আজকের শিরোনাম :

চিলমারীতে ছাত্রীর শ্লীলতাহানীতার চেষ্টায় শিক্ষক শ্রীঘরে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:৪৫

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর চেষ্টার অভিযোগে জিয়াউর রহমান জিয়া নামে এক শিক্ষককে আটক করে শ্রীঘরে পাঠিয়েছে পুলিশ।

গতকাল শুক্রবার সন্ধায় তাকে আটক করা হয়। জিয়াউর রহমান জিয়া থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিএসসি শিক্ষক ও থানাহাট মন্ডলপাড়া এলাকার মোঃ লুৎফর রহমানের ছেলে। ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক। ১টি পুত্র সন্তান রেখে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেয়ার পর দ্বিতীয় বিবাহে আবদ্ধ হন তিনি। শিক্ষক জিয়াউর রহমান ২০১৭সালে জেলা ও ২০১৮ সালে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে জিয়াউর রহমানের বাসায় প্রাইভেট পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়া হয়। পরীক্ষা শেষে ওই শিক্ষক একই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে রুমে ডেকে শ্লীলতা হানীর চেষ্টা করে। এসময় ওই ছাত্রী জোড় পূর্বক শিক্ষকের হাত থেকে মুক্ত হয়ে বাসায় গিয়ে পরিবারের লোকজনের নিকট বিষয়টি জানায়।

 পরে ছাত্রীর বাবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে নিয়মিত মামলার পরামর্শ পূর্বক ওই শ্ক্ষিককে পুলিশে সোপর্দ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। অভিযুক্ত শিক্ষক জিয়াউর রহমান নিজেকে নির্দোষ দাবী করে জানান,তিনি ওই ছাত্রীকে তার কাছে প্রাইভেটে আসতে নিষেধ করায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে চক্রান্তমূলক আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে।

থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নুর ই ইসলাম বাদশা জানান বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার রাতেই ম্যানেজিং কমিটির সভা করা হয়েছে, পারিপাশ্বিক অবস্থা বিশ্লেষন করে তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. শামসুজ্জোহা’র সাথে কথা হলে তিনি বলেন,অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা থাকায় ওই শিক্ষককে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

চিলমারী মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম জানান, এব্যাপারে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১০ ধারায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার আসামী শিক্ষক জিয়াউর রহমান জিয়াকে গ্রেফতার পূর্বক কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

এদিকে শনিবার বিকেলে যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে উপজেলা পরিষদের সামনে অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবীতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সহকারী অধ্যাপক রুকুনুজ্জামান শাহীন, সাবেক ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক আবু আব্দুল্লাহ সিদ্দিক শুভ প্রমুখ।

 

এবিএন/গোলাম মাহবুব/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ