আজকের শিরোনাম :

ফরিদপুরের পদ্মা-আড়িয়াল খাঁর তীর রক্ষা প্রকল্পে হাঁসি ফুটেছে মানুষের

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২০, ১১:৫৮

ফরিদপুরে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁর তীর সংরক্ষণ কাজ সম্পর্ন্ন হওয়ায় চোখে মুখে হাঁসি ফুটেছে ভাঙনের আতঙ্কে থাকা এলাকাবাসীর। দীর্ঘ ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে এর দু’পাড়ে প্রতি বছর ভাঙনের স্বীকার হয়। নিঃস্ব হয় শত শত পরিবার। কিন্তু চলতি বর্ষা মৌসুমে এই প্রথম বারের মতো ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে নদী পাড়ে মানুষগুলো।

ফরিদপুর পানি উন্নয়ন উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, ভাঙনের হাত থেকে স্থানীয়দের রক্ষায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে পদ্মা নদীতে চরভদ্রাসন উপজেলায় প্রায় ২৯২ কোটি টাকা ব্যায়ে ৩.৪ কি. মিটার তীর সংরক্ষণ বাঁধ ও ১০ কি. মিটার ড্রেজিং এবং সদরপুর উপজেলায় ২৯১ কোটি টাকা ব্যায়ে আড়িয়াল খাঁ নদের ৫ দশমিক ৩৮ কিলোমিটার নদী তীর সংরক্ষণ ও ৬.৩ কিলোমিটার নদের ড্রেজিং কাজের অনুমোদন পায়।

তিনি বলেন, ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড উক্ত প্রকল্পের তীর সংরক্ষন ও ড্রেজিয়ের জন্য পদ্মায় ১২ এবং আড়িয়াল খায় ১৭ গ্রুপকে কার্যাদেশ দেয়। ইতিমধ্যে কাজের ৭৫ শতাংশ শেষ করেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

আর এই কাজ সম্পন্ন হওয়ার মধ্যেদিয়ে গত ৫০ বছর ধরে নদী দুইটি আগ্রাসনে যে ভূসম্পদের ক্ষতি সাধন হতো তার থেকে চলতি বর্ষা মৌসুমে রক্ষা পাচ্ছে নদ-নদী পাড়ের মানুষ।

সরকারের এই বড় প্রকল্পের সম্পর্ন্ন হওয়ায় হাঁসি ফুটেছে কয়েক হাজার মানুষের মুখে। স্থানীয়রা পদ্মা ও আড়িয়ালখার পাড়ে তীর সংরক্ষণ কাজ দেথে আশায় বুক বাধছে।
 
আড়িয়াল খা নদের চন্দ্রপাড়া এলাকার বিপুল মাতুব্বর বলেন, “দীর্ঘ সময় ধরে এই পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ ভাঙন দেখেছি। এখন এই কাজ শেষ হওয়ায় নতুন করে বসত গড়ার স্বপ্ন দেখছি আবার।”

সদরপুর উপজেলার দরগা বাজারের বাসিন্দা তারাপদ ঘোষ জানালেন, তার বাড়ী এই আড়িয়ালখায় তিন বার ভেঙ্গেছে। প্রতিবছর বর্ষা এলেই চিন্তায় থাকতে হতো। কিন্তু এবারই দরগা বাজার এলাকাবাসী নিচিন্তে ঘুমতে পারবে।
একই সুরে কথা বলেন, চরভদ্রাসন উপজেলার হাজিগঞ্জ বাজারে ব্যবসায়ী আবুল কালাম।

তিনি বলেন, এই বাজার এ পর্যন্ত চারবার নদীর গর্ভে চলে গেছে। অবশেষে বাজার সংলগ্ন এলাকায় পদ্মায় স্থায়ীবাধ হওয়ায় ব্যবসায়ী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।  

স্থানীয় এমপি মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী বলেন  ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে এই এলাকার মানুষের দীর্ঘ দিনের চোখের পানি মুছে,মুখে হাসি ফুটেছে। জানমালের নিরাপত্তার পাশাপাশি আর্থিক স্বচ্ছলতাও ফিরে আসবে। ঘুচবে এই অঞ্চলের মানুষের নদী ভাঙনের আতংক।”

স্থানীয় এই জনপ্রতিনিধি আরো বলেন ‘প্রতি বছরেই বর্ষা মৌসুমে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁর ভাঙনে রাস্তাঘাট, বাড়িঘর ও ফসলী জমির ক্ষয়ক্ষতি হতো। ভাঙন রোধে ড্রেজিং ও তীর সংরক্ষণে ব্লক দিয়ে বাঁধের কাজ ৭৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে, আশা করছি অল্প কয়েকদিনের মধ্যে সম্পন্ন কাজ শেষ হবে।

এবিএন/কে এম রুবেল/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ