আজকের শিরোনাম :

হোসেনপুরে মাধ্যমিকে ভর্তিতে রশিদ বিহীন টাকা আদায়ের অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২১, ১৮:১৭

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর মাধ্যমিক পর্যায়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ফির নামে গলাকাটা ফি আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গিয়াছে। যে কারণে অনেক শিক্ষাথী ভর্তি হতে না পারার কারণে বই না পেয়ে শিক্ষার্থী অভিভাবক ও এলাকাবাসী মানববন্ধন করেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাড়া না পেয়ে আজ রোববার (২৪ জানুয়ারী) হোসেনপুর উপজেলা শাখার সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহব্বায়ক হাসনা আক্তার ও  সদস্য সচিব মো: দ্বীন ইসলাম এর নেতৃত্বে উপজেলা নির্বাহী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

স্মারকলিপি প্রদানের পূর্বে উপজেলা পরিযদ প্রাঙ্গনে উপজেলা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট এর আহব্বায়ক হাসনা আক্তার বলেন, সারাদেশে করোনা মহামারীর কারণে এক বছর যাবত দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা সত্বেও কেটে খাওয়া মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে;এমতাবস্থায় সরকার বিগত ১৮ নভেম্বর ২০২০খ্রি: মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর প্রজ্ঞাপন জারি করে টিউশন ফি ব্যতিত  অন্য কোন ফি নিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহকে নিষেধ করা সত্বেও  হোসেনপুর গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহ এ সকল নীতিমালাকে বৃদ্ধঙ্গলী দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রশিদ বিহীন ভর্তিফির নামে  অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। যে জন্য সরকার ১ জানুয়ারী কোভিট-১৯ থাকা সত্বেও ১লা জানুয়ারী  সারা দেশে ভার্চুয়ালী বই  উৎসব করেলেও গরীব ও অসহায় কর্মহীন অভিভাবকের সন্তানরা  শিক্ষাকার্যক্রম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এহেন কর্মকান্ডের জন্য তিনি তদন্ত সাপেক্ষে  শিক্ষামন্ত্রীর কাছে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহণের দাবি রাখেন।

 হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহীর কাছে স্মারকলিপি প্রদানের আগে ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তারের মা সবুজা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, তার স্বামী হাসিম উদ্দিন একজন অটোরিক্্রা চালক কিছু দিন পূর্বে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে অসুস্থ অবস্থায় গৃহবন্দী থাকায় তার দু’মেয়ের জন্য দুই হাজার ৪০০টাকা দাবি করায় তার কাছ থেকে ৯২৫ টাকা আদায় করা হলেও আরেক মেয়ে তানিয়াকে ভর্তি করানো হয়নি বাকি টাকা দিতে না পারার কারণে। এ রকম আরো অনেকের মত ৬ষ্ট শ্রেণীর শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তারের পিতা আলফাজ মিয়া, ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নিলয়ের পিতা ধনু রঞ্জন জানান, তার কাছ ১ হাজার ৩৫০টাকা নেওয়া হলেও তাকে কোন রশিদ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন।
অভিযোগ অ¯ী^ক্ষার করে গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফাজুর রহমান বলেন, আমার কাছে সকল রেকর্ড  রয়েছে। এ ছাড়াও আমি ছাত্র প্রতি ২ হাজার থেকে ১ হাজার ৯০০টাকা পর্যন্ত  মওকুফ করেছি। এছাড়া আর কী বা করার আছে।

স্মারকলিপি প্রদানের পূর্বে বিগত মঙ্গলবার গোবিন্দপুর চৌরাস্তা বাজার এলাকায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ ওই দিন রশিদবিহীন অতিরিক্ত ফির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছিলেন। এর প্রতিকার না পেয়ে রোববার আবার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও  উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
 

এবিএন/খায়রুল ইসলাম/জসিম/তোহা
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ