আজকের শিরোনাম :

অযত্নে ও অবহেলায় জলঢাকায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:৩৬

নীলফামারীর জলঢাকায় অযত্নে ও অবহেলায় পরে রয়েছে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালটি।  উদ্বোধনের পূর্বেই সুযোগ সন্ধানীরা সরকার নির্ধারিত অবশিষ্ট পাশের পাশের জায়গাটুকু দখলে নিচ্ছে।  এতে ম্যুরালে সংরক্ষন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।  এ ছাড়া প্রশাসনের অবহেলার কারণে ম্যুরাল সংরক্ষনের জন্য অবশিষ্ট জায়গাটি বেহাত হচ্ছে এমন অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়,গত বছর বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল নির্মানের জন্য নির্ধারন করা হয় স্থানীয় ট্রাফিক মোড়।সেখানেই নির্মান করা হয় ম্যুরালটি।ম্যুরালের কারণেই স্থানটি বঙ্গবন্ধু চত্তর নামে পরিচিতি লাভ করেছে। সূত্রে জানা যায়,জেলা পরিষদের অর্থায়নে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মমতা এন্টারপ্রাইজ ম্যুরালটি নির্মাণ করে।এবং ডিজাইন করে শাওন সাগর নামে একটি প্রতিষ্ঠান।এতে ব্যয় হয় ২৯ লাখ টাকা।

 সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের চারিদিকে খোলা।সেখানে তিন চাকা বিশিষ্ট যানবাহনগুলোর অঘোষিত স্ট্যান্ড গড়ে তোলা হয়েছে।ইতিমধ্যে ম্যুরালের পাশে কৌশলে অস্থায়ী দখল হিসেবে একাধিক ব্যবসার অস্তিত্ব মিলেছে।এমনকি নৌকার উপর যে ম্যুরালটি তৈরী করা হয়েছে সেই নৌকাটির টাইলস পর্যন্ত তুলে ফেলার নমুনা দেখা গেছে।রক্ষণাবেক্ষণ ও স্থানীয় প্রশাসনের অবহেলার জন্য এমন হচ্ছে বলে অনেকেই মন্তব্য করতে শোনা গেছে।

এছাড়া বঙ্গবন্ধু ম্যুরালটির অযতœ ও অবহেলার কারণে সংরক্ষণ ও সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য চলতি বছরের ৫ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেছিল জলঢাকা সাহিত্য ও সংস্কৃতি সংসদ নামের একটি সংগঠন।  তারপরেও কতৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক এম নুরনবী রহমান জানান,স্থানীয় প্রশাসনের অবহেলার কারণে  ম্যুরালের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য রাখা অবশিষ্ট জায়গাটুকু বেহাত হচ্ছে।এটি রক্ষার জন্য আমি জোর দাবী জানাই।

এবিষয়ে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি জলঢাকা উপজেলা সাধারন সম্পাদক একে আজাদ বলেন,প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ম্যুরালটির উপর প্রশাসনিক তৎপরতা না থাকার কারণে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য জায়গাটি ভূমিদস্যুদের দখলে যাচ্ছে।  এটি রক্ষণাবেক্ষনের জন্য আমি জোর দাবী জানাই।  আর সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য যে অসমাপ্ত কাজ সে কাজগুলো অতিসত্বর শেষ করার জন্য আহবান জানাই। না হলে সুযোগ সন্ধানীরা ম্যুরালের অবশিষ্ট জায়গাটি দখলে নিয়ে স্থায়ী ব্যবসা গড়ে তুলবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায় বলেন, ম্যুরালটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।  জায়গা দখল প্রসঙ্গে ইউএনও বলেন, অচিরেই তাদেরকে উচ্ছেদ করা হবে।

 

এবিএন/হাসানুজ্জামান সিদ্দিকী হাসান/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ