আজকের শিরোনাম :

কচুয়ার ৫০ গ্রামে পানি সংকট, বাঁধ কেটে দিয়েছে এলাবাসী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৯

বাগেরহাটের কচুয়ায় বাধালসহ ৫০টি গ্রামে পানি সংকট দেখো দিয়েছে। বিপাকে পড়েছে কৃষক ও মৎস্য চাষিরা। পানির আশায় বুধবার (আজ) এলাকার হাজার নারী-পুরুষ বিষখালনদী (খাল) এর বলেশ্বরের মুখের বাঁধসহ ১০/১২  বাঁধ কেটে দিয়েছে।

কচুয়ায় উপজেলার গোপালপুর, রাড়িপাড়া ও বাধাল ইউনিয়নের মসনী, বাধাল, রঘুদত্তকাঠী, সাংদিয়া, শাখারিকাঠী, আলোকদিয়া, কলমিবুনিয়া, বিলকুল গ্রাম ও মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বিষখালী বলভদ্রপুর রামচন্দ্রপুর, কাঠিপাড়া, নরুল্লপুরসহ অন্তত ৫০টি গ্রাম পানি সংকটে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে পানির প্রয়োজন না হলেও শুষ্ক মৌসুমে খাল থেকেই পাম্প মেশিন দিয়ে সেচ দিয়ে কাজ চালিয়ে থাকেন তারা।

বিষখালী ও পানগুছি নদী থেকে অন্তত ৪০টি চারা খাল বাধাল, রাড়িপাড়া, গোপাপুর, বনগ্রাম ও রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। অধিকাংশ খাল শুকিয়ে গেছে। ফলে জমি মালিকরা সময়মতো সেচ দিতে পাছে না। বিষখালী ও পানগুছি নদীর পানি এস চারা খালে প্রবেশ করে। সেখান দিয়ে জমিতে সেচ দেয় কৃষক। 
উপজেলার বাধাল ইউনিয়নে ৮০০ হেক্টর জমিতে মৎস্য চাষ কর হয়ে থাকে। এবছর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ২১টি ব্লকে হাইব্রীড জাতের ৬ হাজার ৮শ হেক্টর এবং উফশী জাতের ১ হাজার ৯শ হেক্টর জমি বোরো ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা আছে।

বাধাল এলাকার  কৃষকরা জানিয়েছেন, চলতি বোরো মৌসুমে পানি সংকটে পড়েছে কৃষক ও মৎস্য চাষি। বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কৃষক। শুকিয়ে যাচ্ছে ধান গাছের গোড়া। মাটি ফেটে চৌচির, দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক তার পরিবার। শুতিয়ে গেছে খাল ও মৎস্য ঘের। সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ড বিষখালী ও পানগুছি নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে ২৫ কিলোমিটার নদী পূর্ণ খননের কাজের ধীরগতির কারণে ৫০টি গ্রাম পানি সংকট  সৃষ্টি হয়েছে বলছেন কৃষকরা।

বিপুলা বালা দাস বলছেন, এখন ধান গাছে মুকুল (থোড়) আমার সময় এখন পানি  অভাবে  ধান ফলছে না। ধান ও ভুট্রা সহ ফসলের জমিতে  পানি দিতে না পারলে তাদের ফসল ঘরে উঠবে না। এখন এই  আমাবশ্যার জোয়ারের পানি জমিতে দিতে পারলে ধান ফলবে। 

উপজেলা আ. লীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা বলেন, আমর চাই আমাদের কৃষদের বাঁচিয়ে নদী কনন হোক,  আমাদের নদী খাল প্রয়োজন আছে। আবার এলাকার জনগনের দিকটাও দেখতে হবে।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রনব কুমার বিশ্বাস বলেন, নদীখাল খনেনর ফলে সামায়িক একটু সমস্যা হচ্ছে। তবে খনন কাজ হয়ে গেলে নদী ও খাল উন্মুক্ত করে দিলে এ অঞ্চলে মাৎস্য ও কৃষিতে বিপ্লব ঘটবে। 

এবিএন/শুভংকর দাস বাচ্চু/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ