কিশোরগঞ্জে নতুন ৪৫ জনের করোনা শনাক্ত
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২০, ১৩:০৮
কিশোরগঞ্জ জেলায় সর্বশেষ গতকাল শনিবার (৬ জুন) রাতে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে নতুন করে ৪৫ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এর মধ্যে জেলার ভৈরব উপজেলার মারা যাওয়া এক ব্যক্তি রয়েছে। অন্যদিকে ২ জন করোনাভাইরাস মুক্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন।
গত রোববার জেলায় সংগৃহীত ৩১ জনের নমুনা মহাখালীর ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ (আইপিএইচ) এবং বুধবার (৩ জুন) সংগৃহীত ৯৪ জনের নমুনা কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়।
দুটি ল্যাবে মোট ১২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে ৪৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এর আগের দিন শুক্রবার (৫ জুন) রোববার (৩১ মে) জেলায় সংগৃহীত ১৪১ জনের নমুনা মহাখালীর ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ (আইপিএইচ) এবং বুধবার (৩ জুন) সংগৃহীত ১২০ জনের নমুনা কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছিল।
গত শুক্রবার (৫ জুন) পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ জেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৫৫৭ জন। শনিবার (৬ জুন) নতুন করে আরো ৪৫ জনের করোনা শনাক্ত হওয়ায় বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০২ জনে।
এদিকে নতুন করে জেলায় ২ জন করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন। এর আগে জেলায় সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ছিল ২১৯ জন। ফলে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২১ জন।
বর্তমানে জেলায় মোট ৩৬৮ জন করোনা রোগী এবং ৭ জন সাসপেক্টটেড বিভিন্ন হাসপাতাল ও নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন। এর মধ্যে অন্য জেলায় শনাক্তকৃত ২ জন করোনা পজেটিভ রয়েছেন।
গত বুধবার (৩ জুন) সংগৃহীত ২৩৬ জনের নমুনা শহীদ সৈয়দ নজরু ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এর মধ্যে শুক্রবার (৫ জুন) ১২০ জনের নমুনার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।
বাকি ১১৬ জনের নমুনার মধ্যে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট গতকাল শনিবার (৬ জুন) প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ৪৫ জনের পজেটিভ এবং ৪৫ জনের নেগেটিভ এসেছে। ভৈরবের পুরাতন পজেটিভ ৪ জনের আবারও পজেটিভ এসেছে।
এছাড়া কুলিয়ারচর ও তাড়াইল উপজেলায় বুধবার (৩ জুন) সংগৃহীত ২২ জনের নমুনার রিপোর্ট পেন্ডিং রয়েছে।
অন্যদিকে গত রোববার (৩১ মে) জেলায় সংগৃহীত মোট ১৭২ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য মহাখালীর ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ (আইপিএইচ) এ পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে শুক্রবার (৫ জুন) ১৪১ জনের নমুনার পরীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।
বাকি ৩১ জনের নমুনার পরীক্ষার রিপোর্ট শনিবার (৬ জুন) প্রকাশ করা হয়েছে। এতে নতুন করে কারো কোভিড-১৯ পজেটিভ আসেনি। ৩১ জনের সবার নেগেটিভ এসেছে।
গতকাল শনিবার (৬ জুন) দিবাগত রাত ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানান, কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে রোববার (৩১ মে) ও বুধবার (৩ জুন) সংগৃহীত মোট ৪০৮ জনের নমুনার মধ্যে শুক্রবার (৫ জুন) ২৬১ জনের নমুনার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়।
বাকি ১৪৭ জনের নমুনার মধ্যে ১২৫ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট শনিবার (৬ জুন) প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রকাশিত ফলাফলে মোট ৪৫ জনের পজেটিভ ও ৭৬ জনের নেগেটিভ এসেছে। এছাড়া ভৈরব উপজেলার পুরাতন পজেটিভ ৪ জনের আবারও পজেটিভ এসেছে।
মোট ৪০৮ জনের নমুনার মধ্যে ২৩৬ জনের নমুনা শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এর মধ্যে শুক্রবার (৫ জুন) ১২০ জনের নমুনার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।
বাকি ১১৬ জনের নমুনার মধ্যে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট শনিবার (৬ জুন) প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ৪৫ জনের পজেটিভ এবং ৪৫ জনের নেগেটিভ এসেছে। ভৈরবের পুরাতন পজেটিভ ৪ জনের আবারও পজেটিভ এসেছে।
এছাড়া কুলিয়ারচর ও তাড়াইল উপজেলায় বুধবার (৩ জুন) সংগৃহীত ২২ জনের নমুনার রিপোর্ট পেন্ডিং রয়েছে।
অন্যদিকে ১৭২ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য মহাখালীর ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ (আইপিএইচ) এ পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে শুক্রবার (৫ জুন) ১৪১ জনের নমুনার পরীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।
বাকি ৩১ জনের নমুনার পরীক্ষার রিপোর্ট শনিবার (৬ জুন) প্রকাশ করা হয়েছে। এতে নতুন করে কারো কোভিড-১৯ পজেটিভ আসেনি। ৩১ জনের সবার নেগেটিভ এসেছে।
নতুন করোনা শনাক্ত হওয়া এই ৪৫ জনের মধ্যে কটিয়াদী উপজেলার ৩ জন এবং ভৈরব উপজেলার ৪২ জন রয়েছেন।
ফলে শনিবার (৬ জুন) পর্যন্ত পাওয়া নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী কিশোরগঞ্জ জেলায় মোট ৬০২ জনের করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ পজেটিভ এসেছে। উপজেলাওয়ারী হিসাবে, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ৮২ জন, হোসেনপুর উপজেলার ১৩ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ৪৪ জন, তাড়াইল উপজেলায় ৫০ জন, পাকুন্দিয়ায় উপজেলায় ২৯ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ২৭ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ২২ জন, ভৈরব উপজেলায় ২৪২ জন, নিকলী উপজেলায় ১০ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ৩৭ জন, ইটনা উপজেলায় ১৭ জন, মিঠামইন উপজেলায় ২৫ জন ও অষ্টগ্রাম উপজেলায় ৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৫ জন মৃত ব্যক্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ৩ জন, হোসেনপুর উপজেলার ১ জন, করিমগঞ্জ উপজেলার ২ জন, কটিয়াদী উপজেলার ১ জন, কুলিয়ারচর উপজেলার ১ জন, ভৈরব উপজেলার ৫ জন, বাজিতপুর উপজেলার ১ জন ও মিঠামইন উপজেলার ১ জন রয়েছেন। এবিএন/শাফায়েতুল ইসলাম/গালিব/জসিম
ফলে শনিবার (৬ জুন) পর্যন্ত পাওয়া নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী কিশোরগঞ্জ জেলায় মোট ৬০২ জনের করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ পজেটিভ এসেছে। উপজেলাওয়ারী হিসাবে, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ৮২ জন, হোসেনপুর উপজেলার ১৩ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ৪৪ জন, তাড়াইল উপজেলায় ৫০ জন, পাকুন্দিয়ায় উপজেলায় ২৯ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ২৭ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ২২ জন, ভৈরব উপজেলায় ২৪২ জন, নিকলী উপজেলায় ১০ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ৩৭ জন, ইটনা উপজেলায় ১৭ জন, মিঠামইন উপজেলায় ২৫ জন ও অষ্টগ্রাম উপজেলায় ৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৫ জন মৃত ব্যক্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ৩ জন, হোসেনপুর উপজেলার ১ জন, করিমগঞ্জ উপজেলার ২ জন, কটিয়াদী উপজেলার ১ জন, কুলিয়ারচর উপজেলার ১ জন, ভৈরব উপজেলার ৫ জন, বাজিতপুর উপজেলার ১ জন ও মিঠামইন উপজেলার ১ জন রয়েছেন। এবিএন/শাফায়েতুল ইসলাম/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ