আজকের শিরোনাম :

ক্রেতারা উদ্ধিগ্ন

পটিয়ায় দাম বেড়েই চলেছে সবজীর

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:৫৪ | আপডেট : ০৫ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:৫৫

চট্টগ্রামের পটিয়া থানার হাট, কামাল বাজার, মুন্সেফ বাজার, কমল মুন্সির হাট, অলির হাট সহ বিভিন্ন হাট-বাজারে সবজীর দাম বেড়ে চলেছে। বিক্রি হচ্ছে আগের চেয়ে তুলানমূলক বেশি দামে। গত ৫ অক্টোবর শুক্রবার মুন্সেফ বাজার ও পটিয়ার নতুন থানার হাট কাঁচা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৫০-৬০ থাকা, শিম ১০০-১২০ টাকা, লাউ ৩০-৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০-৬০ টাকা, কাঁচা পেপে ২৫-৫০ টাকা, আলু ২৮ টাকা, ঢ়েঁডস ৫৫-৬০ টাকা, পটল ৩০-৪০ টাকা, গাজর ৮০-১০০ টাকা, বটবটি ৫০-৬০ টাকা, বাঁধা কপি ৫০-৬০ টাকা, তিত করলা ৬০-৭০ টাকা, টমোটো ৮০-১০০ টাকা।

গত এক সপ্তাহে বাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে সবজির দাম ৫ ভাগের এক ভাগ বেড়ে চলেছে। এছাড়াও বাজারে প্রতি কেজি মুরগী বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০, গরুর মাংস ৫০০-৬০০ টাকা। যাহা গত সপ্তাহে ৪৫০-৫০০ টাকায় পাওয়া যেত। ৬০০ টাকার চিংড়ী মাছ বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা। প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকা, লইট্ট্যা মাছ ১১০-১৩০ টাকা, ইলিশ মাছ ছোট গুলো ৪০০-৫০০ টাকা বিক্রি হলেও ১ কেজি ওজনের ইলিশ মাছ ৮০০-১০০০ টাকা, রূপচাঁদা ৫০০-৬০০ টাকা, কাতাল মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা, ন্যালেটিকা ১৪০-১৭০ টাকা।

পটিয়া থানা হাটের মাছ বিক্রেতা মোহাম্মদ শহিদ বলে, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। সরবরাহ একটু কম থাকায় দাম বেড়েছে বলে জানান।

এদিকে বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা, চিনি ৫৫-৬০ টাকা, পেয়াজ ২৫-৪০ টাকা, খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার ৯০-১০০ টাকা, পায়জার চাউল ৫৫-৬০ টাকা, মিনিকেট চাউল ৫০-৫৫ টাকা, উৎসব চাউল ৪৫-৫৫ টাকা, চিনি গুড়া চাউল ৯০-১১০ টাকা, কাটারী ভোগ চাউল ৭০-৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে বলে পটিয়া থানার হাট সহ বিভিন্ন হাট-বাজারের ক্রেতা বিক্রেতাদের সূত্রে জানা গেছে। কোরবানের পরে শীত মৌসুমের আগে হঠাৎ সবজীর দাম বেড়ে যাওয়া নিম্ন শ্রেণির মানুষের মধ্যে অসস্তিকর বোধ করছে।

এ ব্যাপারে মুন্সেফ বাজারের ক্রেতা মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন জানান, বাংলাদেশে একটি জিনিসের দাম বাড়লে তা আর কমে না। গত ২ সপ্তাহ যে কাঁচা বাজার প্রতি কেজি ক্রয় করতে ২০-৩০ টাকা সাশ্রয় হতো, বর্তমানে তা আরো বেড়ে যাওয়ায় আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষরা অতি কষ্টে দিন যাপন করতে হচ্ছে।  

এবিএন/সেলিম চৌধুরী/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ