আজকের শিরোনাম :

তিতাসে মৎস্য প্রকল্পে বিষ প্রয়োগে ৬ লাখ টাকার মাছ নিধন, থানায় মামলা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২০, ১০:৪৪

কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় মৎস্য প্রকল্পে বিষ প্রয়োগে প্রায় ৬ লাখ টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ এনে থানায় মামলা করেছে মৎস্য প্রজেক্ট মালিক।

ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলা সদর কড়িকান্দি ইউনিয়নের কলাকান্দি গ্রামে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কলাকান্দি গ্রামের ১১ জন যুবকের উদ্যোগে গ্রামের পূর্বপাশে বাংলাদেশ মডেল একাডেমি সংলগ্ন একটি মাছের প্রজেক্ট করেন। যারা এই মাছ চাষ করার উদ্যোগ নিয়েছেন তারা কেউ কেউ রিক্সা ও সিএনজি অটোরিকশা চালান, আবার কেউ বেকারও ছিলেন।

এই অসহায় যুবকগুলো চেয়েছিল কর্মের মধ্যে দিয়ে জীবন সংসার চালাতে কিন্তু তা আর হতে দিলনা কিছু দুষ্টু প্রকৃতির লোকেরা।

মামলার বাদী ও মৎস্য চাষী মো. কামরুল ভূইয়া সাংবাদিকদের জানান, আমরা ১১ জন অসহায় যুবক মিলে গ্রামের সকলের সাথে সমন্বয় করে প্রায় ৩ একর জায়গায় ২ মাস পূর্বে এই প্রজেক্টে মাছ চাষ করি এই পর্যন্ত আমাদের প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। রাতের আঁধারে কে বা কারা আমাদের মাছের প্রজেক্টে বিষ দিয়ে মাছগুলো মেরে ফেলেছে। যখন আমরা মরা মাছগুলো উঠাইতে যাই তখন আমাদের গ্রামের প্রাজেক্টের জায়গার মালিক ধনু মিয়া নামের এক ব্যক্তি বলে মাছগুলো উঠাইতে পারবি না, আমরা বললাম কেন? তখন সে বলে আমার জায়গায় আমি বিষ দিয়েছি আমার মাছ মরার জন্য তরা মাছ তুলবি কেন? তখন আমরা বুঝতে পারছি সেই আমাদের মাছের প্রজেক্টে বিষ দিয়েছে। আমরা গরীব অসহায় মানুষ ঋণ করে এই প্রজেক্টে মাছ চাষ করছি এই ঋণ আমরা কিভাবে পরিশোধ করবো? আমরা এর বিচার চাই বলেই কেঁদে ফেলেন তিনি।

অভিযুক্ত ধনু মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, এই প্রজেক্টে আমাদের ৫০ শতাংশ জায়গা আছে। মাছ চাষ করার আগেই তাদেরকে আমি বলছি যে আমার জায়গা ভরাট করে ফেলবো তার পরও তারা জোর করে মাছ চাষ করছে তার পর আমি আর কিছু বলি নাই।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে বিষ দেওয়ার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমি দেখেছি কিছু দিন পূর্বে কচুরিপানা মারার জন্য কি ঔষধ জানি তারা দিয়েছে হয়তো সেই কারণেই মাছগুলো মরেছে।  

তিতাস থানার এসআই সেলিম সর্দার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং এই ঘটনায় ১ জনের নাম উল্লেখ করে ৫ জন অজ্ঞাত রেখে তিতাস থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।

এবিএন/কবির হোসেন/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ