আজকের শিরোনাম :

ভোলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে গমের আবাদ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৪, ১৬:০০

ভোলার ৭ উপজেলায় চলতি মৌসুমে গমের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। ৯ হাজার হেক্টর জমিতে গম আবাদ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আবাদ সম্পন্ন হয়েছে  ৯ হাজার ৩০৯ হেক্টর। আর নির্ধারিত জমি থেকে ২৮ হাজার ৫৫৮ মেট্রিক টন গম উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। এদিকে জেলায় গমের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে ১০ হাজার কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার সহায়তা দিয়েছে সরকার। বর্তমানে মাঠে গমের অবস্থা বেশ ভালো রয়েছে।

কৃষি বিভাগ জানায়, জেলার মোট গম আমাদের মধ্যে সদর উপজেলায় আবাদ হয়েছে ৩  হাজার ২০০ হেক্টর, দৌলতখানে ৭৯৫ হেক্টর, বোরহানউদ্দিনে ১ হাজার ৬২০হেক্টর, লালমোহনে ৩৫৪ হেক্টর, তজুমদ্দিনের ৭১০ সেক্টর, চরফ্যাশনে ২ হাজার ৫৮০ হেক্টর ও মনপুরা উপজেলায় ৫০ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়েছে। 

কৃষি কর্মকর্তারা জানান, নভেম্বরের শেষের দিকে জেলায় গমের আবাদ কার্যক্রম শুরু হয়। এপ্রিলের প্রথম দিকে কৃষকরা ফসল করে তুলতে পারবে। এ বছর ৩৩ শতাংশ জমির অনুকূলে গমের ২০টি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। জেলায় সাধারণত বারি গম ৩৩ জাত এর আবাদ বেশি করা হয়।

উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মো. হুমায়ুন কবির বাসসকে বলেন, গমের আবাদ বাড়াতে ১০ হাজার কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার সহায়তা  দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে প্রত্যেক কৃষককে ২০ কেজি উন্নত মানের বীজ, ২০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার প্রদান করা হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক  মো. হাসান ওয়ারিসুল কবির জানান, জেলায় চলতি বছর গমের ব্যাপক আবাদ হয়েছে। বিশেষ করে গত কয়েক বছর ধরে ব্লাস্ট  রোগের প্রাদুর্ভাব না থাকায় গমের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে বারি ৩৩ জাত ব্লাস্ট রোগ সহনশীল। এ জাতটাই এ বছর প্রচুর আবাদ হয়েছে। আশা করা হচ্ছে ব্যাপক ফলন পাওয়া যাবে। 

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে মাঠে ফসলের অবস্থা বেশ ভালো রয়েছে। আমাদের মাঠ পর্যায়ের কৃষি অফিসাররা নিয়মিত কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ সেবা দিয়ে আসছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গম উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এবিএন/এসএ/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ