আজকের শিরোনাম :

ভালুকায় সরকারি হাসপাতালে পানির অভাবে রোগীদের দুর্ভোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:৫৪

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বহির বিভাগ, জরুরি প্রসূতি বিভাগ, আবাসিক এলাকায় ৩৪ দিন যাবত পানি নেই। 

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে অবগত করার পরও কোনো প্রকার ব্যবস্থা নেইনি। আরও ১ মাসের মাঝে পানির সমস্যার সমাধানে সম্ভবনা নেই বলে স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ জানিয়েছে।

সূত্রে জানা যায়, গত অক্টোবর মাসে হাসপাতালের পানির মটরটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর ৬ দিন পুরো হাসপাতালে পানি সরবরাহ বন্ধ ছিল। 

পরবর্তীতে ময়মনসিংহ স্বাস্থ্য ও প্রকৌশল বিভাগ তড়িগড়ি করে একটি নতুন মটর স্থাপন করে হাসপাতালের পানি সরবরাহ নিশ্চত করেন। 

পরে গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে মটর দিয়ে ময়লা পানি উঠতে থাকে। 

এরপর থেকে হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারের নষ্ট মটরটি মেরামত করে হাসপাতালের অন্তঃবিভাগ ও জরুরী বিভাগের সীমিত আকারে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। 

কিন্তু হাসপাতালের বহির বিভাগ, জরুরি প্রসূতি বিভাগ, আবাসিক এলাকায় পানি না থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন চিকিৎসক, রোগী, আবাসিক এলাকায় বসবাসরত চিকিৎসক ও কর্মচারীদের পরিবারের লোকজন। 

হাসপাতালের আবাসিক ১৮টি ফ্লাটের মাঝে বর্তমানে ১৫টি ফ্লাটে অফিসার ও কর্মচারীরা পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। 

তাঁরা খাবার, গোসল, দৈনন্দিনের ব্যবহারের পানি মসজিদ ও আশেপাশের চাপকল থেকে বালতি, কলসি, জগ ও বোতল দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। 

বাইরে থেকে পানি এনে শৌচকর্ম অন্যান্য পরিচ্ছন্নতার কাজ সাড়ছেন। হাসপাতালে জরুরী প্রসূতি বিভাগে পানি না থাকায় সিজারিয়ান অপারেশন, গর্ভবতী মায়ের পশ্রাব করার পর পানির জন্য ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। রোগীর অভিভাবক ও আত্মীয় স্বজনরা বাইরে থেকে পানি এনে রোগীদের জরুরী পানির সমস্যা মেটাচ্ছেন।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে হাসপাতালের আবাসিক ভবনে বসবাসকারী কয়েকজন কর্মচারী জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হাসপাতাল কোয়ার্টারে থাকেন না। 

তাই তিনি আমাদের পানির এ সমস্যার বিষয়টি অনুধাবন করছেন না। তিনি আবাসিকভাবে এখানে বসবাস করলে আমাদের দুর্ভোগের বিষয়টি বুঝতে পারতেন। বাইরে থেকে পানি টেনে এনে কাজ করা আমাদের জন্য খুবই কষ্ট কর। এতে রান্না বান্নাসহ ছেলে মেয়েসহ আমাদের গোসলের সমস্যা হচ্ছে। পানি ভর্তি বালতি টেনে যাওয়া কত কষ্ট তা ব্যাখ্যা করতে পারবো না। 

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মোস্তাক আহাম্মেদ বলেন, মটরের পানির সাথে ময়লা উঠায় হাসপাতালের অন্তঃ ও জরুরী বিভাগ ছাড়া আবাসিক ও বিভিন্ন বিভাগে ২৫/২৬দিন ধরে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। হাসপাতালের পানির এ সমস্যার বিষয়টি লিখিত ভাবে গত ২৪ ডিসেম্বর জানানো হয়েছে।

ময়মনসিংহ স্বাস্থ্য ও প্রকৌশলী বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শ্রী দুলাল চন্দ্র সরকার জানান, ভালুকা হাসপাতালের পানি সমস্যা নিয়ে গত ৬/৭ দিন পূর্বে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে। নতুন করে মটরের বরিং করতে ১২ লাখ টাকা ব্যয় হবে। 

সেখান থেকে বরাদ্দ পাওয়ার পর টেন্ডার দেয়ার পর ১৪/২১ দিন পর কাজ শুরু করা যাবে। কর্মচারীরা মটর চালু করে বাজার করতে চলে যায়। মটর নষ্ট ও অথবা পুরে গেলে সব দায়িত্ব আমাদের কাদে পড়ে। 

যদি ৫ লাখ টাকার মাঝে কাজটি সমাধান করা যেতো তাহলে আমি নিজেই করাতে পারতাম। বেশি টাকার কাজ হওয়ায় অধিদপ্তরের বরাদ্দ চেয়ে চিঠি দিয়েছি।

এবিএন/জাহিদুল ইসলাম খান/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ