আজকের শিরোনাম :

কালুখালীতে ভয়ংকর রুপে পদ্মা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:৪১

রাজবাড়ী জেলার, কালুখালীর রতনদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে পদ্মা নদীতে ব্যাপকভাবে  ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ভাঙ্গনে বহু বসতবাড়ী, ফসলি জমি, বিভিন্ন স্থাপনা চলে যাচ্ছে নদী গর্ভে এবং ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছে নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা। ভিটেমাটি ও ফসলি জমি নদীতে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে অনেক পরিবার। এদিকে ভাঙ্গন রোধে  ভাঙ্গন স্থানে কিছু বালু ভর্তি জি ও ব্যাগ ফেলে জরুরী ভিত্তিতে কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্থরা বলছেন ভাঙ্গন স্থানে যে পরিমান বস্তা ফেলা প্রয়োজন সেটা ফেলা হচ্ছে না।  গত কয়েকদিনের ভাঙ্গনে হাজার বিঘার বেশি ফসলি জমি ও বহু বসতবাড়ী নদীতে বিলিন হলেও ভাঙ্গন রোধে নেওয়া হয় নাই কোন পদক্ষেপ।

ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থরা অভিযোগের সুরে জানান ভাঙ্গন শুরু হলে অনেকে আসে আর ভাঙ্গন রোধে লোক দেখানোর জন্য জরুরী ভিত্তিতে কিছু বালুর বস্তা ফেলেন। এতে হয়তো তাৎক্ষনিক ভাঙ্গন রোধ হয় কিন্তু পরবর্তীতে যা তাই। সব সময় শুনি স্থায়ীভাবে নদী শাসন করা হবে কিন্তু তা কবে। বসতবাড়ী, জমি সব নদীতে চলে যাচ্ছে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদরাসা, কবরস্থান, হাট-বাজার সহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীতে যেতে বসেছে। এখনি ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে রাজবাড়ীর মানচিত্র থেকে ছোট হয়ে যাবে কালুখালী। হারিয়ে যাবে থানার বিভিন্ন গ্রাম।

তারা আরো জানান, নদীতে কয়েকবার বাড়ী ভাঙ্গছে, এখন ভাঙ্গলে আর যাবার জায়গা নাই। আমরা রিলিফ বা টাকা পয়সা চাই না, চাই স্থায়ী ভাবে নদী শাসন। এছাড়া পাংশার হাবাসপুর, সদরের মিজানপুর, গোয়ালন্দের ছোট ভাকলা ও দেবগ্রাম ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামে ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ভাঙ্গন রোধে এখনই ব্যবস্থা নিতে সরকারসহ যথাযত কর্তৃপক্ষকে তারা অনুরোধ জানান। 

রাজবাড়ীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশ কৃষ্ণ সরকার জানান , পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে রয়েছে তীব্র স্রোত। যার কারণে তৈরি হচ্ছে ঘূর্নন আর ঘূর্ননের ফলে দেখা দিচ্ছে ভাঙ্গন। পাংশার হাবাসপুর, কালুখালীর রতনদিয়া, সদর  উপজেলার মিজানপুর এবং গোয়ালন্দের ছোট ভাকলা, দেবগ্রাম ও দৌলতদিয়া ইউনিয়নে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে গোদার বাজার ও দেবগ্রাম ইউনিয়নের ভাঙ্গনের তীব্রতা বেশি। ভাঙ্গন স্থান গুলো উর্ধতন কর্মকর্তাসহ তিনি পরিদর্শন করছেন এবং জরুরী ভিত্তিতে কিছু স্থানে বালুর বস্তা ফেলার কাজ শুরু করছেন। এছাড়া ভাঙ্গনের বিষয় ঘটনার সাথে সাথে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হচ্ছে।

এবিএন/আবিদা সুলতানা/জসিম/নির্ঝর

এই বিভাগের আরো সংবাদ