জাফর উল্লাহর চাচাতো ভাইকে আ. লীগ থেকে বহিষ্কার করতে হবে : নিক্সন চৌধুরী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৩৩ | আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৩৪

ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেছেন, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী জাফর উল্লাহর চাচাতো ভাই সাকলাইন কাজী। তিনি শেখ পরিবার, শেখ সেলিম, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, শেখ হেলাল ও শেখ তন্ময়কে নিয়ে গালিগালাজ করেছেন। এই কাজী সাকলাইনকে আইনের আওতায় আনতে হবে। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করতে হবে।’

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার সূর্য্যনগর বাজার এলাকায় উপজেলা যুবলীগের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যেই কাজী সাকলাইনের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ মামলা দিয়েছে। সে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে এবং শেখ পরিবারকে নিয়ে যে বিশ্রী ভাষায় মন্তব্য করেছে তার জন্য সাকলাইনের বিচার করতে হবে। সাকলাইনকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করতে হবে এবং তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসনের জনগণ আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে এর উচিত বিচার করে দিবে।

ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জিয়াউল মাদবরের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ইলিয়াশ পাশা, সাধারণ সম্পাদক খায়রুজ্জামান খান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি জহির চৌধুরী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. পান্নু চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাজীব ঢালী, সাধারণ সম্পাদক আসিফ হোসেনসহ আরও অনেকে।

উল্লেখ্য,গত ৭ ডিসেম্বর ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘাড়ুয়া গ্রামে এক উঠান বৈঠকে কাজী জাফর উল্লাহর চাচাতো ভাই ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হেদায়েত উল্লাহ সাকলাইন কাজী তার বক্তব্যে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নূর-ই-আলম চৌধুরী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শেখ সেলিম, শেখ হেলাল, শেখ তন্ময়সহ শেখ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ, মানহানিকর ও নির্বাচন আচরণবিধি বহির্ভূত কথা বলেন। তার ওই কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যটি ফেসবুকের মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এনিয়ে জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। 

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া পোস্টটি শিবচর উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মো. ইলিয়াস হোসেন পাশার নজরে আসে। ওই দিন রাতেই তিনি বাদী হয়ে হেদায়েত উল্লাহ সাকলাইনের বিরুদ্ধে শিবচর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

এবিএন/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ