আজকের শিরোনাম :

সুনামগঞ্জে রোহিঙ্গাদের জন্মসনদ প্রদান: কারাগারে সাবেক প্যানেল মেয়র

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২১, ১৮:৪৯

রোহিঙ্গাদের জন্মসনদ প্রদানের মাধ্যমে পাসপোর্ট তৈরি সংক্রান্ত একটি মামলায় সুনামগঞ্জে ১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর (প্যানেল মেয়র) হোসেন আহমদ রাসেলের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে সুনামগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কুদরত-এ-ইলাহী এর আদালতে মামলায় পলাতক থাকা আসামি সাবেক এই কাউন্সিলর আদালতে আত্মসমর্পণ করে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট ইন্সটেক্টর সেলিম নেওয়াজ।

উল্লেখ্য, প্রতারণার মাধ্যমে দুই রোহিঙ্গা নাগরিককে সুনামগঞ্জ পৌরসভা থেকে জন্মসনদ দেওয়ার মামলায় গত বুধবার পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, প্যানেল মেয়র হোসেন আহমদ রাসেলসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ওই মামলার নির্ধারিত তারিখে আদালত পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন এবং মামলার পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। পরে গত বৃহ¯পতিবার আদালত থেকে জামিন নেন পৌর মেয়র নাদের বখ— ও আইনজীবী কাওসার আলম।

আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল, পৌরসভার সাবেক ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর (প্যানেল মেয়র) হোসেন আহমদ রাসেল, পৌরসভার সহকারী কর আদায়কারী পিযুষ কান্তি তালুকদার, পৌরসভার জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধক ও স্যানিটারি পরিদর্শক মো. সেলিম উদ্দিন, পৌরসভার মেয়র নাদের বখত ও জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য কাওসার আলম। এই পাঁচজন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নন। পুলিশ অভিযোগপত্রে তাদের নাম যুক্ত করেছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল সুনামগঞ্জ জেলা পাসপোর্ট কার্যালয়ে নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে পাসপোর্ট করতে আসেন দুই রোহিঙ্গা।

তারা টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যা¤প থেকে চার ব্যক্তির সহযোগিতায় সুনামগঞ্জে আসেন। এই চার ব্যক্তি জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। ওই দিন সকালে পাসপোর্ট করতে গিয়ে তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেন। বিকেলে আবার ছবি তোলা ও আঙুলের ছাপ দিতে পাসপোর্ট কার্যালয়ে গেলে কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। পরে দুই রোহিঙ্গা ও তাদের সহযোগী চার ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দেন পাসপোর্ট কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। ওই দিনই প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার তেরানগর গ্রামের চারজনকে আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।

এর আগে ওই দুই রোহিঙ্গা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের আলীপাড়া এলাকার বর্তমান বাসিন্দা হিসেবে স্থানীয় কাউন্সিলর হোসেন আহমদ রাসেলের সুপারিশে পৌরসভা থেকে জন্ম সনদ নিয়েছিলেন। পরে সেটি সত্যায়ন করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য কাওসার আলম। এই মামলায় গত ২০ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এতে এজাহারভুক্ত চার আসামি ছাড়াও অভিযুক্তদের তালিকায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া পাঁচজনের নাম যুক্ত করে।

এবিএন/অরুন চক্রবর্তী/জসিম/জুয়েল

এই বিভাগের আরো সংবাদ