আজকের শিরোনাম :

পটিয়ায় নৌকা প্রার্থীর গণসংযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:১৮

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে আ.লীগের নৌকার প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী ফুরফুরে মেজাজে আরামে রয়েছেন। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে তিনি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তাঁর ব্যানার, পোস্টারে ছেয়ে গেছে উপজেলার সর্বত্র। তিনি প্রতিদিন অন্তত দুটি ইউনিয়নে গণসংযোগ করে চলেছে। বিগত সময়ে তাঁর সাথে দলের যে সমস্ত নেতাকর্মীরা বিরোধীতা করে আসছিল, তাঁরা তাকে সমর্থন দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে কাজ করায় তিনি এখন চিন্তামুক্ত। 

বিদ্রোহী গ্রুপের সাথে সমঝোতা হওয়ায় মাঠে প্রচারণার পাল্লা ভারী হয়ে উঠেছে। তিনি গণসংযোগকালে লোকজনকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, তাঁর নির্বাচনী এলাকায় শান্তিপূর্ণ ভোট হবে। কোনো ধরণের সহিংসতা হবে না। তিনি বলেন জনগণ তাঁকে স্বতস্ফূর্তভাবে ভোট দেবে। কারণ বিগত ১০ বছরে তিনি পটিয়ায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ-কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক ভবন নির্মাণসহ প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন। যা বিগত সরকারের আমলে এত উন্নয়ন হয়নি। 

তা ছাড়াও তিনি সব সময় পটিয়ায় অবস্থান করে মানুষের যে কোনো সুখে, দুঃখে পাশে ছিলেন। কোনো কাজে গিয়ে কেউ খালি হাতে ফিরে নি তাঁর কাছ থেকে। তিনি কাউকে অহেতুক মামলা দিয়ে হয়রানী করে নি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাঁর কার্যক্রমকে মূল্যায়ণ করে লোকজন তাঁকে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী করবে বলে তিনি আশাবাদী। 

এ দিকে ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব এম এ মতিন মোমবাতী প্রতীক নিয়ে ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী নুরুচ্ছফা সরকার লাঙল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে জোর প্রচারণায় রয়েছে। অন্য ৫ জন প্রার্থীর তেমন কোনো প্রচারণা দেখা যাচ্ছে না। 

অন্যদিকে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী এনামুল হক এনাম মহা টেনশনে রয়েছে। তিনি জানান, বিগত ১০ বছরে আ.লীগ তাকে সহ তাঁর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৮টি মিথ্যা মামলা দিয়েছে। নানান প্রতিকূলতার মধ্যেও তিনি মনোনয়ন পেয়ে মাঠে নামলেও প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নির্বাচনী মাঠে স্বাভাবিকভাবে প্রচার-প্রচারণা করতে পারছে না। কোনো মিছিল সমাবেশ হলেই রাতেই ঐ এলাকা থেকে পুলিশ তাঁর নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে নিচ্ছে। এ পর্যন্ত তাঁর ৩০ জন নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশের ভয়ে অনেক নেতাকর্মী বাড়ীছাড়া হয়েছে। যার ফলে মাঠে কোনো প্রচার প্রচারণা চালাতে পারছে না। পুলিশ বিএনপির প্রতিপক্ষ হয়ে কাজ করছে। আ.লীগের হামলায় ইতিমধ্যে তাঁর প্রায় ১০/১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। অধিকাংশ ধানের শীষের ব্যানার, পোস্টার আ.লীগ নেতাকর্মীরা ছিড়ে ফেলছে। এ ছাড়া ব্যানার, পোস্টার লাগাতে বাঁধা প্রদান করছে। 

এনামুল হক বলেন, ধানের শীষের গণজোয়ার দেখে আ.লীগ প্রার্থী পুলিশকে ব্যবহার করে তাঁকে কোনঠাসা করার প্রচেষ্টায় আছে। বর্তমানে এলাকায় কোনো নির্বাচনী পরিবেশ নাই বললেই চলে। এককভাবে নৌকার প্রার্থী সব মিছিল মিটিং করে যাচ্ছে। তিনি ইসির কাছে এর প্রতিকার দাবী করেছেন। 

এবিএন/সেলিম চৌধুরী/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ