আজকের শিরোনাম :

দাবি পূরণে আশ্বাসে ধর্মঘট স্থগিত করলো শেবাচিমের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২০, ০৯:২৩

দীর্ঘ সোয়া দুইঘণ্টা পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট স্থগিত করেছে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

হাসপাতালের ইন্টার্ন ডক্টরস এসোসিয়েশনের সভাপতি সজল পান্ডে এবং সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলামের নেতৃত্বে কোন পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই গতকাল রাত ১২টা থেকে জরুরি বিভাগের গেটে তালা ঝুলিয়ে ধর্মঘট শুরু করে তারা। এ সময় এক সিনিয়র চিকিৎসকের বিচার দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মতো অতিগুরুত্বপূর্ণ গেট আটকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের আন্দোলনের কারণে চরম বেকায়দায় পড়েন রোগী ও তাদের স্বজনরা।

অবস্থা বেগতিক দেখে হাসপাতালের পরিচালক ও মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে রাত সোয়া ২টার দিকে কর্তৃপক্ষের দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে। শুক্রবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ধর্মঘট স্থগিত করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

ডাগায়নস্টিক সেন্টারের কমিশন ভাগাভাগি নিয়ে গত ২০ অক্টোবর মেডিকেলের মেডিসিন বিভাগের ইউনিট-৩ এর সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মাসুদ খানকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে ইন্টার্নদের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ২১ অক্টোবর কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসকের নামোল্লেখ করে হাসপাতালের পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ডা. মাসুদ।

পরদিন ২২ অক্টোবর ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ডা. মাসুদের বিরুদ্ধে ডায়াগনস্টিকের কমিশন আদায়, নারী সহকর্মীদের সাথে অশালীন আচরণ, সিনিয়দের সাথে ঔদ্ধত্য প্রদর্শন এবং ইন্টার্নদের ভাতা আটকে রাখার অভিযোগে পরিচালকের কাছে স্মারকলিপি দেয়।

উভয় পক্ষের অভিযোগ তদন্তের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওইদিনই ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কমিটিকে পরবর্তী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হলেও এখন পর্যন্ত রিপোর্ট আলোর মুখ দেখেনি।
 
অভিযোগের বিচার না পাওয়া সহ অভিযুক্তের বিচার দাবিতে গতকাল রাত ১২টা থেকে জরুরি বিভাগের গেটে তালা ঝুলিয়ে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করে ইন্টার্নরা। বিক্ষোভকারীরা মেডিসিন বিভাগের সহকারি রেজিস্ট্রার ডা. মাসুদ খানের বিরুদ্ধে নানা শ্লোগান দেয়।

এ সময় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন ইন্টার্ন ডক্টরস এসোসিয়েশনের নেতারা।

এদিকে, হাসপাতালের জরুরি বিভাগসহ সব গেট আটকে ইন্টার্ন ধর্মঘট শুরু হওয়ায় বেকায়দায় পড়েন জরুরি সহ সব ধরনের রোগী ও তাদের স্বজন এবং হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে ছুটে যান মেডিকেল পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন এবং মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. এসএম সরোয়ার হোসেন। তারা শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনায় বসেন। এক পর্যায়ে দাবি পূরণের আশ্বাস দেন তারা। কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা এক ঘোষণায় আজ বেলা ১২টা পর্যন্ত ধর্মঘট স্থগিত করেন। এরপর তারা সকল গেটের তালা খুলে দিলে হাফ ছেড়ে বাঁচের রোগী ও তাদের স্বজনরা।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ