দেশের অর্থনীতির ভালোমন্দ

  সুভাষ সিংহ রায়

০২ মার্চ ২০২৪, ১৩:২৭ | অনলাইন সংস্করণ

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের পিতা ঠাকুর দাস বন্দ্যোপাধ্যায় তার পুত্রের জন্মের পর সরকারি চাকরি পেয়েছিলেন। প্রথম মাসে বেতন পেয়েছিলেন ২ টাকা। এতে ঠাকুর দাস বন্দ্যোপাধ্যায় যারপরনাই দুচিন্তায় পড়েছিলেন। কারণ ঠাকুর দাস বন্দ্যোপাধ্যায় চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন এত টাকা দিয়ে তিনি করবেন কী? কেননা গোলা ভরা ধান, পুকুর ভরা মাছ, জমিতে শাকসবজি—খরচ করার জায়গা ছিল না। ১৮২০ সালে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্ম, অর্থাৎ সময়টা হচ্ছে আজ থেকে ২০৪ বছর আগে। সেই গল্পের অবতারনা করার কারণ আছে। সময় অনেক পেরিয়ে গেছে এবং সময়ের তালে তালে অনেক কিছুর পরিবর্তন ঘটেছে। অবশ্যই তা ভালোমন্দ মিলিয়ে। বিদ্যাসাগরের বাবার চাহিদা ছিল খুবই সীমিত; তা ছাড়া খরচ করার জায়গাও আজকের তুলনায় অনেক অনেক সংকুচিত। তখন বাজার ব্যবস্থাপনা ছিল মূলত উৎপাদক ও ক্রেতার মধ্যে সীমাবদ্ধ। মনে হতে পারে তখন মধ্যস্বত্বভোগকারীর জন্ম হয়নি কিংবা এরকম বাড়বাড়ন্ত ছিল না। সেই সময়েরও প্রায় ২০০ বছর আগে মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময়ে ১৬০৮ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতের সুরাটে বাণিজ্য কুঠির স্থাপন করে। কিন্তু এটা তো ঠিক, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতবর্ষে আসার আগে কোনোদিন ভারতবর্ষের মাটিতে কোনো দুর্ভিক্ষ হয়নি। ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ২৪ ঘণ্টা লন্ডনে ছিলেন, যে সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু যে বক্তব্য রেখেছিলেন, সেখানেও তিনি স্পষ্ট করে ব্রিটিশদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন শত শত বছর ধরে বাংলাদেশের সম্পদ শোষণের কথা। যে কোনো পাঠক প্রশ্ন তুলতে পারেন—২০২৪ সালের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ত্রুটির সঙ্গে এসব ঐতিহাসিক তথ্যের সম্পর্ক কী? সোজাসাপটা বললে বলতে হয় আজকের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে এসব যুক্তির মূল্য আছে কি? আবার যদি প্রশ্ন করি, উন্নত দেশগুলোতে বিগত কয়েক বছর ধরে কেন ‘মিল ম্যানেজমেন্ট’ ও ‘গ্রোসারি ম্যানেজমেন্ট’-এর কথা বলা হচ্ছে? কানাডার মতো উন্নত দেশে নাগরিকদের লোনের মাসিক কিস্তির পরিমাণ কেন দ্বিগুণ-তিনগুণ বেড়েছে? তাহলে এটা সন্দেহাতীতভাবে বলা যায়, সার্বিকভাবে বিশ্বের সর্বত্রই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন বিশ্বের খাদ্য ভান্ডারে যখন দীর্ঘ সময় ধরে যুদ্ধ চলে, তখন খাদ্যমূল্য স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাবেই। বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি কি শুধু সে কারণেই নাকি আমাদের ব্যবসায়ীদের ছলচাতুরী এই বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। গত ২৩ তারিখে প্রধানমন্ত্রী খুবই দুঃখ করে বলেছেন, ‘বস্তায় বস্তায় পেঁয়াজ রেখে দেবে আর সেই পেঁয়াজ পচে গেলে তা আবার ফেলে দেবে।’ সেই ব্যবসায়ীদের কথা তিনি স্পষ্ট করেই বলেছেন। দেশ থেকে অর্থ পাচার দেশের অর্থনীতির জন্য খুবই উদ্বেগজনক বিষয়। আন্ডার ওভার ইনভয়েসিং করে দেশ থেকে ডলার পাচার করা হচ্ছে। সরকার ইচ্ছা করলেই কি তা বন্ধ করতে পারবে? অবশ্যই পারবে। এখন তো তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। বিশ্ববাজারে কোন জিনিসের দাম কত, সেটা বের করা খুবই সহজ। বাংলাদেশ ব্যাংক যদি একটি শক্তিশালী কমিটি করে দেয়, কমিটি যদি প্রতিটি এলসি পরীক্ষা করে, আন্ডার ওভার ইনভয়েসিং থাকলে অ্যালাউ না করে, তাহলেই হয়। আমাদের দেশে প্রতি বছর আমদানিতে প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলারের ওভার ইনভয়েসিং হচ্ছে। তাহলে এখন কী বলবো? উত্তর কী আছে? অবশ্যই আছে। মূল সমস্যা হচ্ছে কোনো কোনো সময়ে আওয়ামী লীগ ঘরের শত্রু বিভীষণকে চিনতে পারে না। আওয়ামী লীগ দল হিসেবে এই মূল্যায়ন কি করেছে তাদের দলের নেতাকর্মীরা কতটা অর্থনৈতিকভাবে স্বাচ্ছন্দ্য ফিরে পেয়েছে? আর আওয়ামী লীগের নাম করে আওয়ামী লীগ শক্তি কতটা লাভবান হয়েছে। গত ১৫ বছরে জামায়াত-বিএনপি বাণিজ্য সিন্ডিকেট কি সক্রিয় ছিল না? আবার এ প্রশ্নও থেকে যায়—আওয়ামী লীগের আমলেও জামায়াত-বিএনপি ব্যবসায়ী চক্র শক্তিশালী থাকতে পারছে কী মন্ত্রবলে?

দুই. আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা কোন সময়ে ভালো ছিল? সেটা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে না অআওয়ামী লীগ সরকারের আমলে, সেটা বুঝতে হবে, জানতে হবে। তথ্য যাচাই-বাছাই করে মন্তব্য করতে হবে এবং সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা প্রায়ই চটজলদি মন্তব্য করে থাকি, যা কোনো ক্ষেত্রে বাস্তবতার সঙ্গে কোনো মিল থাকে না। এই দেশে একটা সময় গেছে উন্নত রাষ্ট্র, মধ্যম আয়ের দেশ—এসব চিন্তা দূরে থাক, খেয়ে-পরে বাঁচার দাবিটাই যে শেষ কথা ছিল, আর এ কথাটা এখন অনেকেই স্বীকার করেন না। ২০০১ সালে আজকের প্রধানমন্ত্রী যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের (লতিফুর রহমান সরকার) কাছে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন, তখন দেশে বিদ্যুতের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট। আবার যখন ২০০৯ সালে জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন, তখন পেয়েছিলেন ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। অর্থাৎ শেখ হাসিনার রেখে আসা বিদ্যুতের ১ হাজার ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নেই। আর এখন সারা দেশে ৪১ হাজার ইজিবাইক চলে এবং এত ইজিবাইকের চার্জ দিতে লাগে ৩ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি গণভবনের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘আগে অভাবের সময় মানুষ ভাতের অভাবের কথা বলতেন, এখন তা বলেন না।’ এখন মাংসের অভাবের কথা বলেন, মাছের অভাবের কথা বলেন। এটাই হচ্ছে বড় পার্থক্য। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী ও বাস্তববাদী অর্থনৈতিক পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ দ্রুত সফলতা পেতে শুরু করেছিল। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ১৯৭২ সালে দেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৯৪ ডলার, ১৯৭৫ সালে তা ২৭৭ ডলারে উন্নীত হয়েছিল। অন্যদিকে, বঙ্গবন্ধুর শাসনামলের পরবর্তীকালে ১৯৭৬ সালে তা ১৩৮ ডলারে নেমেছিল। পরের বছর, অর্থাৎ ১৯৭৭ সালে এর আরও অবনতি ঘটে, মাথাপিছু আয় নামে ১২৮ ডলারে। এসব বিবেচনা করলে আমরা দেখতে পাই অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগ, খাদ্য সংকট, যুদ্ধ-পরবর্তী ধ্বংসপ্রাপ্ত অবকাঠামো, দুর্নীতি, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ইত্যাদি প্রতিকূলতা সত্ত্বেও জাতির পিতার অসামান্য নেতৃত্ব গুণে দেশ যাত্রা শুরু করেছিল এক স্বর্ণালি ভবিষ্যতের পথে। বাঙালি জাতির দুর্ভাগ্য, আমরা আমাদের স্বাধীনতা ও উন্নয়নের প্রাণপুরুষ বঙ্গবন্ধুকে ধরে রাখতে পারিনি। বঙ্গবন্ধুবিহীন বাংলাদেশ পুনরায় ধাবিত হয় অন্ধকারের পথে। ইদানীং আরেকটি বিষয় চাউর হয়েছে, দেশের ১০০ বিলিয়ন ডলার ঋণ এবং সুদাসলে শোধ করতে করতে আমরা ফতুর হয়ে যাব। আমরা নাকি দেউলিয়া হয়ে যাব। ওই যে বলেছি, আমরা ইতিহাস জানি না বা ইতিহাস জানলেও তার থেকে শিক্ষা নিই না। প্রথম ভুল তথ্যটি হচ্ছে, ১০০ বিলিয়ন ডলারের পুরাটাই সরকারি লোন নয় । বেসরকারি লোনও রয়েছে। একটা কথা পরিষ্কার করে বলা উচিত, যারা বলেন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জ নেই তারা ঠিক বলেন না; আবার যারা বলেন দেশ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে তারাও ঠিক বলেন না। তাহলে একটি উদাহরণ দেওয়া যাক—১৯৯১ সালে ভারতে মুদ্রার সংকট দেখা দিয়েছিল। মুদ্রাস্ফীতি পৌঁছে গিয়েছিল ১৬.৭ শতাংশে। সরকারের আয়ের থেকে অনেক ব্যয় বেড়ে গিয়েছিল। ভারতে তখন বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ উঠিয়ে নিতে শুরু করেন। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ৬ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে, যার দ্বারা ভারত মাত্র তিন সপ্তাহের আমদানি করতে পারত। ওই সময়টায় ভারতের বিদেশি লোন পাওয়াও খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তীব্র অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় চন্দ্রশেখর সরকার তখন আইএমএফের দ্বারস্থ হয়। আইএমএফ থেকে ২.২ বিলিয়ন ঋণ নিতে আবেদন করলে জামানত হিসেবে রাখতে হয় স্বর্ণ। রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ৬৭ টন স্বর্ণ ব্যাংক অব ইংল্যান্ড (৪৭ টন) ও ইউনিয়ন ব্যাংক অব সুইজারল্যান্ডে (২০ টন) পাঠিয়ে দেয়, যাতে ৬০০ (৪০০+২০০) মিলিয়ন ডলারের ফান্ড গঠন করে ঋণখেলাপি দশা থেকে রক্ষা পায়। আবার ২০০৯ সালে ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক আইএমএফ থেকে ২০০ টন স্বর্ণ কিনতে সক্ষম হয়। আমরা আসলে বিশ্বের অর্থনৈতিক ইতিহাস পাঠ করিনা। অনেকে হয়তো অনেক বিষয় জানেনই না। এবার আসা যাক বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনীতি প্রসঙ্গে। প্রসঙ্গক্রমে কয়েকটি বিষয় আলোচনায় আনা যেতে পারে। যেমন টানা ৫ মাস ধরে মুদ্রাস্ফীতি কমছে, বাড়ছে রাজস্ব আদায়, বাজেট ঘাটতি কমছে, তৈরি পোশাক খাতে ক্রয়াদেশ বাড়ছে, প্রবাসী আয় বাড়ছে, রপ্তানি আয়ে রেকর্ড, ব্যাংকে আমানত বাড়ছে, কমেছে খেলাপি ঋণ। তারল্য সংকট কেটে যাচ্ছে—সেটার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষে ব্যাংক খাতে আমানত দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৫৪ হাজার কোটি টাকা, যা বিগত বছরের প্রায় একই সময়ে ছিল ১৪ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ঋণের সুদ বাড়ার কারণে আমানতের সুদহার বেড়ে গেছে। আর আমানতের সুদহার বাড়ার কারণে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন সুদ আয়নির্ভর আমানতকারীরা, যা নিঃসন্দেহে ভালোর ইঙ্গিত। ব্যাংকের এমডিরা বলছেন, যখন থেকে সুদহার নির্ধারণে নতুন পদ্ধতির প্রচলন ঘটেছে, তারপর থেকেই এর প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্মার্ট রেট (ছয় মাসের ট্রেজারি-বিল বন্ডের গড় রেটের) অনুযায়ী সুদহার বাড়ানো হচ্ছে। চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য ব্যাংকের বিনিয়োগে (ঋণে) সর্বোচ্চ সুদহার ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মধ্যে তারল্য সংকটে থাকা ইসলামী ব্যাংক আরও প্রতিযোগিতামূলক হারে সর্বোচ্চ ১১ থেকে ১২ শতাংশ মুনাফায় আমানত নিচ্ছে। আমানতে প্রবৃদ্ধির যা অন্যতম প্রধান কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে এক বছরের বেশি সময় ধরে আমানতের সুদহার ছিল মূল্যস্ফীতি হারের চেয়ে নিম্ন। আমাদের কি দুর্বলতা নেই, ব্যর্থতা নেই। উত্তর হচ্ছে অবশ্যই আছে। আমাদের বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা রয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, দ্রব্যমূল্য ও সামষ্টিক অর্থনীতি’ শিরোনামে উল্লেখ করা হয়েছিল “জনগণের জীবনযাত্রার ক্রমাগত মানোন্নয়ন, তাদের আয়-রোজগার বৃদ্ধি এবং খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে স্থিতিশীল রাখা হবে। দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখা, খাদ্য সংশ্লিষ্ট ভোগ্যপণ্যের পর্যাপ্ত উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। বাজার ব্যবস্থার সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে। ‘ভোক্তা অধিকার’কে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হবে এবং ভোক্তাদের সহায়তায় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট মোকাবিলা করা হবে। বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোর হস্তে দমন করা হবে।” সবার শেষে আবারও মনে করিয়ে দিতে চাই, এবারের ২০২৪ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে ১১টি রূপরেখার কথা স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে। সবার আগে যা বলা হয়েছে, ‘দ্রব্যমূল্য সকলের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।’ আমরা তাই আশাবাদী খুব দ্রুত বাংলাদেশ সরকারের (আওয়ামী লীগের ইশতেহারের) এই প্রতিশ্রুতির যথাযথ বাস্তবায়ন ঘটবে।


সুভাষ সিংহ রায় : রাজনৈতিক বিশ্লেষক; সাবেক সহ-সভাপতি- বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল, প্রধান সম্পাদক- সাপ্তাহিক বাংলা বিচিত্রা ও এবিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম।

এই বিভাগের আরো সংবাদ