আজকের শিরোনাম :

যমুনায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে গেছে বেড়ার চরাঞ্চল

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ মে ২০১৯, ১৭:০১

উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে হুড়াসাগর ও  যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় যমুনা নদীর তীরবর্ত্তী বেড়া উপজেলার হাটুরিয়া নাকালিয়া ,কৈটোলা,নতুন ভারেঙ্গা,পুরান ভারেঙ্গা ও ঢালারচর ইউনিয়নের ধলথোবা,হাটালিয়া,হরিরামপুর,নয়নপুর,চর সাফুল্লা, খর বাগান,কল্যানপুর, আকবরসোয়া,বেঙ্গালিয়া,চর নাকালিয়া মৌজার নদীর তীরবর্ত্তী কয়েকশ’ বিঘা জমির উঠতি চিনা বাদামের গাছ পানিতে তলিয়ে গেছে।

তলিয়ে যাওয়া এ সব জমি থেকে কিছু চিনা বাদাম তুলতে পারলেও বেশীর ভাগ চিনা বাদাম তোলা সম্ভাব হচ্ছেনা। শ্রমিক সংঙ্কটে আরও বিপাকে পরেছে চাষীরা,পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাদাম তুলতে হিমসিম খাচ্ছে বাদাম চাষিরা। বেঙ্গালিয়া গ্রামের বাদাম চাষী আবু সাইদ,আব্দুল মজিদ,বেঙ্গালিয়া গ্রামের ইয়াকুব,আব্দুল খালেক,চর সাফুল্লার জাহিদ মোল্লা,খরবাগানের বাবলু শেখ সহ ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার বাদাম ও চৈতালী ফসল চাষকারী কৃষকরা বলেন,৭শ’-৮শ’টাকা দৈনিক মজুরি দিয়েও মাঠে কাজ করা দিনমজুর পাওয়া যাচ্ছেনা।

এলাকা সহ আশে পাশের অঞ্চলে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হওয়ায় দিনমজুরে সংঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। মাঠে কাজ জানা সব শ্রমিক এখন ধান কাটাতে মাঠে রয়েছে বলে জানান। শ্রমিকের অভাবে পানিতে তলিয়ে যাওয়া চিনা বাদাম জমি থেকে তোলা সম্ভব হচ্ছে না। বাদাম চাষের এসব জমি এলাকা ভেদে এক থেকে তিন ফিট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পানির ক্রমাগত বৃদ্ধির ফলে প্রতি দিন চিনা বাদামের জমি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।

সম্ভাব্য তলিয়ে যাওয়া জমি থেকেও পুরোপরি ফসল শ্রমিকের অভাবে তুলতে পারবে কিনা তাতে সন্দেহ রয়েছে। গত এক সপ্তাহে নদীতে হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চলের নিম্ন এলাকায় চাষ করা চিনা বাদাম,তিল,কাউন,চীনা সহ চৈতালী ফসলের জমি প্লাবিত হচ্ছে বা প্লাবিত হওয়ার আশংঙ্কা রয়েছে। যমুনায় হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সব থেকে চিনা বাদাম চাষিরা বেশী ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে। কৈটোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.শওকাত ওসমান জানান, অসময়ে যমুনায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তার ইউনিয়নের মাছখালী,ঘিউর,বেঙ্গালিয়া,হরিরামপুর ও বিজয়গঞ্জে চিনা বাদাম চাষীরা ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে।

হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ মোস্তাফিজুর রহমান জানান,হঠাৎ করে যমুনা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় চরাঞ্চলের বাদম চাষীরা বাদাম তুলতে না পেরে বিশেষ ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে।

বেড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ের চরাঞ্চলের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো.আব্দুল বারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,প্রতি বছর এসময়ে নদীর পানি বৃদ্ধি পায় এবং এর ফলে চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল কমবেশী প্লাবিত হয়। পানিতে উঠতি ফসল তলিয়ে যাওয়ায় কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়,তবে এরা সব সময় ক্ষতির পরিমান বাড়িয়ে বলে।
 

এবিএন/নির্মল সরকার/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ