আজকের শিরোনাম :

সেপটিক ট্যাংক থেকে দুর্গন্ধের সূত্র ধরে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:২৯

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে নিখোঁজের ৬ দিন পর সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে আকলিমা বেগম (২৮) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা-পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের ড্যাইনেরপাড় গ্রাম থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

আকলিমা বেগম ওই গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে মো. রহমতুল্লাহর স্ত্রী। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী রহমতুল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও গৃহবধূর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে মো. রহমতুল্লাহ ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতিবান্ধা গ্রামের আব্দুল হাকিমের মেয়ে আকলিমাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর দুই সন্তানের জননী হয় আকলিমা। পরে তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে। এরপর রহমতুল্লাহ দ্বিতীয় বিয়ে করে ঘর সংসার করে আসছিল। এক পর্যায়ে রহমতুল্লাহ প্রথম স্ত্রী আকলিমার সাথে আবার ঘর-সংসার শুরু করে এবং আকলিমাকে বাবার বাড়িতে রেখে ভরণপোষণ দেওয়া শুরু করে। তবে মাঝে মধ্যেই রহমতুল্লাহ যৌতুকের দাবিতে মারধর করতো আকলিমাকে। গত ১৯ এপ্রিল রাতে রহমতুল্লাহ আকলিমাকে ফোন করে তার বাবার বাড়ি থেকে রহমতুল্লাহর বাড়িতে নিয়ে আসে। ওই দিন থেকেই আকলিমা বেগম ও রহমতুল্লাহকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ২১ এপ্রিল আকলিমার ভাই আবুল হাসেম বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। থানা-পুলিশ রহমতুল্লাহ'র মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে পার্শ্ববর্তী শ্রীবরদী উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

অপরদিকে বৃহস্পতিবার রহমতুল্লাহ'র বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। এলাকাবাসীর দেওয়া ওই তথ্যের ভিত্তিতে রহমতুল্লাহর বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে আকলিমার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।

এদিকে খবর পেয়ে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ও পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. খোরশেদ আলম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) দিদারুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ