উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে ৪ লেন চালু, কমবে দুর্ভোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৬:০৬

ঈদযাত্রায় নাড়ির টানে ঘরমুখী মানুষের ভোগান্তি ও গলার কাটা ছিল উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক। কিন্তু এই মহাসড়কে পুরোদমে চলছে চার লেন প্রকল্পের কাজ। ঈদযাত্রায় গাড়ির চাপ সামাল দিতে ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড় থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত চার লেন চালু করা হয়েছে। 

এদিকে ঘরমুখী মানুষের যাতায়াতের স্বস্তি ফেরাতে দ্রুতই কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন যাত্রী ও চালকেরা। সংশ্লিষ্টরাও ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে করতে ওই সব স্থানে রাত-দিন কাজ করছেন।

জানা যায়, বছরের দুটি ঈদের সময় বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থেকে হাটিকুমরুল গোল-চত্বর পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার মহাসড়ক পারাপারে যাত্রী ও চালকদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো। প্রতিদিন উত্তরের ২২ জেলার প্রায় ২০-২২ হাজার যানবাহন চলাচল করলেও ঈদযাত্রায় এর সংখ্যা ৩০-৩৫ হাজার ছাড়িয়ে যায়। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। কিন্তু এবার সে চিত্র হবে অন্যরকম। সাসেক-২ প্রকল্পের সুফল পাবে এ অঞ্চলের মানুষ। 

বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় থেকে বগুড়ার মির্জাপুর পর্যন্ত ২ লেনের মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮০৫ কোটি টাকা। এ বছর মহাসড়কের নকলা ব্রিজ, ফ্লাইওভার, নবনির্মিত আন্ডারপাসগুলো ও চার লেনের কাজ অনেকাংশে শেষ হওয়ায় অনেকটাই স্বস্তি পেতে পারেন উত্তরবঙ্গের ঈদে ঘরমুখী মানুষ ও চালকেরা।

চালক ও যাত্রীরা জানিয়েছেন, ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে রাস্তা উন্নতিকরণ ও ফ্লাইওভার নির্মাণকাজ অধিকাংশ জায়গায় শেষ হলেও হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় আন্তর্জাতিক মানের ইন্টারচেঞ্জ নির্মাণকাজের অনেক জায়গায় চার লেনের কাজ চলমান রয়েছে। এর ফলে কিছু কিছু জায়গায় রাস্তা সরু হয়ে গেছে।  

সাউথ এশিয়ান সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক-২) প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ঈদযাত্রায় ঘরে ফেরা মানুষের যাতায়াতে যেন বিঘ্ন না ঘটে, এ জন্য হাটিকুমরুল মোড়ে এক মাস আগেই কংক্রিটের রাস্তা মেরামত করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ চারটি লেনের মেরামত কাজ শুরু করেছে।

তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে কড্ডার মোড় ও নলকার মোড়ে প্রতিবছর যানজট বেশি দেখা গেলে এবার এ জায়গাগুলোয় আন্ডারপাস খুলে দেওয়ায় দূরপাল্লার গাড়িগুলো ওপর দিয়ে চলে যাবে। আর অন্যান্য গাড়িগুলো আন্ডারপাসের নিচ দিয়ে চলাচল করলে আশা করছি, এ বছর যানজট হবে না। এবারের ঈদযাত্রা হবে অনেকটা স্বস্তিদায়ক।

সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বলেন, এ বছর মহাসড়কের অবস্থা খুবই ভালো। ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করে সকল তথ্য সড়ক বিভাগের কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ সেগুলো ৩১ মার্চের মধ্যে সংস্কার করে দেওয়ার কথা দিয়েছেন। ঈদযাত্রায় মানুষের নিরাপদে ঘরে ফেরা ও নিশ্চিন্তে যাতায়াতে মহাসড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ৭৫০ জন পুলিশ মোতায়েন করা হবে। মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ থাকবে, সেই সঙ্গে বেশ কয়েকটি মোবাইল টিম থাকবে।

এবিএন/এসএ/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ