শ্রীমঙ্গলে ফুলে ফুলে ভরে গেছে সূর্যমুখী বাগান

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৪, ১২:২১

শ্রীমঙ্গলের সূর্যমুখী বাগানগুলো ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে। সুর্যমুখীর প্লটগুলোতে এখন ফুলের সমারোহ। চাষিরাও খুব খুশি। অল্প খরচে সূর্যমুখী চাষে লাভের মুখ দেখতে যাচ্ছেন সুর্যমুখী চাষিরা।

জানা গেছে, সূর্যমুখী এক ধরনের একবর্ষী ফুলগাছ। এর বীজ তেলের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তেলের উৎস হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সূর্যমুখীর ব্যাপক চাষ হয়। বাংলাদেশেও একটি তেল ফসল হিসেবে সুর্যমুখী চাষ হচ্ছে। সূর্যমুখী তেল অন্যান্য রান্নার তেল হতে খুব ভাল এবং হৃদরোগীদের জন্য বেশ কার্যকর। এতে কোলেস্টেরলের মাত্রা অত্যন্ত কম। এছাড়া এতে ভাটামিন এ, ডি এবং ই রয়েছে।

শ্রীমঙ্গল কৃষি অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০১৯- ২০২০ অর্থবছরে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় সরকারিভাবে প্রথম সুর্যমুখী চাষ শুরু হয়। তখন চাষীদের প্রশিক্ষণসহ রাজস্ব খাতের অর্থায়নে প্রশিক্ষন ভাতা ও প্রণোদনা বাবদ সার ও বীজ দেয়া হয়। তাছাড়া প্রদর্শনী প্লটের পরিচর্যা, সেচ, আগাছা ও পোকা-মাকড় দমন বাবদ অর্থ সহায়তা দেয়া হয়।

শ্রীমঙ্গলের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মহিউদ্দিন জানান, চলতি মৌসুমে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৯ ইউনিয়নে ৩৭০ জন চাষিকে সূর্যমুখী চাষের জন্য প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। এবার শ্রীমঙ্গলে ৫২ হেক্টর অর্থাৎ ১২৯ একর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে।

সূত্র জানায়, সূর্যমুখী তেল পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ তেল যা রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়। ভোজ্যতেলের মধ্যে সূর্যমুখী অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর অর্থাৎ পুষ্টিমানে সর্বোত্তম। এক কথায় সুর্যমুখী তেল মানে-গুণে অনন্য। এ তেল হৃদরোগীদের জন্য বিশেষ উপযোগী। কারণ এতে রক্তে কোলেস্টেরল বাড়ে না।

বর্তমান বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে সূর্যমুখীর চাষ হচ্ছে বলে স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে।

এবিএন/আতাউর রহমান কাজল/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ