আজকের শিরোনাম :

নিভৃতে সেবা দিয়ে যাচ্ছে চকরিয়ার প্রাণী সম্পদ হাসপাতাল

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:২৬

আজ রবিবার দুপুর ১টা। ছাগল কুলে নিয়ে হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে আসেন বার বছর বয়সি শিশু মান্নান। বাবার সাথে এসেছেন। কি জন্য এসেছো জিজ্ঞেস করতেই ছাগলের ভাঙ্গা পা’র দিকে দেখিয়ে দিলো। বললো ছাগলের ভাঙ্গা পা’র চিকিৎসা করতে এসেছি।

 এর একটু পর বাবা জামাল হোসেন ছাগলটি নিয়ে ডাক্তারের রুমে ডুকলো। ঘন্টাখানেক পর ছাগলের পায়ে ব্যান্ডেস পরিয়ে বের হয়ে এলো হাসপাতালের অপরারেশন রুম থেকে। দৃশ্যটি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ ও ভেটেরিনারী হাসপাতালের।

জানা যায়, মো.জামাল হোসেন একজন ছাগল খামারী। কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার চিরিংগা ইউনিয়নের চরণদ্বীপ এলাকার বাসিন্দা। তার ১৫-২০টি ছাগল রয়েছে। সকালের দিকে তার একটি ছাগলকে গরু লাথি দিয়েছে। ফলে ছাগল হাটঁতে পারছেনা। তাই হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন।

তিনি বলেন, ছাগলের পায়ে আঘাত পাওয়ায় খুব চিন্তার মধ্যে ছিলাম। তেমন কিছু হয়নি। ডাক্তার দেখে চিকিৎসা দিয়েছেন এবং ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেস দিয়ে দিয়েছেন।

চকরিয়া পৌরসভার আমেনা বেগম এসেছেন গর্ভবতী একটি ছাগল নিয়ে। তার ছাগলকে কুকুরে কামড়েছে। তাই হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। কুকুরে কামড় দেয়ার কারণে খুব ভয়ে ছিলেন আমেনা বেগম। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। ইতোমধ্যে চিকিৎসক ইনজেকশন দিয়ে দিয়েছে। তাই ভয়টা কেটে গেছে।  

সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাঁস-মুরগী, গরু-ছাগলসহ বেশ কিছু পশু-পাখি নিয়ে ভোক্তাভোগীরা চিকিৎসার জন্য এসেছেন হাসপাতালে। এসব পশু-পাখিদের মুহুর্ত্বের মধ্যে চিকিৎসা দিয়ে বিদায় করছেন হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসকরা। সাথে ওষুধও দিয়ে দিচ্ছেন। অনেকটা নিভৃতে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ ও ভেটেরিনারী হাসপাতাল।

কথা হয় হাসপাতালের চিকিৎসক ডা.সুপন নন্দীর সাথে। তিনি বলেন, উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা। বিশাল এলাকা। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত শতাধিক গরু-ছাগল, পশু-পাখি নিয়ে হাসপাতালে আসেন খামারী থেকে শুরু করে ভোক্তাভোগীরা। আমাদের পক্ষ থেকে হাসপাতালের আসা পশু-পাখিদের সাধ্য অনুযায়ী চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। জটিল কোন সমস্যা হলে ওইসব পশুদের রেফার করা হয়।

তিনি আরো বলেন, হাসপাতালে ভেটেরিনারি সার্জনসহ পর্যাপ্ত ওষুধ রয়েছে। আমরা বিশ্বাস ও আস্তার সহিত ভোক্তাভোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি।


এবিএন/মুকুল কান্তি দাশ/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ