আজকের শিরোনাম :

কলাপাড়া ভূমি অফিস থেকে নথি গায়েবের অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৫:৩২

পটুয়াখালীর কলাপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস থেকে ৫ একর ভূমির লীজ সংক্রান্ত একটি নথি গায়েবের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ভূমি অফিস তহশীলদার উপজেলার সোনাপাড়া মৌজার একটি মাছের ঘেরের রাস্তা কেটে দেয়ায় ২৫ লক্ষ টাকার মাছ নদীতে নেমে যাওয়ার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার সাড়ে ১১টায় স্থানীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক অ্যাড. শামিম আল সাইফুল সোহাগ সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় কলাপাড়ায় কর্মরত বিভিন্ন গনমাধ্যমের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, কলাপাড়া উপজেলার বড় বালিয়াতলী ইউনিয়নের সোনাপাড়া মৌজায় ২০০৯ থেকে অদ্যবধি তার ১৫ একরের একটি মাছের ঘের আছে। যাতে তিনি চিংড়ি ও সাদা মাছ চাষ করেছেন।

এজন্য ৫ একর জলমহল ভূমি অফিস থেকে তিনি মিস-কেস নং-০৬-কে-২০০৯-২০১০ মূলে ৩ বছরের লীজ নেন। পরে লীজ বর্ধিত করার জন্য অফিসে গেলে অফিস তালবাহানা করায় তিনি জানতে পারেন লীজের ফাইলটি অফিস থেকে গায়েব হয়ে গেছে। এছাড়া ওই ৫ একর জমি ভূয়া বন্দোবস্ত বলে দাবী করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে (এমপি-২০৬/১৭) মামলা করার পর সহকারী কমিশনার (ভূমি) তদন্ত রিপোর্ট দিলে নির্বাহী আদালত মামলাটি খারিজ করে দেয়।

ওই ৫ একর জমি নিয়ে দেওয়ানি মামলা চলমান এবং রয়েছে আদালতের নিষেধাজ্ঞা। তাই তিনি জমিতে কোন ধরনের কার্যক্রম করেননি। ভূমি অফিসের তহশীলদার কামরুল ইসলামসহ স্থানীয় নূরছাঈদ, সোহেল, নূরমোহম্মদ ও নেছার মিয়া গত সপ্তাহে ঘেরের রাস্তা কেটে ফেলায় তার ২৫ লক্ষ টাকার মাছ নদীতে চলে গেছে। কামরুল ইসলাম প্রবাহমান খাল বা নদী না হওয়ার পরেও অনৈতিক ভাবে ঘেরের রাস্তা কেটে ক্ষতি করে এবং লীজের ফাইলটি অফিস থেকে গায়েব করে বলে সোহাগ অভিযোগ করেন। যে রাস্তাটি কেটে ফেলা হয়েছে সেটি ১৫০-২০০ পরিবারের মানুষের চলাচলের একমাত্র পথ ছিল বলে তার দাবী।

এ বিষয়ে কলাপাড়া ভূমি অফিসের তহশীলদার মো: কামরুল ইসলাম জানান,আমি ছয় মাস হল এখানে এসেছি। আমার বিরুদ্ধে নথি গায়েবের যে অভিযোগ এনেছে তা মিথ্যা। যথাযথ কর্তপক্ষের নির্দেশে স্থানীয় নারী ইউপি সদস্য মর্জিনা বেগম সহ শত শত মানুষের উপস্থিতিতে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ঘেরের রাস্তা কাটা হয়েছে। এসি ল্যান্ড ও ইউএনও স্যারের সাথে কথা বললে সব জানতে পারবে।
 

এবিএন/তুষার হালদার/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ