আজকের শিরোনাম :

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, সতর্কতা জারি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১৪

টানা অষ্টম দিনের মতো চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে ও দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ ও স্থবির হয়ে পড়েছে। অতিপ্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। 

আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ ছিল ১৭ শতাংশ। এটি দেশে এই মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি,  বুধবার (১৭ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। যা ছিল সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এদিকে দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে সতর্কবার্তা জারি করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর। এ ছাড়া তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও জানায় সংস্থাটি।

চলমান দাবদাহে ফসল রক্ষায় কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আগামী আরও কিছুদিন তীব্র দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময় বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এমতাবস্থায় ফল বিভাগ, উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

কৃষকরা বলছেন, রোদের প্রখরে ফল-ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। আম, লিছু, ধানসহ বিভিন্ন ফসল পুড়ে যাচ্ছে। এতে লোকসানের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে আজ বাতাসের কারণের কাজ করতে কিছুটা স্বস্তি হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলার ওপর দিতে তীব্র তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টির তেমন আভাস নেই। তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এটি দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কি না, তা সন্ধ্যা ৬টায় নিশ্চিত হওয়া যাবে।

অতিরিক্ত গরম ও তীব্র তাপের কারণে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোয় ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বরসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে শত শত শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী রোগীরা বহির্বিভাগ ও ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছে। তীব্র গরমের ফলে বাড়ছে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রতিদিন শিশু ওয়ার্ডে কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ জন শিশু ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং বহির্বিভাগেও প্রতিদিন অন্তত ১ হাজার রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এবিএন/এসএ/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ