আজকের শিরোনাম :

পেকুয়ায় ভরাট খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০১৮, ১৩:৪৫

পেকুয়া (কক্সবাজার), ১০ জুলাই, এবিনিউজ : কক্সবাজারের পেকুয়ায় কহলখালী খালের পাড়  ও ভরাট অংশ দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা।

ময়লা-আবর্জনা ফেলায় খাল ভরাট হয়ে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে পানিপ্রবাহে। দূষণে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। এতে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ খাল।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পেকুয়া উপজেলার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র ‘কবির আহমদ চৌধুরী বাজার’ লাগোয়া কহলখালী খালের পাড়ে গড়ে তোলা হয়েছে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা।  আবার ভরাট চরসহ নিজেরাই মাটি ফেলে খাল ভরাট করে তৈরী করেছে ইমারত, বাড়ি ও দোকানপাট।এতে  ওই খালটি অত্যন্ত সরু হয়ে গেছে। বৃষ্টি হলেই পানিপ্রবাহে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া বাজারের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে এই খালে। তাই তীব্র দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে পানি থেকে।

স্থানীয় লোকজন জানান, নিয়মিত বিভিন্ন দোকানের ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে এ খালের পানি দূষিত হয়ে পড়েছে। অথচ বোরো মৌসুমে এই খালের পানি দিয়ে অন্তত ৪০০একর জমিতে চাষ হয়। এছাড়া খালটি দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে বর্ষায় বৃষ্টির পানি ঠিকমতো ভাটির দিকে নামতে পারে না। বাধা পেয়ে বাজারসহ নিন্মাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে ভোগান্তিতে পড়ে এলাকা লোকজন।

পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বাইম্যাখালী গ্রামের বাসিন্দা মো. শাহাজাহান ও আনছার উদ্দিন বলেন, খালটি ভরাট ও দখল হয়ে যাওয়ায় বিগত কয়েকটি বর্ষায় পেকুয়া সদরে বন্যা দেখা দেয়। এছাড়া বাজারের আবর্জনায় খালের পানি দূষিত হয়ে পড়ায় আশেপাশের এলাকার বাসিন্দাদের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।

এদিকে স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ, দখল-দূষণের কারণে চোখের সামনে মরতে বসলেও খালটি বাঁচাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন। প্রভাবশালীদের অবৈধ দখলের ফলে নালায় পরিণত হয়ে গেছে জনগুরুত্বপূর্ণ খালটি।

কবির আহমদ চৌধুরী বাজারের ব্যবসায়ী মো.রিদুয়ান ও এনামুল করিম জানান, কহলখালী খাল দখল করে গড়ে তোলা বহুতল ভবন উচ্ছেদ না করলে খনন করে কোনো লাভ হবে না। তাই খালটি উদ্ধার করতে প্রথমে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে।

পেকুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ বলেন, তিনবছর পূর্বে কহলখালী খাল খনন করা হয়েছিল। কিন্তু অবৈধ দখলবাজরা অভিনব পন্থায় এ খাল দখল প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে। তাই খালটি দ্রুত ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ভরাট হওয়া অংশে নির্বিঘেœ স্থাপনা তৈরি করে চলেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।

পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবউল করিম বলেন, নকশা দেখে শীঘ্রই কহলখালী খাল পরিমাপ করা হবে। অবৈধ দখলদারদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এবিএন/মুকুল কান্তি দাশ/জসিম/এমসি

এই বিভাগের আরো সংবাদ