আজকের শিরোনাম :

হালুয়াঘাটে গ্রামবাসীদের ভরসা ঝুকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১১:৩৫

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার মিলন বাজার এলাকায় বয়ে গেছে গোদারিয়া নদী। দীর্ঘদিন ধরে নদীর ওপর সেতু নির্মাণ না হওয়ায় দুর্ভোগে রয়েছেন কৃষি ভান্ডার হিসেবে খ্যাত কুড়িয়াবাসা, ছোটবন, জিগা গাছিয়া, সানন্দখিলা, নিশ্চিন্তপুর, রহেলা, বিলডোরা, বাঘমার ও আতুয়াজঙ্গল এলাকার চলাচলকারী মানুষ। 

প্রতিদিন এই গ্রামগুলোর হাজারো লোকজনকে কৃষিকাজসহ নানা প্রয়োজনে সেতু নির্মাণ না হওয়ায় বাঁশের সাকোয় এখন তাদের একমাত্র ভরসা।

সরেজমিনে জানা যায়, নদী পারাপারের জন্য গ্রামবাসীরা মিলে তৈরি করেছেন ৩ শত ফুটের একটি বাঁশের সাঁকো। কোমলমতি শিশু থেকে শুরু করে নানা বয়সের শিক্ষার্থীরা হাতে বই নিয়ে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো পার হয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। বেশিরভাগ অভিভাবকরা সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে দুর্ঘটনার ভয়ে থাকেন। বর্ষায় পানি বেড়ে গেলে ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় মানুষ পারাপার হয়। 

বর্তমানে সাঁকোটির অবস্থাও নড়বড়ে। দীর্ঘদিন ধরে এমন দুর্ভোগ চলে আসলেও এ ব্যাপারে কারো কোন মাথা ব্যাথা নেই। সেতুর অভাবে হারাচ্ছেন শ্রমে-ঘামে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য। এলাকাবাসীর দাবি সেতুটি নির্মিত হলে ঐ এলাকার মানুষের জীবন যাত্রা পাল্টে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ ও উন্নত হবে।  

দুর্ভোগের বিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী জমশেদ আলী জানান, অনেক দিন ধরে সাকোটা এইভাবে পরে  রয়েছে। মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলে কয়দিন পর পর ঠিক করতে হয়। কি করতাম বাপুরে, আপনেরা তো লেখালেখি করেন। একটা ব্রীজ যাতে হয় এইভাবে লেখবেন ।

অপরদিকে খামারবাসা এলাকার হেলাল উদ্দিন জানান, আমাদের চলাচলের প্রধান রাস্তাটিও কাঁচা মাটির এর মাঝে নাই ব্রীজ। সিজন (মৌসুমে) সামনা ধান-বন ও মালামাল পার করতে খুব কষ্ট ওই। বিশেষ কইরা এইনে যদি একট ব্রীজ ওইত মোডামুডি কিছুটা ওফকার (উপকার) পাইতাম।
 
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, অনেক আগেই তালিকা প্রেরণ করেছি। ব্রীজটি হলে এলাকার লোকজন সুফল ভোগ করত। আমি যথা সম্ভব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। 

উপজেলা উপ-সহাকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান মিঞা বলেন, ব্রীজটির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন পক্ষের কাছে কোন তালিকা পাঠানো হয়নি। সাঁকোটি পরিদর্শন করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

এবিএন/সাইদুর রহমান রাজু/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ