পাবনার বেড়ায় শিক্ষার্থীরাও রোপন করছে পেঁয়াজের চারা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:৩৬ | আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:৪৩
পেঁয়াজ চাষের প্রধান অঞ্চল হিসাবে বেশ পরিচিতি আছে পাবনার বেড়া,সাঁথিয়া,সুজানগর,ফরিদপু,ভাঙ্গুড়া,উপজেলা। পাবনার ফসলি জমিতে নতুন পেঁয়াজের চারা রোপন শুরু করেছে কৃষকেরা। এসব অঞ্চলের কৃষকদের এই পেঁয়াজই প্রধান অর্থকরী ফসল এবং চারা রোপন করবে পুরো জানুয়ারী মাস জুড়ে।
পাবনা বেড়ার কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছে পেঁয়াজের চারা রোপন কাজে। বেড়া উপজেলা কৃষি ও সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি রবি মওসুমে বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলায় ১৪হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখাযায়, উপজেলার বড়শিলা মাঠে পেঁয়াজ চারা রোপন করতে দিন মজুরদের সাথে কাজ করছে উপজেলার স্কুল ও কলেজের ছাত্ররা। আবার অনেকেই নিজেদের জমিতে দিন মজুরের সঙ্গে চারা রোপনের কাজ করছে।
দিনমজুর হিসাবে পেঁয়াজের চারা রোপন করতে আসা পুন্ডুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র সজীব বলে, জানুয়ারী মাসে ক্লাস কম হয় তাই বাড়তি কিছু টাকা রোজগার করে সংসারে সচ্ছলতা আনার জন্য সে এ কাজ করছে বলে জানায়।
প্রতি দিন ২৫০ টাকা থেকে ৩০০টাকা আর বড় মানুষদের ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা করে এবং দিনে দুইবেলা খাবার খাওয়ার মাধ্যমে দিনমজুর হিসাবে এই পেঁয়াজের চারা রোপন করে থাকে। রিদয় নামে অন্য এক কলেজ ছাত্র বলে, গতবার সে পেঁয়াজ চারা রোপনের মৌসুমে ৮হাজার ৫শত টাকা রোজগার করেছিল আর এবারের মৌসুমেও ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা রোজগার করতে পারবে বলে আশা করে। আর এই রোজগারকৃত টাকা দিয়ে এবারে একটি ভাল মোবাইল ফোন,বই ও জামা কাপড় কিনবে বলে জানায়। পরিশ্রমের বিষয়ে জানতে চাইলে রিদয় বলে, দিন কখন কেটে যায় টের পাইনা গল্পে গল্পে দিন চলে যায়। উপজেলার চকপাড়া গ্রামের কৃষক আরজান মোল্লা বলেন, তিনি এবারে ১৫ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের দানা রোপন করবেন আর ইতিমধ্যে ৭ বিঘা জমিতে রোপন করেছেন। তিনি আরো জানান, প্রতি বিঘা জমিতে এই পেঁয়াজের চারা রোপন করতে ১২ থেকে ১৪ জন দিনমজুর হিসাবে কাজ করে থাকে আর এদের মধ্যে আমার কলেজে পড়া ছেলে সহ স্কুল কলেজের ছাত্ররা কাজ করছে। প্রতি বিঘাতে খরচ হয় প্রায় ১৬ হাজার টাকা। ভাল ফলন হলে ৩ গুন টাকা লাভ হয়ে থাকে। পিয়াজ তিন মাসের ফসল তাই পেঁয়াজ রোপনে কৃষকেরা বেশী আগ্রহী হয় । বেড়া উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা রঞ্জন কুমার প্রামানিক ও সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.ইসমাইল হোসেন জানান, সঠিক ভাবে চারা রোপন,পরিচর্যা,সঠিক মাত্রায় সার ও কীটনাশক প্রয়োগ এবং প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে এ মৌসুমে পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের হবে বলে আশা করা যায়।
এবিএন/নির্মল সরকার/জসিম/তোহা
প্রতি দিন ২৫০ টাকা থেকে ৩০০টাকা আর বড় মানুষদের ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা করে এবং দিনে দুইবেলা খাবার খাওয়ার মাধ্যমে দিনমজুর হিসাবে এই পেঁয়াজের চারা রোপন করে থাকে। রিদয় নামে অন্য এক কলেজ ছাত্র বলে, গতবার সে পেঁয়াজ চারা রোপনের মৌসুমে ৮হাজার ৫শত টাকা রোজগার করেছিল আর এবারের মৌসুমেও ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা রোজগার করতে পারবে বলে আশা করে। আর এই রোজগারকৃত টাকা দিয়ে এবারে একটি ভাল মোবাইল ফোন,বই ও জামা কাপড় কিনবে বলে জানায়। পরিশ্রমের বিষয়ে জানতে চাইলে রিদয় বলে, দিন কখন কেটে যায় টের পাইনা গল্পে গল্পে দিন চলে যায়। উপজেলার চকপাড়া গ্রামের কৃষক আরজান মোল্লা বলেন, তিনি এবারে ১৫ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের দানা রোপন করবেন আর ইতিমধ্যে ৭ বিঘা জমিতে রোপন করেছেন। তিনি আরো জানান, প্রতি বিঘা জমিতে এই পেঁয়াজের চারা রোপন করতে ১২ থেকে ১৪ জন দিনমজুর হিসাবে কাজ করে থাকে আর এদের মধ্যে আমার কলেজে পড়া ছেলে সহ স্কুল কলেজের ছাত্ররা কাজ করছে। প্রতি বিঘাতে খরচ হয় প্রায় ১৬ হাজার টাকা। ভাল ফলন হলে ৩ গুন টাকা লাভ হয়ে থাকে। পিয়াজ তিন মাসের ফসল তাই পেঁয়াজ রোপনে কৃষকেরা বেশী আগ্রহী হয় । বেড়া উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা রঞ্জন কুমার প্রামানিক ও সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.ইসমাইল হোসেন জানান, সঠিক ভাবে চারা রোপন,পরিচর্যা,সঠিক মাত্রায় সার ও কীটনাশক প্রয়োগ এবং প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে এ মৌসুমে পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের হবে বলে আশা করা যায়।
এবিএন/নির্মল সরকার/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ