আজকের শিরোনাম :

বিদ্যালয় পরিদর্শনে দুদক চেয়ারম্যান : ৮ শিক্ষকের ৭ জনই অনুপস্থিত

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:৩৯ | আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:৪২

দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ রবিবার হঠাৎ করে চট্টগ্রাম মহানগরী ও জেলার সীতাকুন্ডের কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি বানিজ্য, বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ রবিবার সকালে তিনি পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই চট্টগ্রামে এসে ৩টি স্কুলে যান সরাসরি।

দুদক সুত্রে জানা গেছে, সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে দুদক চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম পৌছেন। সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে তিনি হাজির হন নগরীর কাট্টলী নুরুল হক চৌধুরী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে। স্কুল সময়ে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিবাবকদের স্কুলের বাইরে দেখে বিস্মিত দুদক চেয়ারম্যান ডুকে পড়েন স্কুলে।

সেখানে সরেজমিনে দেখেন স্কুলের আটজন শিক্ষকের মধ্যে একমাত্র ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উপস্থিত, বাকি সাতজন শিক্ষকই অনুপস্থিত। ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গনের আশে-পাশে অলস সময় পার করতে দেখেন তিনি।

অভিভাবকগণ দুদক চেয়ারম্যানকে কাছে পেয়ে তাদের সন্তানদের শিক্ষা নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন এবং বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়মের কথা জানান।

এসময় দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, “আমাদের সন্তানদের শিক্ষা নিয়ে কাউকেই ছিনি-মিনি খেলতে দেওয়া হবে না। যে কোনো মূল্যে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষা নিশ্চিত করা হবে। প্রয়োজনে দুদক দন্ডবিধির ১৬৬ ধারা প্রয়োগ করবে। তারপরও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্ষতিসাধন করবেন বা করার চেষ্টা করবেন এমন কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

এর পরপরই দুদক চেয়ারম্যান যান জেলার সীতাকুন্ডের ভাটিয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখানে গিয়ে দেখেন ১১ জন শিক্ষকের মধ্যে ২ জন শিক্ষক অনুপস্থিত। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি অনুপস্থিতির কারণ জানাতে পারেননি।

দুদক চেয়ারম্যান ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি সীট পরীক্ষা করে দেখেন গতকাল যে সকল শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল তাদের অনেককেই উপস্থিত দেখানো হয়েছে। আবার রবিবার বেলা ১০ টা পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের রোল কল করা হয়নি। এ বিষয়েও স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। এর পর দুদক চেয়ারম্যান আকস্মিক পরিদর্শনে যান একই উপজেলার শীতলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে।

সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করা কোনো শিক্ষার্থীকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় সুযোগ (সেন্ট-আপ) দেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি অবহিত হয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন দুদক চেয়ারম্যান।

তবে নবম শ্রেণিতে এক বা একাধিক বিষয়ে ফেল করা ছাত্র-ছাত্রীদের ২০০০ টাকার বিনিময়ে দশম শ্রেণিতে প্রোমোশন দেওয়ার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, এটা অনৈতিক।

শিক্ষাক্ষেত্রে অনৈতিকতার কোনো স্থান থাকতে পারে না। শীতলপুর উচ্চ বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি মাষ্টার জাকির হোসেন দুদুক চেয়ারম্যানের আকস্মিক সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুদক চেয়ারম্যান সকালে আমাদের বিদ্যালয়ে আসেন। তিনি বিদ্যালয়ের পরিবেশ এবং শিক্ষার কার্যক্রম নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।


এবিএন/রাজীব সেন প্রিন্স/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ