আজকের শিরোনাম :

শরীয়তপুর নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০১৯, ০৯:১৮ | আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০১৯, ০৯:২০

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে শরীয়তপুর-চাঁদপুর ও শরীয়তপুর-ঢাকা নৌরুটের ফেরিসহ সকল নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।

শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে শরীয়তপুর-চাঁদপুর রুটে হরিনা ফেরিঘাটে সকল ফেরি চলাচল বন্ধ রাখায় আলুর বাজার ফেরি ঘাটে শতাধিক মাল বোঝাই যানবাহন আটকা পড়েছে।

জেলা প্রশাসন ও ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে শনিবার সকাল থেকে শরীয়তপুর-চাঁদপুর ও শরীয়তপুর ঢাকা রুটে ফেরি চলাচল ও সুরেশ্বর-টু সদরঘাট ,মাঝিরঘাট থেকে মাওয়া শিমুলিয়া ফেরিঘাট, কাঁঠাল বাড়ি ফেরিঘাট থেকে শিমুলিয়া ফেরিঘাটে ফেরি চলাচলসহ লঞ্চ, সিবোর্ড, ট্রলারসহ সকল নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে ঘাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত কোনো নৌযান চলাচল করতে পারবে না। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক ও বেসরকারি সংগঠনের প্রতিনিধিদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মাঝিরঘাট ইজারাদার আ. ওহাব মাঝি বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে শরীয়তপুর মাঝির ঘাট থেকে মাওয়া শিমুলিয়া ফেরিঘাটগামী সকল নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত কোনো নৌযান চলাচল করতে পারবে না।

হরিনা ফেরিঘাটের বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার আবদুল মোমেন বলেন, শনিবার সকাল থেকে সকল ফেরিগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। এ কারণে আলুর বাজার এলাকায় শতাধিক যানবাহন আটকা পড়েছে।

জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলেন, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক ও বেসরকারি সংগঠনের প্রতিনিধিদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ