আজকের শিরোনাম :

রাণীনগরে গৃহবধুকে হত্যার উদ্দেশ্যে বস্তাবন্দি করে পুকুরে নিক্ষেপ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০১৮, ২০:২৮ | আপডেট : ২৩ জুন ২০১৮, ২০:৩১

রাণীনগর (নওগাঁ), ২৩ জুন, এবিনিউজ : নওগাঁর রাণীনগরে অন্ত:স্বত্তা গৃহবধুকে স্বামীর স্বজনরা বেধর মারপিট করে অচেতন অবস্থায় হত্যার উদ্দেশ্যে বস্তাবন্দি করে বাড়ির পার্শ্বে একটি পুকুরে ফেলে দেয়।  আজ শনিবার ভোরে প্রতিবেশীরা দেখতে পেয়ে পুকুর থেকে গৃহবধুকে উদ্ধার করে প্রথমে বগুড়া জেলার আদমদিঘী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। এঘটনার সাথে জরিত থাকার সন্দেহে শনিবার সকালে আবুল কালামের বোন রকেয়া আক্তারকে স্থানীয় জনতা আটক করে আদমদিঘী থানাপুলিশে সোপর্দ করে। এঘটনায় রাণীনগর থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।

জানা গেছে, উপজেলার পারইল ইউনিয়নের রাথলাই গ্রামের আলহাজ্ব দলিল উদ্দিনের ছেলে আবুল কালামের সাথে গত ৮ বছর আগে বগুড়া জেলার আদমদিঘী উপজেলার উজ্জলতা গ্রামের আব্দুল হামিদের মেয়ে চ্যামেলি আক্তার চায়না (৩৩) এর বিয়ে হয়। জীবন-জীবিকার তাগিদে চায়নার স্বামী আবুল কালাম বেশকিছু দিন বিদেশে থাকার পর বাড়িতে আসে।

গত পহেলা জুন হঠাৎ করে চায়নার স্বামী আবুল কালাম মারা যায়।  তার মৃত্যুর সপ্তাহ খানেক এর মধ্যে পিতা দলিল উদ্দিনও মারা যায়।  তাদের দুই জনের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে গত বৃহস্পতিবার পারিবারিক ভাবে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।  ইতিমধ্যে চায়নার শ্বশুর বাড়ির লোকজন জানতে পারে সে তিন মাসের অন্তসত্তা! এলাকায় গুনঞ্জন চলছে স্বামী আবুল কালামের নামে ব্যাংকে বেশকিছু টাকা ও পৈতিক সম্পত্তি নেওয়ার মত কোন ওয়ারিশ যেন না থাকে!

সেই ফুন্দি মাথায় নিয়ে আবুল কালাম’র স্বজনরা পরিকল্পিত ভাবে চায়না’র গর্ভের সন্তান ও চায়নাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিটের পর বস্তাবন্দি করে শনিবার ভোরে বাড়ির পার্শ্বে একটি পুকুরে ফেলে দেয়।  প্রতিবেশীরা ফজরের নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে যাওয়ার সময় রাস্তার ধারে বস্তাবন্দি অবস্থায় চায়নাকে দেখতে পেয়ে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে বগুড়া জেলার আদমদিঘী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।  সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

চায়না’র চাচা আব্দুল কুদ্দুস জানান, আমার ভাতিজি জামাই মারা যাওয়ার পর থেকেই শ্বশুর বাড়ির লোকজনরা নানান বিষয় নিয়ে চায়না’র সাথে খারাপ আচরণ করতো।  বিষয়-সম্পত্তির কারণেই শুক্রবার গভীর রাতে চায়নার শ্বশুর বাড়ির লোকজনরা পরিকল্পিত ভাবে বেধর মারপিট করে হত্যার উদ্দেশ্যে বস্তাবন্দি করে শনিবার ভোরে পুকুরে ফেলে দেয়। এব্যাপারে রাণীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের এর প্রস্তুতি চলছে।

রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ এএসএম সিদ্দিকুর রহমান জানান, এঘটনা জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে যতটুকু জানতে পেরেছি, বিষয়টি রহস্যজনক! প্রকৃত উদঘটনের জন্য জোর তৎপরতা অব্যহত রয়েছে।  এব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 এবিএন/এ বাশার (চঞ্চল)/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ