আজকের শিরোনাম :

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে মাছ শিকার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০৮

পশ্চিম সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে মাছ ধরার হিড়িক পড়েছে। যে কারণে সুন্দরবনের নদী ও খাল মৎস্যজাত প্রাণী শূন্যের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রতিদিন  ও রাতে শত শত নৌকা প্রবেশ করছে সুন্দরবনের অভ্যয়ারণ্যে ঘোষিত এলাকা নোটাবেকী, পুষ্পকাটি, মান্দারবাড়িয়া, হলদেবুনিয়া, পাকড়াতলীর চর, ডিঙ্গিমারী, বালিঝাকি, আঙরাকোনাসহ নানা এলাকায়।

বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে মাছ ধরতে যাচ্ছে জেলেরা অথচ নিষিদ্ধ এলাকায় প্রবেশের উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বনের ভিতরের ফাঁড়ী পুষ্পকাটি, লতাবেড়ী, দোবেকী, মান্দারবাড়ীয়া কর্মকর্তা কর্মচারীদের ম্যানেজ করে সাপ্তাহিক চুক্তিতে অসাধু জেলেরা মাছ ধরছে। এতে অল্প সময়ে অনেক মাছের আশায় তারা অভ্যয়রণ্যে মাছ ধরছে। প্রতি অমাবস্যা ও পূর্ণিমার গোনে ফাঁড়ীর কিছু কর্মকর্তা কর্মচারীর সাথে চুক্তিতে মাছ ধরছে তারা। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঐসব বন ফাঁড়ীর কতিপয় কর্মকর্তা কর্মচারীকে ম্যানেজ করে মাছ বা কাঁকড়া ধরছে। সুন্দরবনের বড় কর্মকর্তারা যখনই সুদরবনে প্রবেশ করছে তখনই ঐসব ফাঁড়ী কর্মকর্তারা মাছ বা কাঁকড়া ধরা নৌকাগুলোকে সংকেত দিয়ে ছোট খালে প্রবেশ করিয়ে রাখছে। কর্মকর্তারা চলে গেলে তারা আবার ও মাছ ধরছে।

এ ব্যাপারে কথা হয় গাবুরার জেলে আঃ হাকিমের সাথে তিনি বলেন, অভ্যয়ারণ্যে মাছ ধারর জন্য ফাঁড়ী কর্মকর্তাকে কিছু টাকা দিলে সহজে মাছ ধরা যায়।

এ ব্যাপারে কথা হয় দাতনেখালীর জেলে রফিকুলের সাথে তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন বন অফিস থেকে পাশ নিয়ে অভ্যয়ারণ্যে নোটাবেকী, পুষ্পকাটি অভ্যয়ারণ্যে এলাকায় যাই এবং ঐসব ফাঁড়ীগুলোকে ম্যানেজ করে মাছ ধরি। কথা হয় টেংরাখালীর জেলে সাহাবাজ খোকনের সাথে তিনি বলেন, পর্যাপ্ত মাছ পেতে হলে অভ্যয়ারণ্যে যেতে হয় তাতে অনেক সময়ে পর্যাপ্ত মাছ পাওয়া যায়। 

বন বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তরা মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করে নৌকা ও মাছসহ আটক করে আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও পরোক্ষণে আবার ও একই পেশায় ফিরে যাচ্ছে। 

কথা হয় নোটাবেকী বন কর্মকর্তা হারুন আর রশিদের সাথে তিনি বলেন, অভ্যয়ারণ্যে কাউকে মাছ ধরতে দেওয়া  হয় না। পুষ্পকাটি বন কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে মাছ বা কাঁকড়া ধরতে দেওয়া হয় না। 

সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এম, কে, এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরীর সাথে তিনি বলেন, মাঝে মাঝে অভিযান দিয়ে অবৈধ নৌকা বা জেলে পাইলে তাদের ধরে আইনে সোপর্দ করা হচ্ছে।

এবিএন/আলমগীর সিদ্দিকী/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ