আজকের শিরোনাম :

অনুগল্প

বানর ও তৈলাক্ত বাঁশ এবং আমাদের রাজনীতিকরা

  মোশাররফ হোসেন মুসা

২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪৭ | অনলাইন সংস্করণ

মোশাররফ হোসেন মুসা
বর্তমান সময়ে বেসরকারি কলেজের শিক্ষকরা সবচেয়ে বেশি অবসর সময় কাটান। কারণ তারা দু/তিনটা ক্লাস নিয়ে বাড়িতে চলে আসতে পারেন। তবে তাদের মধ্যে যারা বিজ্ঞানের শিক্ষক তারা নিজ নিজ বাড়িতে কলেজ খুলে বসেছেন। আরা যারা মানবিক বিভাগের শিক্ষক কোচিং জগতে তাদের কোনো কদর নেই। ফলে তাদের আড্ডায় পাওয়া যায় বেশি। সেখানেও সমস্যা আছে। সংখ্যায় একজন হলে কুশলাদি বিনিময় হয়, দুই জন হলে বেতন-ভাতা বৃদ্ধি পেল কি না - তা নিয়ে সলাপরামর্শ হয়। তিনজন হলে নিজ নিজ কলেজের প্রিন্সিপাল নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। আর যদি ৭/৮ জন হয়, তাহলে দেশ উদ্ধার শুরু হয়ে যায়। 

তো সেদিনকার আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন- সাদ আহমেদ, কালাম আজাদ, ফরিদ আহমেদ, সুদীপ্ত, মোজাম্মেল, শিমুল, আল-মাহমুদ, হাসানুজ্জামান প্রমুখ শিক্ষকবৃন্দ। রাজনীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থার গোষ্ঠী উদ্ধার শেষে হাইস্কুল জীবনে সাক্ষাৎ পাওয়া আলোকিত শিক্ষকদের স্মৃতিচারণে মনোযোগ স্থিত হয়। বিষয়বস্তু যাদব চক্রবর্তীর পাটিগণিত। কেউ বলেন তাঁর পাটিগণিতে মজার মজার অংক ছিল। কেউ বলেন ঐকিক নিয়ম, সুদকষা, অনুপাতিক অঙ্ক শিখে তার জীবনে কোনো উপকার হয়নি। কারণ বীজগণিতে দখল থাকলে অন্তত দু-একটি টিউশনি পাওয়া যেতো। আল মাহমুদ বলেন অন্য কথা। যাদব চক্রবর্তীর বানর ও তৈলাক্ত বাঁশের অংকটি তুলে দেওয়া মোটেই ঠিক হয় নি। 

অংকটি হলো- " একটি তৈলাক্ত বাঁশ বাহিয়া একটি বানর ১ম মিনিটে ৩ মিটার উঠিয়া যায়। কিন্তু ২য় মিনিটে ২ মিটার নিচে নামিয়া আসে । বাঁশটির উচ্চতা ৫০ মিটার হলে, বানরটির বাঁশের আগায় চড়িতে কত সময় লাগিবে? এ অংকটি প্রত্যেক রাজনীতিকের শেখা বাধ্যতামূলক করতে হবে। কারণ অংকটিতে তেল ও বাঁশের কথা আছে। তাছাড়া কলেজ শিক্ষকদেরও উচিত অংকটি মনে রাখা। তেলের বহুবিধ ব্যবহারের কথা তাদের ভুলে যাওয়া ঠিক হবে না।

লেখক: গণতন্ত্রায়ন ও গণতান্ত্রিক স্থানীয় সরকার বিষয়ক গবেষক।

এই বিভাগের আরো সংবাদ