আজকের শিরোনাম :

দুর্বল চিত্রনাট্য ও বিএনপির অফিস নাটক

  সুভাষ সিংহ রায়

১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৬ | আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৫ | অনলাইন সংস্করণ

সুভাষ সিংহ রায়
গত ১১ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিক শিরোনাম করেছে ‘বিএনপি কার্যালয়ে ৭৫ দিন পর নীরবতা ভাঙল’। মাইকেল মধুসূদন দত্তের মেঘনাদবধ কাব্যের একটি লাইন ছিল এমন—‘ভিখারির দশা তবে কেন তোর আজি, বিএনপির কার্যালয়ের তালা ভাঙার ছবি সেই লাইনটার কথা মনে করিয়ে দেয়। বিএনপির এই রাজনৈতিক একাঙ্কিকার দৃশ্য জনমনে বেশ কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে বৈকি। কিন্তু এ কথা ঠিক, এই নাটকের চিত্রনাট্য বেশ দুর্বল। সবাই জানে কারা তালা মেরেছে, কারাই বা তালা ভেঙেছে। দেশের মানুষ সব জানেন এবং বোঝেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দেশবিরোধী শক্তি নির্বাচন বানচাল করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিল। ৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী দুঃখ করে বলেছিলেন, ‘হত্যা, ষড়যন্ত্র, মানুষ খুন বিএনপির একমাত্র গুণ।’

৭ জানুয়ারির নির্বাচন দেশবিরোধী শক্তি রুখে দেওয়ার নির্বাচন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ এ নির্বাচনে বেশ কয়েকটি বিষয়ে লক্ষ করা যায়। যেমন নমিনেশন দেওয়া হয়নি একাদশ জাতীয় সংসদের ৭১ এমপিকে। আবার নৌকা প্রতীক নিয়েও পরাজিত হয়েছেন ৪৪ জন। সব মিলিয়ে গত সংসদে থাকা আওয়ামী লীগের ১০৬ এমপি এবারে সংসদে যেতে পারেননি। ফলে এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি নতুন এমপি এবার আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলে। নির্বাচনের ফল ঘোষণার ছয় দিন পার হয়েছে। এখনো দেশবিরোধী শক্তি নানাভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েই যাচ্ছে।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতীয় নির্বাচনে তার দলের নিরঙ্কুশ জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে এবং তার সরকারের সঙ্গে অব্যাহতভাবে কাজের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ডব্লিউইএফ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ১৫-১৯ জানুয়ারি সুইজারল্যান্ডের ডাভোস-ক্লিস্টার্সে অনুষ্ঠেয় ৫৪তম বার্ষিক সভায় যোগদানের আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো এক বার্তায় ডব্লিউইএফর নির্বাহী চেয়ারম্যান অধ্যাপক ক্লাউস শোয়াব বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয়ে আপনার দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অনুগ্রহ করে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের পক্ষ থেকে আমার অভিনন্দন গ্রহণ করুন। আমি নতুন মেয়াদে আপনার এবং আপনার সহকর্মীদের সাফল্য কামনা করি।’ তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার পূর্ণ লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম মুখিয়ে আছে। ‘আস্থার পুনর্নির্মাণ’ প্রতিপাদ্যের অধীনে ৫৪তম বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে শোয়াব বলেন, ‘আমি আপনাকে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ৫৪তম বার্ষিক সভায় আমন্ত্রণ জানানোর সুযোগ নিতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘আমি সত্যিই এ প্রচেষ্টায় আপনাকে জড়িত করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি এবং আশা করি আপনাকে ডাভোসে স্বাগত জানাতে পারব।’

দুই. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্পষ্ট ঘোষণা: ‘এই দেশে অগণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতায় আসার রাস্তা চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোনো ষড়যন্ত্র, কোনো শক্তি বাংলাদেশকে আর পেছনের দিকে নিয়ে যেতে পারবে না।’ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থাসহ (ওআইসি) বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বেশ কয়েকটি দেশের পর্যবেক্ষকরা। আমন্ত্রিত এসব বিদেশি পর্যবেক্ষক বাংলাদেশের সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনের পরিবেশের প্রশংসা করেছেন। ৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় নির্বাচনের ভোট পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তারা এ মন্তব্য করেন তারা। সরকারের আয়োজনে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের অংশগ্রহণে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখার কথা জানিয়ে ফিলিস্তিনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাশিম কুহাইল বলেন, ‘ভোট শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া ভোটের পরিবেশও খুব ভালো ছিল। নাগরিকদের ভোটদান প্রক্রিয়াও খুব সহজ ছিল।’ কানাডার পার্লামেন্ট সদস্য চন্দ্রকান্ত আর্য বলেন, ‘ভোট সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছে। ভোটে রেকর্ডসংখ্যক নারী ভোটার উপস্থিত ছিলেন। আমরা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী ভোটকেন্দ্রে গিয়ে লোকজনের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। সুষ্ঠু ভোট প্রক্রিয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অভিনন্দন জানাই।’ এক প্রশ্নের জবাবে চন্দ্রকান্ত আর্য বলেন, ‘যারা ভোট বর্জন করেছে, সেটি তাদের বিষয়, এটি আমাদের বিষয় না। কানাডায়ও ভোট ৪৩ শতাংশ পড়েছিল, সেটি নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলেনি। জনগণ ভোট দিতে পারছে কি না, এটিই দেখার বিষয়। ভোটার কত শতাংশ এলো তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যারা এসেছে, তারা ঠিকমতো ভোট দিয়েছে নির্বিঘ্নে। তাই এ নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কারণ নেই।’ নাইজেরিয়ার সিনেটর প্যাট্রিক সি বলেন, ‘ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয় লোকজনকে উৎসাহের সঙ্গে ভোট দিতে দেখেছেন। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।’ সাউথ এশিয়া ডেমোক্রেটিক ফোরামের নির্বাহী পরিচালক পাওলো কাসাকা বলেন, ‘নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। তবে প্রধান বিরোধী দল এলে নির্বাচন আরও অংশগ্রহণমূলক হতো। স্বচ্ছ ভোটার তালিকা ও ভোট পদ্ধতির প্রশংসা করেন তিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘যারা নির্বাচন বর্জন করেছে, তাদের দ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে আসা উচিত।’ পর্তুগালের নাগরিক কাসাকা বলেন, ‘আমি মর্মাহত যে সহিংসতা এখনো ঘটছে। দ্বিতীয় যে কারণে আমি দুঃখিত, সেটি হচ্ছে বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য না হওয়া। এখানে ঐকমত্য হলে পূর্ণ অংশগ্রহণ হতো।’ বিরোধী দলের সমালোচনা করে কাসাকা আরও বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে হলে সরকারকে চলে যেতে হবে। এর মানে কী? এটি মৌলিকভাবে একটি অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। সহিংসতার চক্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে এবং এজন্য আলোচনার টেবিলে বসতে হবে বলে মনে করেন পাওলো কাসাকা। তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচন বর্জন করেছে, তাদের যত দ্রুত সম্ভব রাজি হতে হবে সবার সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য। যাতে কখনো বর্জন না হয় সেটি নিশ্চিত করার জন্য।’

তিন. স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট মন্ত্রিসভা। গত তিন দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে এবারই সবচেয়ে ছোট মন্ত্রিসভা ঘোষণা করা হলো। ১০ জানুয়ারি ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রীর নাম প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ১৯৯১ সালের পর থেকে এটিই সবচেয়ে ছোট মন্ত্রিসভা। বিদায়ী সরকারে থাকা ১৫ মন্ত্রী এবং ১৩ প্রতিমন্ত্রী এবং দুই উপমন্ত্রীর নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান হয়নি। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য নতুন সরকারের স্মার্ট মন্ত্রিসভায় অর্ধেকের বেশি মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী প্রথমবারের মতো সরকারের দায়িত্ব পালন করতে আসছেন। লক্ষণীয় যে, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্ব পালন করা পাঁচজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীকে নতুন মন্ত্রিসভায় রাখেননি শেখ হাসিনা। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে উন্নয়ন ঘটেছে, তাকে আরও গতিময় করতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ কারণে অর্থ, পরিকল্পনা, বাণিজ্য, কৃষি, স্বাস্থ্য, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তুলে দিচ্ছেন নতুন মন্ত্রীদের হাতে। পররাষ্ট্র, টেলিযোগাযোগ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে নতুন মন্ত্রী আসছেন। বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ও সম্পূর্ণ নতুন মন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সম্ভবত ঢেলে সাজানো হবে শিল্প মন্ত্রণালয়ও।

নতুন সংসদকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের অভিনন্দন অব্যাহত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত বঙ্গভবনে মন্ত্রিপরিষদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন পৃথিবীর সব গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র ও সরকার। আমাদের নিকট প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভুটান এরই মধ্যে অভিনন্দন জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। পরাশক্তিগুলোর মধ্যে চীন ও রাশিয়া নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরই অভিনন্দন জানিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি ডিপ্লোম্যাটিক বার্তা দিয়েছে। তারা বলেছে, নির্বাচনে যেসব অভিযোগ এসেছে, নতুন সরকার দ্রুততম সময়ে সেসব নিষ্পত্তি করে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে সংহত করবে, এটি তারা আশা করে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য অবশ্য নির্বাচন নিয়ে যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তাতে তারা বলেছে, সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হলে জনগণের বেছে নেওয়ার সুযোগ বাড়ত। তাদের বক্তব্য আংশিক সত্য। নির্বাচনে কারচুপি বা নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, এটি তারা বলেনি। কিন্তু যারা আসেনি, তারা এলে আরও ভালো হতো, এ-কথা বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনও বলেছে। যারা আসেনি, তারা কেন আসেনি, এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহল যত কম মাথা ঘামায়, ততই ভালো। তবে মন্ত্রিসভা শপথ গ্রহণের পর এ দেশগুলো নিশ্চয়ই নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানাবে, আশা করা যায়।

আমরা জানি, আওয়ামী লীগের ইশতেহারে স্মার্ট সরকারের কথা বলা হয়েছে। প্রযুক্তির ব্যবহার সরকার পরিচালনা ব্যবস্থাকে দক্ষ, কার্যকর এবং সাশ্রয়ী করে তুলবে, সর্বোপরি সুশাসন প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করবে। সরকারের প্রতিটি সিদ্ধান্তই হবে জ্ঞানভিত্তিক ও তথ্যনির্ভর; প্রতিটি সেবা হবে চাহিদা অনুযায়ী এবং সমন্বিতভাবে। আইওটি, মেশিন লার্নিং, ক্লাউড কম্পিউটিং ইত্যাদি প্রযুক্তির মাধ্যমে সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং অন্যান্য উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যাবলি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে স্মার্ট নাগরিকদের স্মার্ট প্রতিনিধির সঙ্গে যুক্ত হয়ে সরকার পরিচালনার সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করবে। সরকার তথা রাষ্ট্র হয়ে উঠবে আরও স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক। দূরদর্শী নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান; যার সাফল্যের ভিত্তিতে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ অপ্রতিরোধ্য গতিতে অগ্রসর হচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য অর্জনের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজ অব্যাহত রাখবে এবং সমন্বয় সাধন করবে। আমন্ত্রিত পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে।

৮ জানুয়ারি প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে কয়েকটি লাইন এখানে উল্লেখ করা যায়—‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থাসহ (ওআইসি) বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বেশ কয়েকটি দেশের পর্যবেক্ষকরা। আমন্ত্রিত এসব বিদেশি পর্যবেক্ষক বাংলাদেশের সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনের পরিবেশের প্রশংসা করেছেন।’

২০১৪ সালে ১০ জাতীয় সংসদেও নির্বাচনের পরও বলা হয়েছিল সেই সরকার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে না। কিন্তু আমরা দেখলাম, কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) চেয়ারপারসন হিসেবে আমাদের স্পিকার এবং ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমাদের একজন সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী নির্বাচিত হওয়ায় এটি প্রমাণিত হয়েছিল, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং এ দেশের গণতন্ত্রের মানের প্রতি বিশ্ববাসীর আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে।


সুভাষ সিংহ রায় : রাজনৈতিক বিশ্লেষক; সাবেক সহ-সভাপতি- বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল, প্রধান সম্পাদক- সাপ্তাহিক বাংলা বিচিত্রা ও এবিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম।

এই বিভাগের আরো সংবাদ