তুমব্রু সীমান্তে ফের মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মাইকিং
আতঙ্কে রোহিঙ্গারা
প্রকাশ: ২০ মে ২০১৮, ১৯:১৩
বান্দরবান, ২০ মে, এবিনিউজ : বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমরু সীমান্তে নোম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থানকারী রোহিঙ্গাদের সরে যেতে আবারো মাইকিং শুরু করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।
সীমান্ত থেকে পাওয়া খবরে জানা যায়, গতকাল ভোর থেকে সীমান্তের কাঁটাতার ঘেঁষে সেনা ও সীমান্তরক্ষী মোতায়েন করে টহল জোরদারের পাশাপাশি কয়েক দফা মাইকিং করা হয়। এ সময় রোহিঙ্গাদের নোম্যান্স ল্যান্ড থেকে সরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অন্য জায়গায় আশ্রয় নিতে নির্দেশ দেয়। এতে করে রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
এ প্রসঙ্গে রোহিঙ্গাদের মাঝে কর্মরত একটি বেসরকারী সংস্থার কর্মকর্তা জনাব জমির উদ্দিন জানান, আজ সকালেও সীমান্তরে ওপার থেকে ময়িানমার বাহিনী মাইকিং করে নোমান্স ল্যান্ডে অশ্রয় নেয়া রোহঙ্গিাদের অবিলম্বে সেখান থেকে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে।
বর্তমানে প্রায় পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা তুমরু সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থান করছে। এলাকাটি প্রতিবছর বর্ষায় তুমরু খালের পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে নিচু স্থানে সেখানে মাচান ঘর তৈরি করে এমনিতেই তারা বিপদের ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব ঘর তৈরিতে সহায়তা করছে ঢাকার ব্যবসায়ী, কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও বিজিবি।
এর আগে চলতি বছরের মার্চে মিয়ানমার সেনাবাহিনী তুমরু সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডের রোহিঙ্গাদের সরাতে একইভাবে মাইকিং করেছিল। সে সময় রোহিঙ্গাদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছিল। পরে উভয় দেশের কর্মকর্তাদের বৈঠকের পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। গত-বছরের আগস্টে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে ৮ লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
এর মধ্যে প্রায় ১৫ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম তুমরু সীমান্তে। অন্য এলাকার রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে সরিয়ে নেয়া হলেও তুমরু সীমান্তে নোম্যান্স ল্যান্ডে প্রায় চার হাজারেও বেশি রোহিঙ্গা রয়ে যায়।
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি