চরভদ্রাসনে নদী থেকে হাত পা বাঁধা মাদ্রাসা ছাত্র উদ্ধার
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০১৮, ১৬:১১
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামে গতকাল রবিবার সন্ধা ৬ টার পর রিফাত খান (১০) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে হাত পা বাধা অবস্থায় প্রতিবেশীদের সহায়তায় পদ্মা নদী থেকে উদ্ধার করেছে তার নানা রব মৃধা। রিফাত সদর ইউনিয়নের এম কে ডাঙ্গী মাদ্রাসা ও এতিম খানার মক্তব বিভাগের ছাত্র।
রিফাত জানায় আছরের নামাজ শেষে বিরতির সময় বালিয়াডাঙ্গী তার নানা বাড়ী আসে সে। বিকেল পাচটার দিকে(মাগরিবের আজানরে পূর্বে) তার খালা সুমি আক্তার আবার মাদ্রাসায় পৌছে দিয়ে আসে।এরপর বিস্কুট কেনার জন্য সে মদ্রাসার বাইরে গেলে দুই মটর সাইকেল আরোহী তাকে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় সে সবকিছু দেখতে পেলেও মুখ আটকে রাখার কারনে চিৎকার করতে পারেনি। নদীতে বিলুপ্ত ফাজেলখার ডাঙ্গী স্কুলের কাছে গেলে লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে মটর সাইকেল রেখে ঐ স্থান থেকে প্রায় তিনশত মিটার দক্ষিন-পূর্বে অবস্থিত আরেকটি পয়েন্টে নিয়ে যায় তাকে।
এ সময় একটি নৌকার উপর ফেলে তার ব্যাবহারের রুমাল ছিড়ে হাত পা ও মুখ বাধে। কিন্তু লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে নৌকা থেকে পানিতে ফেলে দিয়ে তারা পালিয়ে যায়।
রিফাতকে যে স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সেখান থেকে রব মৃধার বাড়ী মাত্র ১৫ মিটারের মত। তিনি জানান সন্ধার পর প্রতিবেশী সোনা মিয়া ও আলী খানের সাথে বসে গল্প করছিলেন। গোংগানীর শব্দ পেয়ে সোনা ও আলী লাইট নিয়ে গিয়ে দেখতে পান নৌকার পাশে পানির মধ্যে কেউ একজন পরে আছে। তিনি সেখানে গিয়ে তার নাতি রিফাতকে দেখতে পান ও উদ্ধার করেন। সৌভাগ্যক্রমে রিফাতের মাথা পানির নীচে না থাকায় বেচে গেছে বলে জানান তিনি।
উক্ত মাদ্রাসার নূরানী মক্তবের শিক্ষক দোলায়ার হোসেন রিফাতের মাদ্রাসায় ফিরে আসার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন বিরতির সময় রিফাত নানা বাড়ীর কথা বলে মাদ্রাসা থেকে বেরিয়ে যায়। মাদ্রায় ফিরে আসার পূর্বেই এঘটেনা ঘটেছে বলে তিনি দাবী করেন।
রিফাতের মা রুমা আক্তার বলেন সাত দিন পূর্বে কালো কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে অটো রিক্সায় করে নিয়ে যাওয়ার একটি ঘটনা রিফাত বলেছিল।কিন্তু মাদ্রাসায় না যাওয়ার অজুহাত ভেবে তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি। তবে এ ঘটানার পরে উদ্বিগ্ন তার পরিবার।এ ব্যাপারে চরভদ্রাসন থানায় ঘটনার বিবরন দিয়ে অভিযোগ করেছে তার মা।
চরভদ্রাসন থানা পরিদর্শক হারুন উর রশিদ বলেন রিফাতের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ে আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এবিএন/কে.এম রুবেল/জসিম/তোহা
রিফাত জানায় আছরের নামাজ শেষে বিরতির সময় বালিয়াডাঙ্গী তার নানা বাড়ী আসে সে। বিকেল পাচটার দিকে(মাগরিবের আজানরে পূর্বে) তার খালা সুমি আক্তার আবার মাদ্রাসায় পৌছে দিয়ে আসে।এরপর বিস্কুট কেনার জন্য সে মদ্রাসার বাইরে গেলে দুই মটর সাইকেল আরোহী তাকে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় সে সবকিছু দেখতে পেলেও মুখ আটকে রাখার কারনে চিৎকার করতে পারেনি। নদীতে বিলুপ্ত ফাজেলখার ডাঙ্গী স্কুলের কাছে গেলে লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে মটর সাইকেল রেখে ঐ স্থান থেকে প্রায় তিনশত মিটার দক্ষিন-পূর্বে অবস্থিত আরেকটি পয়েন্টে নিয়ে যায় তাকে।
এ সময় একটি নৌকার উপর ফেলে তার ব্যাবহারের রুমাল ছিড়ে হাত পা ও মুখ বাধে। কিন্তু লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে নৌকা থেকে পানিতে ফেলে দিয়ে তারা পালিয়ে যায়।
রিফাতকে যে স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সেখান থেকে রব মৃধার বাড়ী মাত্র ১৫ মিটারের মত। তিনি জানান সন্ধার পর প্রতিবেশী সোনা মিয়া ও আলী খানের সাথে বসে গল্প করছিলেন। গোংগানীর শব্দ পেয়ে সোনা ও আলী লাইট নিয়ে গিয়ে দেখতে পান নৌকার পাশে পানির মধ্যে কেউ একজন পরে আছে। তিনি সেখানে গিয়ে তার নাতি রিফাতকে দেখতে পান ও উদ্ধার করেন। সৌভাগ্যক্রমে রিফাতের মাথা পানির নীচে না থাকায় বেচে গেছে বলে জানান তিনি।
উক্ত মাদ্রাসার নূরানী মক্তবের শিক্ষক দোলায়ার হোসেন রিফাতের মাদ্রাসায় ফিরে আসার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন বিরতির সময় রিফাত নানা বাড়ীর কথা বলে মাদ্রাসা থেকে বেরিয়ে যায়। মাদ্রায় ফিরে আসার পূর্বেই এঘটেনা ঘটেছে বলে তিনি দাবী করেন।
রিফাতের মা রুমা আক্তার বলেন সাত দিন পূর্বে কালো কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে অটো রিক্সায় করে নিয়ে যাওয়ার একটি ঘটনা রিফাত বলেছিল।কিন্তু মাদ্রাসায় না যাওয়ার অজুহাত ভেবে তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি। তবে এ ঘটানার পরে উদ্বিগ্ন তার পরিবার।এ ব্যাপারে চরভদ্রাসন থানায় ঘটনার বিবরন দিয়ে অভিযোগ করেছে তার মা।
চরভদ্রাসন থানা পরিদর্শক হারুন উর রশিদ বলেন রিফাতের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ে আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এই বিভাগের আরো সংবাদ