আজকের শিরোনাম :

ঢাকা বিভাগে সাফল্যের শীর্ষে সদরপুরের একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০১৮, ১৯:৩১

ঢাকা, ২৭ জুন, এবিনিউজ : মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন প্রসূত প্রকল্প একটি বাড়ি একটি খামার। অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের মাধ্যমে আজ হাঁসছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পে প্রত্যান্ত পশ্চাদ ও চরাঞ্চলের আমেনা ও কাসেমদের মত শত শত পরিবার সদস্য হয়ে আজ তারা স্বাবলম্বী। প্রকল্পের ঋণ নিয়ে আপন শ্রমে গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন প্রকার খামার। তাদের ভাগ্য উন্নয়নের কারিগর প্রধানমন্ত্রীকে মনে করছেন সমিতির সদস্যরা আজ।

অসহায় পরিবার আজ প্রকল্পের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়ায় তাদের সন্তানেরা আজ বিভিন্ন বিদ্যাপীঠে অগ্রসর হচ্ছে। ভোর হলেই বাড়িতে পড়াশোনা শেষ করে স্কুল সময়ে আপন মনে ছুটে চলছে কোমলমতি শিক্ষার্থী গ্রামের মেঠোপথ বেয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত ১০টি বিশেষ উদ্যোগের মধ্যে একটি বাড়ি একটি খামার প্রথম। ২০১৭-২০১৮অর্থ বছরে সদস্য ভর্তি, সঞ্চয় আদায়,ঋণ বিতরণ ও আদায়ে ঢাকা বিভাগের মধ্যে আজ সদরপুর উপজেলা শীর্ষে। এ তথ্য জানান সদরপুর উপজেলা সমন্বয়কারী মোঃ আনারুল ইসলাম।

অফিস সুত্রে জানাযায়, ২০১১সালে সদরপুরে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প শুরু হয়। ওই সময় প্রকল্পের সমন্বয়কারী কারী ছিলেন মানোয়ার হোসেন। বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে দাড় করানো হয় এই প্রকল্প। তৎকালিন গ্রাম গঞ্জের মানুষের ধারনা ছিলো অনেক এনজিও এসে গরীবে অর্থ মেরে চলে যায়। এটা আবার কি এনজিও? তৃণমূল এর অসহায় জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নের জন্যে তৎকালীন ইউএনও লোকমান হোসেনের নিরলস প্রচেষ্ঠা চালিয়েছেন। ওই থেকে প্রতিটি ইউনিয়নে যাত্রা শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর এ প্রকল্প।

তিনি চলে যাওয়ার পর সদরপুরে আসেন ইউএনও হিসাবে রোকসানা রহমান। এরপর তিনিও প্রকল্পের উন্নয়নে চরাঞ্চলে দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করেন। ওই সময় এ প্রকল্পের অগ্রগতি দেখতে আসেন সাবেক ফরিদপুর জেলা প্রশাসক ও চলমান ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল উদ্দিন আহম্মেদ। সাথে এসেছিলেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক। ভাষানচর ইউনিয়ের আমিরাবাদ গ্রামে প্রকল্পের সদস্য লাভলুর বাড়িতে একটি উঠান সভা হয়েছিল। ওই সময় প্রকল্পের সদস্যদের উন্নয়নে মুগ্ধ হয়েছিলেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার।

সাথে মুগ্ধ হয়েছিলেন আজকের ফরিদপুর জেলা প্রশাসক। এরপর সদরপুর প্রকল্পের সমন্বয়কারী মোঃ মানোয়ার হোসেন চলে যান বদলি হয়ে গোপালগঞ্জে। ওই ইউএনও রোকসানা রহমান ও পদোন্নতি পেয়ে মাগুরা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা হিসাবে চলে যান। সদরপুরে আসেন ইউএনও হিসাবে পূরবী গোলদার ও সমন্বয়কারী হিসাবে মোঃ আনারুল ইসলাম।

পূরবী গোলদার ও প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে নড়েচড়ে বসে উন্নয়নের দুয়ারে নিয়ে আসেন একটি বাড়ি একটি খামার। ইউএনও পূরবী গোলদার সম্প্রতি মাতৃকালিন ছুটিতে চলে গেলে ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার হিসাবে দায়িত্ব নেন সদরপুরের নবাগত এসিল্যান্ড মোঃ জোবায়ের রহমান রাশেদ। প্রকল্পের বিভিন্ন উন্নয়নে পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা সমীর কুমার বৈদ্য উল্লেখযোগ্য।

পেছনে ফেরা ও চলমান সরকারি কর্মকর্তাদের নিবিড় তত্বাবধায়নে আজ এই সাফল্য এনে দিয়েছে। সদরপুর উপজেলায় ১৫৬টি গ্রাম উন্নয়ন সমিতি রয়েছে। ওই সমিতির মাধ্যমে ৯৩৬০জন সুফল ভোগী সদস্য/সদস্যরা ঋণ নিয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছে এবং তাদের ছেলে মেয়েদের পড়ালেখার পাশাপাশি হাঁস,মুরগী,গাভী পালন করে পুষ্টিকর খাবার তুলে দিচ্ছে তাদের মুখে।

একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মাঠকর্মীদের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ নিরোধ,মাদকের কুফল সর্ম্পকে, জনসচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। সর্বোপরি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় যার জমি আছে ঘর নাই এমনকি ভূমিহীন অসহায় মানুষ কে প্রকল্পের আওতায় এনে খাস জমিতে গৃহনির্মান করে ঋণ দিয়ে আয়বর্ধক কাজে লাগনো হচ্ছে।

এবিএন/মোঃ সাব্বির হাসান/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ