আজকের শিরোনাম :

মানিকগঞ্জে ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেয়েছে ৩৫ তরুণ তরুণী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:১৯

পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে কোন তদবির সুপারিশ ছাড়াই শতভাগ স্বচ্ছতায় নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মাত্র ১২০ টাকার পুলিশে চাকরি পেয়েছে ৩৫ জন তরুণ তরুণী। কোনো রকম ঘুষ তদবির ছাড়াই মেধা ও যোগ্যতার মূল্যায়নে চাকরি পাওয়ায় খুশি তারা। চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণায় সময় স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় আনন্দে কেঁদেও ফেলেন কেও কেও।

বৃহস্পিতবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইন্সে পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নিয়োগ বোর্ডের অন্য দুই সদস্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার টাংগাইল সদর সার্কেল মো: সোহেল রানা, মানিকগঞ্জ ডিএসবি ইয়াসিনা ফেরদৌস সহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুজন সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) ইমতিয়াজ মাহবুব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ডিএসবি নুরজাহান লাবনী।

পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৮, ৯ ও ১১ মার্চ জেলা পুলিশ লাইন্স মাঠে পুলিশ কনস্টেবল পদে ১০৭৬ জন চাকরি প্রার্থীর শারীরিক মাপ ও কাগজপত্র যাচাই বাছাই সম্পন্ন হয়। মাঠ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৫৬০ জন। ৪ এপ্রিল লিখিত পরীক্ষায় ৯৭ জন উত্তীর্ণ হন। এদের মধ্য থেকে ৩৫ জন চূড়ান্ত ভাবে মনোনীত হন। মনোনীতদের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ ও ৫ জন নারী রয়েছে।
চূড়ান্ত ভাবে উত্তীর্ণদের একজন অনন্ত রাজবংশী তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায়  বলেন, পুলিশে চাকরির প্রতি আমার ধারণাই ছিল ভিন্ন রকম। কিন্তু ১২০ টাকা ব্যাংক ড্রাফট করে আমি চাকরির জন্য উত্তীর্ণ হয়েছি। শুধুমাত্র যোগ্যতার ভিত্তিতেই আমাদের উত্তীর্ণ করা হয়েছে। এ জন্য পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ জানাই।

প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন অনেকেই। উত্তীর্ণরা বলেন, স্বপ্ন ছিল পুলিশ সদস্য হবো। যখন আবেদন করলাম, তখন অনেকেই বলেছে তদবির আর ঘুষ ছাড়া চাকরি হবে না। কিন্তু তদবির আর ঘুষ ছাড়াই আমার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে আজ। ব্যাংক ড্রাফট বাবদ মাত্র ১২০ টাকা খরচ হয়েছে।

মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান বলেন, যে ৩৫ জন চাকরী পেয়েছে ওরা নিজেদের যোগ্যতায় চাকরী পেয়েছে। আমাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া একেবারইে স্বচ্ছ অনলাইলে সকল কাগজপত্র যাচাই হচ্ছে, নিয়োগের বিষয়টি পুলিশ হেডকোয়াটার্স থেকেই সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। আমাদের এখানে শুধু ভাইবা নেওয়া হয়। যে কারণে কোনো ধরনের অনিয়মের সুযোগ নেই। যারা চাকরি পেয়েছেন তারা বেশির ভাগই হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান। আমরা শুরু থেকেই প্রার্থীদের জানিয়েছি তারা যেন কোনো ধরনের দালাল ও মধ্যস্বত্তভোগীদের খপ্পরে না পড়ে। কারণ বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগের ক্ষেত্রে এখন কোনো অনিয়মের সুযোগ নেই।

এবিএন/মো: সোহেল রানা খান/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ