আজকের শিরোনাম :

বেড়ায় গৃহবধূ ধর্ষণের দায়ে গ্রেফতার ১

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩০

পাবনার বেড়া উপজেলার চাকলা আশ্রয়ণ প্রকল্পে এক গৃহবধু ধর্ষণের ঘটনায় শফিকুল ইসলাম নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে বেড়া থানা পুলিশ। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ২টার দিকে ওই আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধর্ষকও একই আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা।

ধর্ষণের শিকার গৃহবধুর ভাষ্যমতে ও বেড়া মডেল থানার ভারপাপ্ত কর্মকতা রাশিদুল ইসলাম জানান, বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২ নাম্বার ঘরে  ধর্ষিতা সাংসারিক কাজ করছিলেন। এসময় শফিকুল ইসলাম ঘরের দরজা খোলা পেয়ে সুকৌশলে ঘরে প্রবেশ করে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ধর্ষিত গৃহবধূ শনিবার রাতে বেড়া মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার পরেই আসামি শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বেড়া মডেল থানার ভারপাপ্ত কর্মকতা রাশিদুল ইসলাম প্রতিবেদককে এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।

ধর্ষিত গৃহবধুর স্বামী আব্দুর রাজ্জাক জানান, শফিকুল আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ করলে এ বিষয়ে আমি চাকলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী সরদার, কালাম মেম্বারসহ  অনেককে বিষয়টি জানালে তারা নাকে খত, জুতার বাড়ি দিয়ে সালিশ করে ১ হাজার টাকা জরিমানা করে দেয়। আমি এ রায় মেনে না নিলে তারা আমাকে ভয় দেখায় যে, আমকে দেখে নেবেন এবং আমি আমার বৌকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করাই এমন লিখে দেবেন। কিন্তু আমি তাদের দেওয়া এ রায় মেনে না নিয়ে থানায় অভিযোগ করি। আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, আমরা ভূমিহীন বলে আমাদের ইজ্জতের দাম কি ১ হাজার টাকা ? চেয়ারম্যান জোর করে রায় মেনে নিতে আমাদের বাধ্য করে। কিন্তু আমি এ রায় মানিনা আমি ধর্ষকের বিচার চাই। 

চাকলা ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী সরদারের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের সমন্বয়েই এ বিচার করা হয়েছে। তবে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ওই বিচারের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, বিচারের ভিডিও দেখে এলাকায় এনিয়ে চলছে নানা সমালোচনা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ কোন প্রতিবাদ করতে পারেনা। প্রতিবাদ করলেই ত্ও উপর নেমে আসে অকথ্য নির্যাতন।

খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী সরদার তার ইউপি সদস্যদের সহযোগিতায় টাকায় পাল্টে দেন সালিশী রায়। সালিশী বাণিজ্যসহ এমন নানা অনিয়মের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। আস্থা হারাচ্ছে গ্রাম আদালতের সালিশ ব্যবস্থা।
 
এবিএন/নির্মল সরকার/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ