আজকের শিরোনাম :

কুমিল্লায় লাভজনক হয়ে উঠছে তিল চাষ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ মে ২০২৪, ১৪:২৯

তিল চাষ করে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন কুমিল্লার চাষিরা। গোটা জেলাতে দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে তিল চাষ। যা স্থানীয় কৃষকদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। কেননা অন্যান্য ফসলের মতো তিল চাষে তেমন ঝামেলা নেই বললেই চলে। এ কারণে কৃষি বিভাগের পরামর্শে পতিত জমিতে তিল চাষ করে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন ও দাম ভালো থাকায় লাভবান হচ্ছেন জেলার চাষিরা। স্থানীয় বাজারসহ সারাদেশে রয়েছে এ তিলের ব্যাপক চাহিদা। এতে ভোজ্য তেলের ঘাটতি ও চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে এমনটাই মনে করছেন কৃষি বিভাগ।

কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এ বছর জেলার বরুড়া, চান্দিনা, দাউদকান্দিতে তিল চাষ করা হয়েছে। যা এরই মধ্যে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। বারি তিল-২, বারি তিল-৪ এবং বিনা তিল-৩ চাষ করে সফল হচ্ছেন এ অঞ্চলের চাষিরা। এ তিল কালো এবং গাছে ৩-৪টি প্রধান শাখা হয়। অনেকগুলো উপশাখা হয় বলে ফলনও বেশি হয়।

দাউদকান্দির দৌলতপুর গ্রামের তিলচাষি মঞ্জুর মোর্শেদ বাসসকে বলেন, তিল অত্যন্ত লাভজনক একটি ফসল। এবার ১৫ জমিতে তিল চাষ করছি। এতে খরচ হয়েছে ৫ হাজার টাকা। তিল হবে ৪ মণ। ৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি করলে ২০ হাজার টাকার তিল বিক্রি করা যাবে। খরচ বাদ দিলেও অন্তত ১৫ হাজার টাকা মুনাফা হবে বলে মনে করেন এ কৃষক।

কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক আইউব মাহমুদ জানান, তিলের তেলে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড। এ তেল ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আমরা তিল চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শের পাশাপাশি বিনামূল্যে তিল বীজ বিতরণ করেছি।  তিল চাষে খরচ অনেক কম, আগাছা পরিষ্কার করা ও পানি সেচের তেমন প্রয়োজন হয় না। বাজারে তিলের চাহিদা থাকায় দিন দিন তিল চাষের দিকে ঝুঁকছেন চাষিরা। আশা করছি ভবিষ্যতে তিল চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে।

এবিএন/এসএ/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ