৯৯৯-এ কলে ১১ নাবিক জীবিত উদ্ধার

নোয়াখালী উপকূলীয় বিছিন্ন দ্বীপ হাতিয়ার পূর্ব পাশে বঙ্গোপসাগরে মালবাহী এমভি মৌমনি নামে একটি কার্গো জাহাজ তলা ফেটে ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ১১ জনকে জীবত উদ্বার করা হলেও এখনো জাহাজের মাষ্টার নিখোঁজ রয়েছে। তার পরিচয় ও সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানান হাতিয়া কোস্টগার্ড।

এখন জাহাজ উদ্ধারের তৎপরতা নেই। তবে নিখোঁজ মাষ্টার জীবিত না মৃত খোঁজ করা হবে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে হাতিয়ার ইসলাম চর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে জাহাজের ১১ নাবিককে হাতিয়ার নৌ-যান নামে একটি বেসরকারি সংগঠন ও কোস্টগার্ডের সহযোগিতায় উদ্ধার করে হাতিয়া উপজেলা সদরে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন চট্টগ্রামে চলে গেছে। আটজন হাতিয়া কোস্টগার্ডের হেফাজতে রয়েছে।

এর আগে দুর্ঘটনার পরপরই নাবিকরা জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়ে সহযোগিতা চায়। পরে ৯৯৯-থেকে হাতিয়া নৌ-যান ও কোস্টগার্ডকে সহযোগিতার জন্য বলা হয়।

এদিকে হাতিয়া কোস্টগার্ড ও নলচিরা নৌ-পুলিশের দুটি টিম উদ্ধার করার জন্য হাতিয়ার নলচিরা ঘাট থেকে রওনা হয়।

নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মেহেদী জামান জানান, ঘটনাটি ঘটেছে সাগর মোহনায়। আমরা একটি ট্রলার নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্বার করা হয়। নদী খুবই উত্তাল রয়েছে।

এদিকে নৌ-পুলিশের পরপরই হাতিয়া কোস্টগার্ডের একটি টিম ঘাটের একটি ট্রলার নিয়ে ঘটনাস্থলের দিকে রওয়ানা হয়েছে।

এ ব্যাপারে জাহাজের মালিকপক্ষের একজন মোহাম্মদ ওহায়েদুল ইসলাম মোবাইলে জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে জাহাজটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ডুবে যাওয়ার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। জাহাজে থাকা লোকজনের সঙ্গে প্রথমে কথা বলা গেলেও মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় এখন যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।

তিনি আরও জানান, জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে মালামাল নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিল। জাহাজে ১২ জন নাবিক ছিলো। ভাসান চরের কোস্টগার্ড কনটিনেজন মাহবুব হাসান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কোস্টগর্ডের সহযোগিতায় হাতিয়ার নৌ-যান নামে একটি সংগঠনের সদস্য ১১ জন নাবিককে জীবিত উদ্ধার করে হাতিয়ায় নেওয়া হয়েছে।

হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিসান আহাম্মেদ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কোস্টগার্ডের সহযোগিতায় ১১ নাবিককে উদ্বার করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন চট্টগ্রামে চলে গেছে । হাতিয়া কোস্টগার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো. সেলিম মন্ডল এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি