকর্মীদেও পাশে ছিলাম। ওয়ান ইলেভেনের সময় নেত্রী এবং দলের পক্ষে কাজ করেছি। কাজেই দূরে ছিলাম কথাটা আসলে ভুল। আসলে আমি একটা বিষয় সবসময় মেনে চলার চেষ্টা করি। তা হলো যখন যে দায়িত্ব আমার অর্পিত হবে বা হয় তা তখন পরিপূর্ণভাবে, মনোযোগের সাথে তা পূর্ণ করার চেষ্টা করি। এখন সেটার জন্য যে আমাকে হাঁকডাক দিয়ে সবাইকে জানিয়ে করতে হবে- এটা আমি মনে করি না। আমার উপর যিনি বা যে দায়িত্ব দেন তাঁদের বিশ্বাসের মর্যাদা রাখাটা আমার কর্তব্য, আমার দায়িত্ব। এখন সেটা নীরবে হোক আর সরবে, আমি তা পালন করে এসেছি সবসময়, ইনশাল্লাহ আগামী দিনগুলোতেও করব। 

ইদানীং রাজনীতিতে আপনি বেশ সরব, কারণটা বলবেন?
মোহাম্মদ ফয়সাল আহসানউল্লাহ :
দেখুন আমি আগেই বলেছি, আমি যে রাজনীতির সাথে বা দলের সাথে যুক্ত ছিলাম না তাতো নয়। হয়তো তখন বিষয়টা অনেকে এখনকার মতো খেয়াল করেনি এমনটাওতো হতে পারে। এখানে খুব জরুরি একটা কথা আপনাকে বলি। রাজনীতি কিন্তু আমার পেশা নয়। রাজনীতি আমার নেশা, আমার ভালোবাসা, আমায় অস্তিত্বের নিদর্শন। ছোটবেলা থেকে আমি যেভাবে বড় হয়েছি, সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার চেষ্টা করেছি, একটু ভালোভাবে সবাইকে নিয়ে জীবনযাপন করছি তার সবকিছুতেই কিন্তু আমার দেশের অবদান রয়েছে। দেশের এই ঋণতো কোনোভাবেই শোধ করা সম্ভব নয় আমার পক্ষে। সুতরাং রাজনীতি, সুরাজনীতির মধ্য দিয়ে আমার মতো একজন নগণ্য মানুষ দেশের কোন কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারলে নিজেকে পরম সৌভাগ্যবান মনে করবো। 

পরিচ্ছন্ন রাজনীতির কথা বলা হচ্ছে, বিষয়টি কীভাবে দেখছেন? 
মোহাম্মদ ফয়সাল আহসানউল্লাহ :
আপনারা নিজেরাই দেখছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধেয় সভাপতি, গণতন্ত্রের মানসকন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নতির শিখরে অবস্থান করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নতির লক্ষ্যে, দেশের জনগণের উন্নতির লক্ষ্যে অক্লান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছেন নিয়মিতভাবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর যে ‘জিরো টলারেন্স’ অবস্থান তা সারাবিশ্বে আজ প্রশংসিত। বিএনপি সরকারের আমলে যেখানে দলীয় দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরে থাক বরং তাদের রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত করে দুর্নীতিকে উৎসাহিত করা হতো, সেখানে আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শেখ হাসিনা তাঁর নিজ দলের দলীয় দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করেননি, করছেনও না। তাঁর লক্ষ্য একটাই- তাঁর পিতা ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’-এর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা। তাঁর এই সংগ্রামে দেশের আপামর জনগণের মতো আমিও একজন কর্মী হিসেবে কাজ করছি, করে যেতে চাই আমৃত্যু। 

আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাগুলো নিয়ে যদি একটু বলতেন 
মোহাম্মদ ফয়সাল আহসানউল্লাহ :
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১, ২০৪১ ও আগামী ১০০ বছরে বাংলাদেশের উন্নতি ও উন্নয়নের যে ডেল্টা প্ল্যান নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন আমরা তাঁর সেই স্বপ্নপূরণের পথে কাজ করে যেতে চাই। সুতরাং আমার ভবিৎষত পরিকল্পনার মধ্যে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, দেশ যত এগিয়ে যাবে আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য তত সুন্দর একটি দেশ উপহার দিয়ে যেতে পারবো। আমরা এখন আর ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র দেশ নই। বরং যারা আমাদের একদা এ নামে অবহিত করতো আজ তাদের কাছে আমরা আজ বিস্ময়কর, উজ্জ্বল এক উদাহরণ। সফল নেতৃত্বের গুণে, কারিশিমায় এগিয়ে যাওয়া এক দেশের নাম। আজ আমরা বিশ্ব ব্যাংকের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে নিজেদের অর্থেই নির্মাণ করছি পদ্মা ব্রিজের মতো বিশাল একটি প্রকল্পের কাজ। আমরা এখন বিশ্ব ব্যাংকের মুখাপেক্ষী নই বরং বিশ্ব ব্যাংক এখন আমাদের উন্নয়নের মিছিলে নিজেকে সামিল করতে আগ্রহী। দেশে তথ্য প্রযুক্তি খাতে যে বৈপ্লবিক সাফল্য তা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞার পরিচয়। খেলাধুলাতে আমাদের যত অর্জন তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই। আসলে দেশ আজ নানা খাতে এগিয়ে চলেছে দুর্দমনীয় গতিতে। আমরা সেই গতিকে আরো গতিবান করতে কাজ করে যাবো কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে- এটাই আমার স্বপ্ন। 

সম্প্রতি আপনি বাংলাদেশ হকি ফেডারেশেনের কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন। হঠাৎ নির্বাচনের কোন নির্দিষ্ট কারণ আছে কি?
মোহাম্মদ ফয়সাল আহসানউল্লাহ : আসলে হঠাৎ নয়। হঠাৎ শব্দটা এখানে বললে ভুল হবে। কারণ, আমি মডেলিং বা রাজনীতিতে আসার আগে হকি খেলার সাথে জড়িয়ে আছি। স্কুল জীবনসহ লীগেও আমি টানা দশ বছর হকি খেলেছি। এ ছাড়া হকির যেকোন আয়োজন বা প্রয়োজনে আমি সবসময়ই ছিলাম। তো আমার হকির প্রতি এই কমিটমেন্ট থেকেই আমার মুরুব্বী, সতীর্থ খেলোয়াড়, বন্ধু-বান্ধবদের অনুরোধ এবং বাংলাদেশ হকির উন্নয়নে আমার চিন্তা-ভাবনা, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলাম। আমি হকি ভালোবাসি। একটা সময় জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে বাংলাদেশে ফুটবলের পরই ছিল হকির অবস্থান। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় আমাদের হকির সেই স্বর্ণালী যুগ এখন আর নেই। কিন্তু এই খেলাটির প্রতি আমার মতো সারাদেশে আরো অনেকের ভালোবাসা আছে, ভালোলাগা আছে। সেই ভালোলাগা, ভালোবাসাটুকু সাথে নিয়ে সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করলে আমি বিশ্বাস করি হকির সুদিন আবার ফিরিয়ে আনা সম্ভব। আমাদের বর্তমান নির্বাচিত কমিটি সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে। একইসাথে আরেকটা বিষয় আমি যোগ করতে চাই তা হলো দেশে এখন প্রায় ৭০ ভাগ যুব সম্প্রদায় রয়েছেন। তাদেরকে হকিসহ ক্রীড়াঙ্গনের অন্যান্য খেলাধুলার সাথে যুক্ত করে একটি উজ্জীবিত, মাদকমুক্ত যুব সমাজ তৈরি করা আমার অন্যতম লক্ষ্য।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ