আজকের শিরোনাম :

ধর্ষণ মামলা থেকে মুক্তি পেলেন রোনালদো

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০১৯, ১০:৩০ | আপডেট : ২৩ জুলাই ২০১৯, ১০:৫৯

ফুটবল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হবে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিকিউটররা ।

ক্যাথরিন মায়ারগো নামে এক নারী তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ এনেছিলেন।

যেখানে বলা হয়েছিল লাস ভেগাসের এক হোটেলে ২০০৯ সালে রোনালদো তাকে ধর্ষণ করেন। যদিও রোনালদো শুরু থেকেই তা অস্বীকার করে আসছেন।

৩৪ বছর বয়সী মায়ারগো পেশায় একজন শিক্ষিকা ছিলেন। বলা হচ্ছে যে, এ ব্যাপারে তিনি যেন মুখ না খোলেন সে জন্য আদালতের বাইরে রোনালদোর সঙ্গে তার ২০১০ সালে আপসরফা হয়েছিল ।

বর্তমানে ফুটবল বিশ্বের অন্যতম সেরা এই খেলোয়াড় রোনালো আদালতের বাইরে আপসরফার জন্য মায়োরগাকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ডলার দেন বলে বলা হয়।

তবে গত বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে পুনরায় অভিযোগ তোলেন মায়ারগো।

এ বিষয়ে সোমবার এক বিবৃতিতে লাস ভেগাসের প্রসিকিউটররা বলেছেন, এ অভিযোগের বিষয়ে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করা যায়নি।

তার বিরুদ্ধে ‘কোনো অভিযোগ আনা হচ্ছে না’ বলা হয় বিবৃতিতে।

ক্লার্ক কাউন্টি জেলা অ্যাটর্নি অফিস জানায়, ভিকটিম ২০০৯ সালে একটি যৌন হামলার অভিযোগ জানান, কিন্তু তা কোথায় ঘটেছে বা হামলাকারী ব্যক্তি কে-তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন ।

এর ফলে কোনো ধরনের অর্থবহ তদন্ত-কাজ চালিয়ে নিতে ব্যর্থ হয় পুলিশ।

২০১৮ সালের আগস্টে ভুক্তভোগী নারীর অনুরোধে লাস ভেগাসের পুলিশ সদস্যরা এ অপরাধের অভিযোগের তদন্ত শুরু করে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সেই সময়কার তথ্যের পর্যালোচনার ওপর ভিত্তি করে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বিরুদ্ধে যৌন হামলার অভিযোগের সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হয়নি। ফলে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হচ্ছে না।

জার্মান সাপ্তাহিক পত্রিকা দার স্পাইজেল নামের একটি ম্যাগাজিনে গত বছর প্রথম এই ধর্ষণের অভিযোগের খবর আসে।

তখন বলা হয়, ২০১০ সালে রোনালদো আদালতের বাইরে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ডলার দেন মায়োরগাকে যাতে তিনি এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ না তোলেন।

মায়োরগার আইনজীবী লেজলি স্টোভাল জানান, তার মক্কেল যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘মি টু ক্যাম্পেইন’ ছড়িয়ে পড়ার পর তিনি এ অভিযোগ পুনরায় সামনে তুলে ধরতে উৎসাহিত হন।

রোনালদো ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করলেও ২০০৯ সালে লাস ভেগাসে যে দুজনের সাক্ষাৎ হয়েছিল সেটি তিনি অস্বীকার করেননি।

কিন্তু বলেছেন, তাদের মধ্যে যা ঘটেছে তা উভয়ের সম্মতিতেই ঘটেছে।

সে সময় রোনালদো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ক্লাবের হয়ে খেলতেন এবং রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেয়ার কথা-বার্তা চলছিল (যেখানে পরবর্তী ৯ বছর খেলেন রোনালদো)।

গত জুলাই মাসে তিনি জুভেন্টাসে যোগ দেন।

রোনালদো বিশ্বের সেরা ফুটবলার হিসেবে ব্যালন ডি’অর অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন একাধিকবার ২০০৮, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে।
তথ্যসূত্র : বিবিসি

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ