আজকের শিরোনাম :

গোদাগাড়ীতে ছয়টি দোকানে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ, আটক ৩

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০১৯, ২২:০২

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ছয়টি দোকানে ভাংচুর,লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে দূর্বৃত্তরা। প্রতক্ষদর্শীরা জানায় গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯ টার দিকে উপজেলার গোগ্রাম ইউনিয়নের কুমোরপুর বাজারের অধিককাংশ দোকান ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে বন্ধ হয়ে যায়।

এসময় পিকাপ ভ্যান ও মাইক্রোবাস যোগে ২০-২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ লাঠি সোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে  বাজারের বদর আলী ও টিয়ার ধানের আড়ৎ , বাহাদুরের কাপড়ের দোকান, শাহীন কামালের কীটনাশক সিনেজেন্টার বিক্রয় কেন্দ্র, আল-আমিনের ঔষুধের দোকান, নিশাতের পানের দোকান ও জুয়েল টেলিকমে প্রধমে ভাংচুর ও লুটপাট করে যাওয়ার সময় ধানের আড়ৎ এ অগ্নিসংযোগ ঘটায়।

খবর পেয়ে গোদাগাড়ী দমকল বাহীনির সদস্যরা আগুন নিভিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে । কিন্তু এর আগে ধনের আড়ৎ এর সব কিছুই পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

কাপড়ের দোকানদার বাহাদুর বলেন, দোকানে ১৬ লক্ষ টাকার মালামাল ছিল। আর শাহীন কামালের সোয়া ১ লক্ষ টাকার  কিটনাশক লুট হয়ে যায়। বদর আলীর ৫ লক্ষ টাকার ধান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।  এরপর থেকে এলাকা জুড়ে আতংক বিরাজ করায় দোকানপাট বন্ধ থাকে।  

বুধবার দুপুর সাড়ে ১১ টার দিকে রাজশাহী রেঞ্জের উপ মহা পুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) খুরশিদ আলম, রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে জড়িতদের আটক করে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিলে বিকেল থেকে দোকানপাট খোলা শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা তবে ১০-১২ টি দোকান বন্ধ ছিল।  

এদিকে মঙ্গলবার দিবাগত  রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্ধহে ৩ জনকে আটক করে।  আটককৃতরা হচ্ছে উপজেলার বিজয়নগর গ্রামের সাখোয়াত হোসেনের ছেলে শানওয়ার হোসেন বিদুৎ (৩০) তার ভাই সাগর হোসেন (২৭),রাজাবাড়ী গ্রামের মুসলেমউদ্দীনের ছেলে রুহুল আমিন(৩৩)।  

গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এঘটনায় মামলা দায়ের পক্রিয়াধীন রয়েছে। স্থানীয় সুত্র জানায় ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিকেরা জামায়াত-বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং ধানের শিষের পক্ষে কাজ করছিল।

গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমোরপুর আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট চলাকালীন সময়ে জামায়াত-বিএনপি সমর্থকদের হামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ ও যুবলীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমান আহত হন। এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল।  এর জের ধরে ৭ টি দোকানে ভাংচুর,লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ ঘটতে পারে।  

তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে এলাকার কেও জড়িত নয়। কোন নেতার ব্যক্তিগত আক্রশে বহিরাগতরা ঘটনা ঘটিয়েছে।  এর জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ দায় দায়িত্ব বহন করবেনা।  

এ প্রসঙ্গে সহকারী পুলিশ সুপার  (গোদাগাড়ী সার্কেল) লুৎফর রহমান বলেন,এ ঘটনা কারা ঘটিয়েছে তা বের করতে পুলিশ তদন্ত করছে।


এবিএন/শামসুজ্জোহা বাবু/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ