আজকের শিরোনাম :

কাপাসিয়ায় আমন ধানে রোগের আক্রমণে দিশেহারা কৃষকেরা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০১৮, ২১:৫৪

ধান পাকার মুহূর্তে কাপাসিয়া উপজেলার বিভিন্ন ধান খেতে নানান রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে।  ফসল ঘরে তোলার এই সময়ে কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের পরামর্শ ও নির্দেশনা চেয়েছেন কৃষকরা।

আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিলেও পোকার আক্রমণে কৃষকের আক্রান্ত জমিগুলোতে বিভিন্ন ব্রান্ডের কীটনাশক প্রয়োগ করেও তেমন কোন সুফল পাচ্ছেন না। অনেক জমিতে ধানগাছগুলো বিবর্ণ হয়ে পড়েছে।
 
কাপাসিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশীষ কুমার কর জানান, কাপাসিয়া উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে ধানচাষ হয়েছে ১১ হাজার ১৭৬ হেক্টর জমিতে। কোনো কোনো জমিতে ধান পাকতেও শুরু করেছে। এ অবস্থায় ধানখেতে মাজরা পোকার ও ইঁদুরের আক্রমণ ,পচন দেখা দিলে আমাদের কাছে আসলে কৃষকের কথা শুনে কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দিব।

সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাঠভর্তি শুধু ধান আর ধান। তবে সামান্য কিছু বাদে অধিকাংশ খেতের ধানের পাতা লাল হয়ে শুকিয়ে শীষ চিটা হয়ে গেছে। ধানের গাছ পচে যাচ্ছে ও ইঁদুরের আক্রমন দেখা দিয়েছে।

কেন্দুয়াব গ্রামের আসাদুল্লাহ মাসুম জানান, আমাদের গ্রামের প্রায়ই কৃষকের জমিতেই রোগে দেখাদিয়েছে। কীটনাশক ব্যবহার করেও রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। উপসহকারী কৃষি অফিসাররা স্ব-স্ব ব্লকে রয়েছেন। কিন্তু তারা কৃষদের কোন প্রকার পরামর্শ ও সহযোগীতায় এগিয়ে আসছে না।

টোক ইউনিয়নের পাঁচুয়া গ্রামের ধানচাষি আফতাব উদ্দিন বলেন, এবার ৯০ শতাংশ জমিতে ধান চাষ করেছি। ধান ফলানোর জন্য নগদ অর্থ ও শ্রম সবই শেষ করেছি। এখন ফসল ঘরে তুলব। ধানের পাতা লাল হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে হঠাৎ করেই ধানখেতে মাজরার আক্রমণ দেখা যাচ্ছে। কীটনাশক ছিটিয়েও লাভ হচ্ছে না। এতে করে আমর ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। আমরা কৃষি অফিস থেকে কোন পরামর্শ পাচ্ছি না। কৃষি অফিসের কেউ আমাদের সমস্যা দেখে না।

কৃষক মান্নান জানান, আমাদের ধানের পাতা সাদা হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। কৃষি কর্মকর্তাার কাছে গেলে ঔষধের নাম বলে দেয় কিন্তু কোন কাজে আসে না। তারা মাঠে এসে দেখে না।

কৃষক শফিকুল ইসলাম জানান, এবার আমাদের চাহিদা অনুযায়ী ফসল পাবনা রোগের কারণে। প্রতি ইউনিয়নে কৃষি উপসহকারী রয়েছে যারা মাঠে এসে কৃষকের কথা শুনে ঔষধ দেওয়ার কথা কিন্তু আমাদের এলাকায় আসে না।

উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ সহিদুল ইসলাম জানান, কৃষকদের কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ নিয়ে উপসহকারী কৃষি অফিসাররা স্ব-স্ব ব্লকে রয়েছেন তাদের কাছে গেলে তাঁরা কৃষকদের বিভিন্ন কলাকৌশল পরামর্শ দিবেন।  

এবিএন/নুরুল আমীন সিকদার/জসিম/এরাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ