আজকের শিরোনাম :

দৌলতদিয়ায় পারাপারের অপেক্ষায় শত শত পণ্যবাহী ট্রাক

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২১, ১১:২২

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্তে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে অপেক্ষা করছে শত শত যানবাহন। অপেক্ষমাণ এসব যানবাহনের মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা বেশি। দীর্ঘ সময় খোলা আকাশের নিচে আটকা থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ট্রাকচালকদের।

ঘাট এলাকায় শত শত পণ্যবাহী ট্রাক নদী পারের অপেক্ষায় থাকলেও চাপ নেই যাত্রীবাহী দূরপাল্লার পরিবহন ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি নদী পার করার কারণে ঘাটে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না যাত্রীদের। ঘাট এলাকাতে এসে কিছু সময় পরই ফেরিতে উঠে যাচ্ছে পরিবহন ও ছোট গাড়িগুলো।

আজ শনিবার (৯ অক্টোবর) সকালে সরেজমিন দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় এ চিত্র দেখা যায়। ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বাংলাদেশ হ্যাচারিজ পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এলাকায় তিন শতাধিক যানবাহন ফেরি পারের অপেক্ষায় রয়েছে। অপেক্ষমাণ এসব যানবাহনের মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা বেশি।

অন্যদিকে ঘাট এলাকায় যানজট কমাতে পুলিশ ফেরিঘাট থেকে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার পেছনে গোয়ালন্দমোড় থেকে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের কল্যাণপুর বাজার পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকায় দুই শতাধিক অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাককে আটকে রেখেছে। সিরিয়ালে আটকে থাকা এসব ট্রাকগুলো ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ফেরির নাগাল পাচ্ছে না। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ট্রাকচালকদের।

ঘাট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটের অতিরিক্ত গাড়ির চাপ পড়েছে দৌলতদিয়া ঘাটে। এ ছাড়া পদ্মায় ড্রেজিং কাজ চলমান থাকায় ফেরিগুলোকেও অনেকটা পথ ঘুরে তারপর যেতে হচ্ছে। এতে সময় বেশি লাগছে। তাছাড়া দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে রো রো ফেরির জন্য পর্যাপ্ত পন্টুন না থাকায় একটি ফেরি না ছাড়া পর্যন্ত অপর একটি ফেরিকে ঘাটের কাছে এসে ঝুলে থাকতে হচ্ছে। এসব কারণে দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহনগুলোর দীর্ঘ সারি তৈরি হচ্ছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন বলেন, এই রুটে আজ ১৯টি ফেরি চলাচল করছে। চারটি ঘাট চালু রয়েছে। তবে বড় রো রো ফেরির জন্য ঘাট রয়েছে মাত্র দুটি। রো রো ফেরির জন্য ঘাট সংখ্যা বৃদ্ধি করলে ঘাটে গাড়ির সিরিয়ালের সংখ্যাও কমে যাবে।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ